ওরে কাপুরুষ কেন উসখুস, বাহাদুরী গেল কই?
মুজাদ্দিদের মাহ্ফিল রোখা মিছে কেন হৈ-চৈ।
ওরে ঐ ওলামায়ে ‘ছূ’ মিছু তোর অপচাল,
তাই আজ তোরা পরাজয় খালে করিতেছ উত্তাল।
হায় খবরদারি তোর গেল হারি, ভুবনের মহাকাশে,
তাই আজ তোরা দিশেহারা হক্ব বজ্রের আক্রোশে
সারা বাংলায় গর্ব করিস বসিয়া ধোঁকার মসনদে,
নারী ক্বদমেই প্রণাম করিয়া রহিছিস আহ্লাদে।
সকল প্রচার মাধ্যমে তোরা নিজেরে কর জাহির,
হায় ধর্মীয় নেতা সাজিয়া করিছ সত্যেরে অস্থির।
না হক্বের বাজি ফুটাইয়া দিতে হক্বরে চাস দাবায়।
সুন্নতি নীতি গতিহীন করে দিতে চাস আটকায়।
বেগানা রমণীর পূজারী বনিয়া অশ্লীল প্রচারিছ,
ইহুদীর দেয়া তপজপে আজ সন্ন্যাসি সাজিয়াছ।
নমদের প্রথা হৃদয়ে গাঁথিয়া ভুলে রহ গমগীন,
নাছারা বহরে ঘুড়িয়া ঘুড়িয়া নাচিছো হয়ে অধীন।
নম, ইহুদী, নাছারা সালানায়, মুসলিম ছেয়ে রাখো,
ইসলামি শান প্রস্থানে রেখে তামাশা কুহুরে হাঁকো।
ওরে নরপিচাশ! নর কলঙ্ক, অঙ্ক যে ভুলে যাস,
তাই ধামা চাপা দিয়ে ইহুদী মদদে করিতেছ উচ্ছ্বাস।
ঐ মহান মা’বুদ আল্লাহ যে হন সর্বশক্তিমান,
ভুলিয়া কি গেলি কুফ্রিতে হেলি বেয়াকুব খাহিশান।
ঐ কাজ্জাব ওলামায়ে ‘ছূ’, বজ্জাতি তোরা কতকাল করিবি,
কতকাল তোরা ইসলামি দ্বীন হীন করে রাখিবি।
খোদার বন্ধু ইছমে আ’যম ঐ যে রাজারবাগী,
জাগ্রত আজ গর্জিয়া উঠে হক্কানি রাহামাগী।
পৃথিবী জমিন কাঁপাইয়া চলে জুলুছে মুজাদ্দিদ,
তামাম তাকত ভর্কিয়া যায় ভুলিতেছে তাজবীদ।
তাঁর তাজদিদে উল্টায়ে দেয় খবিছি খবরদারি,
তার তাজদীদে বরবাদ হয় মিথ্যা ছল চাতুরি।
হুঙ্কারে তাঁর চুরমারে রয় ওলামায়ে ‘ছূ’র কল,
নির্দেশে তাঁর ছারখার করে খারিজীর ঘৃণ ছল।
ঐ মহান মুজাদ্দিদের তাজদীদী সেল নিক্ষেপে নির্ভুল,
সব লুকিয়ে থাকা খারিজীগুলোরে মারিতেছে চুল চুল।
কইরে মইত্যে কমিনী হদছ মাহি গং খতিয়ান,
ইছমে আ’যম রাজারবাগীরে দেখে কেন পেরেশান।
তোদের কোথা গেল আজ জনবল সন্ত্রাসী হাতিয়ার,
ক্যাডার বাহিনী পালাইছে কেন লেজ তুলে আজিকার।
বীর বেশে আজ মাহফিল হয় বাংলার দিকে দিকে,
মুজাদ্দিদের জয় জয় ধ্বনি ছেয়ে ফেলে গণলোকে।
সৈয়দপুরের পুরোটা শহরে জুলুছে জুলুছে মুখোর,
সেথা মুজাদ্দিদের তাশরীফী ঈদ পৌঁছিল দোর দোর।
সেই সৈয়দপুরের খাক কামড়িয়ে তকবীরে কেঁপে উঠে,
লাল সবুজের বিজয় পতাকা শোভিতেছে হাটে ঘাটে।
খুলে খুলে হায় পরে পরে রয় ওহাবীর ছলনা,
তারা জন ধিক্কারে বেকারার হয়ে ভুগিতেছে যন্ত্রণা।
দ্বাদশ গাড়ীর বহরি জুলুছে যোগ দেয় জনতা,
শহরময় জুড়ে অগ্নিতে রাখে ওহাবীরে তুচ্ছতা।
ওলামায়ে ‘ছূ’র নাকের ডগায় রৌনকে মাহফিল,
করিতেছে করে মুজাদ্দিদ আ’যম তাজদিদে বখশিল।
হায় খারিজী গলায় ঝুলায় ফাঁসি জনতারা ধরে ধরে,
ইছমে আ’যম পাইয়া তাদের জজবা বাড়িছে জোরে।
গাইবান্ধা আর জয়পুরহাট রংপুরে সেই জোশ,
কায়িম রহিছে সত্য জোয়ারে বগুড়ায় মহারোশ।
সেই রোশে ঐ পালাই পালাই জপিতেছে মুনাফিক,
তাগুতি পরশে যাঁচে আশ্রয় হয়ে হায় জিন্দিক।
এবার প্রশাসন পায়ে লুটায় খারিজী ঐক্যের উসিলায়,
স্বকীয়তা বজায় রাখিতেই রহে মন্ত্রী মহিলা নায়।
প্রশাসনের ঐ পুলিশ দিয়ে তারা মাহফিলে বাধা দেয়,
রাজশাহী নওগাঁয় হামলা করিয়া জানোয়ার হয়ে রয়।
ফের জেলা প্রশাসক ডিসি এসপি গাউছি ক্বদম ধরেই,
ক্ষমা যে চাইছে ক্রোন্দনে তারা জজবাহী পরশেই।
তারা পুলিশ ব্যারাকে মাহফিল করে গাউছে পাককে নিয়ে,
তাঁর ক্বদমধুলি নিয়ে হৃদয় জাগায় মুরীদানে যোগ দিয়ে।
আর কর্নেল ব্রিগেডিয়ার আসিয়া ক্বিবলা দ্বারে,
মুরিদ হইয়া শুকোর গাহিছে জীবনের ইজহারে।
শুনে রাখ ওরে ভীরু কাপুরুষ, আমরা মুসলমান,
আল্লাহ ছাড়া কাউরে ডরিনা, শহীদ হতে আশিকান,
কে প্রশাসন ইহুদী নাছাড়া ওহাবী বাহাই কাদিয়ানী।
তোয়াক্কা করি না কোন তাগুত ভীরুতা লইছি ছিনি।
আল্লাহর দেয়া জান মাল মোরা আল্লাহর রাহে দিতে,
জীবিত দেহেতে সর্বদা রহি অনাবিল মজবুতে।
আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত মাদানী বীর বাহিনী,
মুজাদিদ্দ দেন উহা উপহার আরশ হইতে আনি।
তাই ছাহাবা গুণেই ঐ বাহিনী গর্বিত ত্যাজিয়ান,
মোরা দেবী মন্ত্রীরে তোয়াজ করিনা হক্ব পথে আলিশান। (চলবে)
-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১১
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫