আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩

সংখ্যা: ১৩৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওরে নাদান! কেন গ্রহ তোরা, খোদাদ্রোহী ইহুদীর কৃষদান,

কেন ডুবাস কুফরীতে তোর, তমুদ্দুনী ছহীহ প্রাণ,

 হিন্দু দেবীর ষষ্ঠীর ভরে কৃষ্টির গ্রহ নাজ,

ভিখারী হয়ে ইহুদী দুয়ারে, ভিক্ষা মাগিছ আজ।

ইসলামি নামে দল উপদলে,

ঐ সাইন বোর্ডের ছলে,

ইহুদী হুকুমেই ওহাবী সাজিয়া জাগিতেছ নওবলে,

রে খারিজী বামন, চাঁদ ধরতন, বর্তন ফুটো তোর,

 হায় তপস্যার ধন আমাবশ্যায়, নিষ্ফলে এলো ভোর।

ঐ যবনিকা তোরে,

হায় গ্রেফতার করে,

ঠিক ব-ঠিক দিলেন মালিক, আযাবী ভীষণ নারে।

খোদার আরিফ,

লন যে তা’রিফ,

রওফি বোরাকে ছফর করেন, মাহবুবে হন শরীফ।

ঐ আরশী পুরে, আউলিয়া তরে,

লক্ববের মারজান।

চমকিত হালে, রহিয়াছে জ্বলে,

 থরে থরে সাজোয়ান,

সেথা হতে খোদা ফায়দায় দেন, লক্ববের মহা শান,

আউলিয়াগণের রৌণকি শিরে, পরে দেন বহমান

হায়! বেশামাল ওহাবী,

রহে হিংসায় রেজভী,

তাকাব্বুরীর আগুনে জ্বলিছে, ঐ জালজালা পায়রবী,

রে বেয়াকুফ জানিয়া রাখরে, সত্যই খোশ রবি।

 খড়কুটা সেজে, খ্রীষ্টানে গুজে, কেন র’স মৌলভী?

ঐ শৃগাল রূপি মুনাফিক,

দেখ্ নার নজদিক,

কুল মাখলুক মজবুরী ছেড়ে, তোরেই দিচ্ছে ধিক।

 গযবী মালায়িক গুড়াইয়া দেন, বেলাহাজী অহমিক।

ওরে শাগরিদে খন্নাস,

তোরে করে উপহাস,

ওহাবী সাজিয়া চাপড়াও বুক, দুখ নহে অবকাশ।

বেনিয়া নমর সিঁদুর কহরে, ললাটে রং মাখাশ।

রে ভ- আমীর! হিন্দু খামিরে, একাকার হয়ে যাস,

মুসলমানের তাসলিম লয়ে মিছে করো হাসপাস।

রে পুটি মাছ রুপি বাহাদুর,

ছিনাতে কি চাহ জান্নাতি হুর?

হাসি পায় মোর, ব্যর্থ কোশেশে হয়ে রহ মজবুর।

 ইহুদী খ্রীষ্ট নমর সৌর্য করে দিতে মিসমার

 রাজারবাগের বাগ্মি শায়খ, আসেন পৃথিবী পাড়।

তিনি দ্রুত ধেয়ে আসেন, হয়ে যে ঘুর্নিঝড়,

 মুজাদ্দিদী, গাউছ, ইমামী মুকুটে, শানীদান উর্বর।

রাজারবাগী মুর্শিদ,

তিনি হন গুণি বিদ,

তিনি আ’যমে মুজাদ্দিদ,

নায়িব মুজাদ্দিদ আওলাদ তাঁর, যাওজা ক্বায়িম-মক্বাম,

আর যুন্নুরাইন বিনতানে তাঁর, বুরহানে ইসলাম।

 মুর্শিদী আহল্ পাক পাঞ্জাতন, নক্শায়ে মদীনা

আক্বীদা রাখিও হক্কানী নাজ দিল-দেহে সমঝানা।

উলামায়ে ‘ছূ’ ভন্ডরা সবে, বানোয়াটি পথে চলে,

হে মু’মিনীন সবে সাবধান হও, পরিওনা সেই ছলে।

 যামানার ইমাম মুজতাহিদ,

ঐ যে মুজাদ্দিদ,

ডাক দিয়েছেন সুন্নাহর পথে, কামিয়াব রেখে ঈদ।

বড় কাজ্জাব ওহাবীরা,

শরীকান খারিজীরা,

রেজভীও তাতে জোড়া,

ঐ শিয়া কাদিয়ানী বাহাইদেরও, করিতেছে বাটোয়ারা।

 ওরে কমজাত,

 তোরা কুপোকাত

 দস্তে মুজাদ্দিদ ধরাশায়ী আজ প্রগতির বিদয়াত।

 তিনি মাহিয়ে বিদয়াত, মুহিয়ে সুন্নাত, ইলাহীর বারাকাত।

হিমাদ্রীর ন্যায় মুর্শিদ অটল টগবগী খুনে নূর,

অনাদী সে নূর মঞ্জুরে রহে রহ্মানে সুরাসুর।

 পনের শতকের দুনিয়া যে হয়, সেই নূরে নূরিয়ান।

সারা মাখলুকে ছাবিত করান কানুনে আল্ কুরআন।

ঐ আল্ হাদীছের আমলে রাখেন মিল্লাতে মুসলিম,

ফিক্বাহ তাছাউফে সঠিক রাখিয়া, তিনি যে দেন তা’লীম।

মুনাফিক তোদের তদফিন তরে রাজারবাগীরা প্রস্তুতে,

আজীবন তাঁরা আল্লাহর পথে রহিতেছে রশ্মিতে।

 -বিশ্বকবি সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান,

 কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ – শব্দার্থ –  তদফিন- কবর দেয়া, দস্ত-হাত, মাহিয়ে-মিটিয়ে দেয়া, মুহিয়ে- জিন্দা করা, হিমাদ্রী-পর্বত, সাবিত-ধার্য, কানুন-আইন, আমীর-নেতা, খামির-মন্ডপ, নাদান-মুর্খ, নার-আগুন, আরিফ-পরিচয় প্রাপ্ত, তারিফ-প্রশংসা, মারজান-পরশ পাথর, বেয়াকুফ-নির্বোধ, নজদিক-নিকটে, মজবুর-অক্ষমতা, বেনিয়া-ইহুদী দালাল, শানীদান-দ্রুত, মুজাদ্দিদ-সংস্কারক, আ’যম-শ্রেষ্ঠ, আওলাদ-সন্তান, জাওযা-স্ত্রী, জুন্ নূরাইন-দুই নূর, বিনতান-দুই মেয়ে, বুরহান-দলীল, কাজ্জাব-মিথ্যাবাদী, রওফ-অনুগ্রহ, দয়া, তাকাব্বুর-আহমিকা,পাক পাঞ্জাতান-পবিত্র।

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০