অধুনা মুনাফিক দিয়ে ফেলিতেছে ছেঁয়ে, ইসলামী জৌলুস,
ঐ হিংসা ফাসাদে দন্দ্ব আবাদে, সত্য করে খামুস।
হায়! মুসলমানেরে নাদান ভাবিছে, ভুবনের প্রতি পদে,
মানব মুক্তির ধর্ম ইসলাম, অচল প্রগতিবাদে।
খোদার ধর্ম ইসলাম আজ, বিরানে রাখিতে চায়,
ঐ ইহুদী দালাল উলামায়ে ‘ছূ’, আজদাহা সেজে রয়।
ইহুদী হুকুমে ইসলামী নীতি, দুর্বল করে তারা,
মুসলমানের বন্দিগী মাঝে, মারিতেছে বিষ ছোরা।
চিৎকার করে কাঁদিছে মু’মিন, ঈমানকে বাঁচাবার,
আহা! নিজ নিজ ইজ্জতখানি চাহিতেছে রাখিবার।
কিন্তু যে হায়! কোথায় উপায়, উলামায়ে ‘ছূ’রাই বেশী,
ছলে, বলে, কলে দাবায় রাখিছে, করিয়া যে পরবাসী।
ওরে জালিম, জাহিল, ধূর্তবাজ, পা-চাটা মৌলভী,
তোরা উলামায়ে ‘ছূ’, অশ্লীল গৃহে হর্ষে রহিস ডুবি।
মিটিং-মিছিল, টেলিভিশনেই ঝারিস্ নোংড়া কথা,
ম্যাডামী মদদ মাগিবার তরে মুড়িছ তাহার কাঁথা।
হাদীছ-কুরআনের উক্তি হাঁকিয়া, দেখাস্ ভক্তি মেকী,
ফের হাদীছেও ভুল, কুরআনেও ভুল কহিস্ স্বার্থ আঁকি।
শহরে দালান-প্রাসাদ গড়িস, দু’দিনের খাহিশাতে,
রে-কুচক্রী! ধর্মবিক্রি করিতে রহিস্ আওরাতি আক্সাতে।
টেলিভিশনেই বিবৃতি দিস্, ইসলামী নেতা সেজে,
ছবি, ভিডিও জায়িয কহিস্, প্রগতি যুগের ভাঁজে।
হায়! ইহুদী সেবায় ফখর করিস্, বুকখানি টান করে,
তোরা মিথ্যা বুলিতে ভুলাইতে চাস্, আওয়াম্ জনতাদেরে।
আজ ছলাত-কালাম, ছওম-হজ্জে বিদ্য়াতের সয়লাব,
যাকাত-মীলাদ প্রতি পর্বেই, হামলা যে বেহিসাব।
ঈমান, আমল, আক্বীদা পৃষ্ঠে কুড়াল মারিয়া চলিস্,
মুসলমানের পরিচয় তোরা খামছি মারিয়া কারিস।
রে লম্পট! চটপট কহিস্ ইহুদী শিখানো বাত,
ভেবেছিস্ তোরা পার পেয়ে যাবি, আয়েশিতে কায়েনাত।
হায়! সেই উছূল যে ভুল গ্রহ তোরা, দালালীতে ইহুদীর,
তাই টেলিভিশনের পর্দায় আজ তোদের রহিছে ভীড়।
সাবধান! খোদার খরগ্ আল বাইয়্যিনাত, তাজদীদী আলো আনে,
সেই আলোকেই দূরীভূত রহে, আঁধার যে বিয়াবানে।
ঐ আল বাইয়্যিনাত উৎখাত করে, তাগুদের তস্তরী।
ঐ আল বাইয়্যিনাত ইযাফত দিলো মুমিনেরে নিস্তরী।
ঐ খোদার বিধান বাইয়্যিনাতই শক্ত দলীলে বলে,
ঐ বাতিলী বচন কর্তন করে সত্য রাখিছে মূলে।
আজ দেড়শ’ কোটি মুসলিম মাঝে, বাইয়্যিনাতের আলো,
দিক-নির্দেশে প্রতীক রহিছে, কভু না যে এলোমেলো।
ঐ বাইয়্যিনাতের প্রতিষ্ঠাতাই, খোদার খলীফা যিনি,
তামাম জাহানে ইসলামী শানে, জাগায়ে রাখিছে বাণী।
দুর্নীতিরই লৌহ কপাট চুড়াবার তরে খোদা,
ভূবনে ভেজেন মুজাদ্দিদে আ’যম, চরম শক্তি গদা।
জানিয়া রাখরে বেঈমানেরা, শিশা ঢালা দিল্ খুলে,
ঐ ইলাহী গদাই রাজারবাগী, রাজর্সি সৌর্যে এলে।
তিনি খোদ খোদায়ী শক্তির উক্তিতে সাবলীল,
তিনি আরশি বাহনে ভূবনে বেড়ান, মিটাইতে পঙ্কিল।
ঐ হিম্মতে তাঁর করে উদ্ধার, নিস্তারে মজলুম,
ঐ দস্তুরে তার কস্তুরি উবে, বিস্তরে মজমুম।
তিনি সাহসী, হইয়া কর্ষী, বাতিল নাসিতে আসে,
তিনি হাদী জলদি করিয়া, সচ্ছ নীতিরে চাষে।
তিনি হুসাইনী ছূরতে তলোয়ার হাতে, যামানায় জাহিরান,
তিনি কারবালা ঐ বোম ঢেলা, মিসাইলী মেজবান।
তিনি যে মুর্শিদ রাজারবাগী, আল্লাহর প্রিয়জন,
তিনি যে মুর্শিদ রসূলে আ’লার, পুণ-পাক দয়াতন।
তিনি আহলে বায়তের সূর্য তারকা, নকশায়ে কারবালা,
তিনি কাসিমী নূরেই ধরার বুকে রখিছেন শৃঙ্খলা।
তিনি আজগর নহে নরবড় জয়নালী মহা খুন,
তিনি যে খালিদ অলিকী ভুলিয়া লভিছেন মহাগুণ।
তিনি হাসানী ফিকিরে ফখরে আলম হয়েছেন সৌরভী,
তিনি বীর বাহাদুর, ফারুকে আ’যম, বাজুয়াতে আলভী।
তিনি ফাতিমী ফায়দা দরদী তনয়, খাদীজায়ে দারাজাত,
তিনি কুরাঈশী উছূলে কুবুলে রহেন রহমানী ফেরাসাত।
ফের তিনি দাবানল শিকল গলাতে ঐ যে পারঙ্গম,
তিনি তাগুতের ত্রাস, শিলা রাজ লয়ে ঐশীতে হরদম।
তিনি রাহনুমা, তিনি রক্ষক, কুতুবে আলম রশ্মীদার,
তিনি খালিকী মালিকী কুশোলী কল, ঘুঁচান যে অবিচার।
তিনি মাদানী নীতিতে ইনসানদেরে করে যে ঈমানদার,
তিনি জান্নাতী পথে জয্বাহি রথে রাখেন দুস্তদ্বার।
-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬