আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

সংখ্যা: ১৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মীলাদুন নবী ঈদী রহমত, রবিউল আউয়াল মাসে

 অঝর ধারায় বর্ষিত হয়, জগতের ইজলাসে।

ঐ মীলাদুন্ নবীর ওসীলায়, এ মাস আমিরুল মাহিনা,

এই মাস তবে তামাম আশিক, রহিয়াছে দিওয়ানা ।

রবিউল আউয়াল বহিছে কামাল, ভরপুর নূরে নূরে

প্রতি মু’মিনের হৃদয় আকাশ, ধরিছে মুখর করে।

রবিউল আউয়াল লও তুলায়াল, তুমি বড় শানদার,

 তোমার শিরেই চমকিছে ঐ নূর নবী আছরার।

সকলে জানাই লক্ষ সালাম, নূর নবীজির পরে,

তিনিই কেবল আউয়াল-আখির, রহমতে উচ্চারে।

 ঐ আল্লাহ আশিক মুস্তাফাজীর অনাদিতে হরদম,

মালায়েক লয়ে হাবীবী ইশকে তিনি রন অনুগম ।

মাখলুক মাঝে নূর নবীজিই, সৃষ্টিতে আউয়াল,

নূরের সৃষ্টি ইনসান তিনি মহামতি আহওয়াল ।

হাবীবে আ’যম আল্লাহর তিনি, কুরআন পাকের বাণী,

তাঁহার খুশীতে আল্লাহ যে খুশী, ফরয রহিছে ধ্বনী।

 তিনি আরব দেশের মক্কা ঘরেই, তাশরীফ এনেছেন.

তিনি জাহিল, জালিমী বর্বরতার খরতারে মিটালেন।

তাঁর তাশরীফে আঁধার ধরনী, আলোকিত হয়ে রয়,

ঐ তাগুতি তখত তহন হয়, তৌহিদী বিধিআয় ।

 ইহুদী, কাফির, নাছারা রেওয়াজ, জালিমের যন্ত্রণা,

রুখিয়া দিলেন তাগুতি লোলুপ, বিকৃতি বাসনা ।

 বে-ইনছাফীর শির ভেঙ্গে তিনি সমতা জাগান ফের,

জুলমতি হাতে শিকল পড়ায়ে, দিশ আনে কুওয়ের।

শান্তি, ঝরণা প্রবাহিত রাখেন, ধরণীর জনগাঁয়,

শিষ্ঠ সালিন উডিন ফরে, রাখিলেন দিলারায় ।

জাহিলিয়াতের কালো জামিয়ানা, ধরণী আকাশ হতে,

তাড়াইয়া দেন রসূলে আ’যম, আসিয়া যে ধরনীতে।

 সেই দিনটি যে ছিল, দ্বাদশ রবিউল আউয়াল মাস

সারা দুনিয়ায় খুশীর লহরী, নাহি নাহি রহে হ্রাস।

হাজার হাজার হুর মালায়েক, মহীয়সী গুনিজন,

নূরের নবীকে স্বাগতম দিতে জমায়িত সেই ক্ষণ

 সেই ঈদে মীলাদের ধারা-ব-ধারা, আজিও বিরাজমান,

 ঐ আশিকে রসূল উম্মত মাঝে রহিয়াছে আলিশান।

 দুনিয়ায় থেকে আশিকীন সব, সেই রহমতে দোলে,

মীলাদুন নবীর খুশীর ঝালরে, রহিতেছে মিলে মিলে।

দুলকে ভুলকে কামালে কামাল, বেশুমারে কামিয়াব,

 মীলাদুন নবীই দিচ্ছে সবারে, মহামতি আসবাব ।

হায়! মুসলমানের প্রধান শত্রু ইহুদীরা চেয়ে দেখে-

নবীর প্রেমিক মুসলিম সবে, রহে অনাবিল সুখে।

ইহুদী গোলাম ওহাবী খারিজী, রহিতেছে বেপরোয়া,

আশিকিনদের বিব্রত করে, লুফিছে ইহুদী মেওয়া।

খোদার আরশ কাপিয়া উঠিছে, আশিকের ফরিয়াদে

 মীলাদুন্ নবীর ঈদ মাসে তাঁরা, চুপিসারে কেঁদে কেঁদে ।

মদদ করেন আল্লাহ মাবুদ, তাগুতি ধসায় দিতে,

 মুজাদ্দিদ দেন জুলমাতি বুকে, আশিকের লোহু স্রোতে।

সেই মুজাদ্দিদ রাজারবাগীই, বাংলার পলিকূলে. গগন,

পৰন ভেদ করে আসে, তাগুতি চর্ম ছিলে।

ঐ কাহহারী গুণে গুণবান তিনি, জাব্বারী নওরীন

তিনি ওহাবী বেনিয়া বরবাদ করে, মজবুতে মুগনিন ।

পনের শতকের তিনি মুজাদ্দিদ, দ্বিধা নাহি তাঁর জানে,

ভারত তাগুত তৰ্পায় আজ, তাঁহার ক্রাসিত বানে।

ওহাবী রেজভী বুরবাক রহে, তাঁর তাজদীদী রোবে,

ইহুদী নাছারা হয় দিশেহারা তাগুতি তমসা উবে।

তিনি ফতওয়া দিলেন, মীলাদুন্ নবীই শ্রেষ্ঠ ঈদে ফরজ,

ঐ ঈদে মীলাদের মাহফিলে মিলে, মুক্তি মূল করজ।

তিনি রাজারবাগী, ইলাহীর দূত, হাবীবী আমান মুজাদ্দিদ,

তিনি রসূলের দিলওয়ারী দিল, আল্লাহর আফ্রিদ।

তিনি তাগুতি ভুরুপ তছরুফ করে, তৌহিদে গতিয়ান

তিনি ওহাবী বাহার ভরকায় দিয়ে, সুন্নতে বেগবান ।

 তিনি মীলাদী বার্তা প্রচার করিতে আসিলেন পথিবীতে

 তিনি সাইয়্যিদুল ঈদ মীলাদুন নবীর রনকে রন জিতে ।

তাঁর আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতই সুন্নতী কাফেলা

ঐ বাইয়্যিনাতের অগ্নীতে আজ, ওহাবীরা জ্বালজ্বালা

এসো হে মু’মিন! তাঁর ছোহবতে, হেলা নাহি করি আর

খবিছের গিরি চুড়িয়া যে তিনি পড়েন মুক্তি দ্বারা।

ঐ মুজাদ্দিদের মহা ছোহবতে, মীলাদুন্ নবীর ঈদ.

পালন করিব সকল মু’মিন, ধরিয়া স্বচ্ছ হৃদ।

 শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

শব্দার্থঃ আমিরুন মাহিনা মাসের নেতা, তামাম- সব, কামাল- পরিপূর্ণ, আছরার রহস্য, আহওয়াল অবস্থা,

বিধিআয়- আইন বা t নীতি, জাবরারী- সর্বশক্তিমান, নওরীন- রশী, মুগনিন- ধনাধ্য।

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬