হে মুখ পোড়া চকিদার!
মুনাফিকি পেশার ঠমক যে তোর প্রকাশ হয় বারবার।
স্বগোত্রের সব কলংক ঢাকিতে মিছে কর তোলাপাড়,
তোরা হৈ হুল্লোড়ে ঠক্কর খেয়ে ঠাই লও কিটগার।
উলামায়ে ‘ছূ’র ফর্দ প্রকাশে, কভু না হয় গীবত,
কুরআন-হাদীছে প্রকাশ রহিছে জলন্ত ইবারত।
উলামায়ে ‘ছূ’দের ত্রুটি বের করে তিরস্কার করা হলে,
ষাট বছরের বেরিয়া নফলের বন্দিগী নেক মিলে।
শাহে জালিম আর ভ- আলিম দুশমনে ইসলাম,
ছলে বলে তারা স্বার্থ হাছিলে দ্বীনে করে অপকাম।
ঐ শাহে জালিম হতে ভয়ঙ্কর জানি মিথ্যুক মৌলভী,
তাগুতি বাসনা পুরণের তরে নিভায় ধর্ম রবি।
সবচেয়ে মহান সম্মানী হলো মুত্তাক্বী আলিমান,
রয় জাহান্নামে ভ- আলিমে অপমানে নিচুয়ান।
ঈমানী গরজ মুবাল্লিগের, আওয়ামের মাঝে বলা,
ঐ ঘৃণ্য পিশাচ উলামায়ে ‘ছূ’দের মুখোশ খানিরে খোলা।
ঐ ঘৃণ্য ‘ছূ’দের রুখিবার লাগি মহান আল্লাহ তায়ালা,
পনের শতাব্দীর মুজাদ্দিদ পাঠান বাংলায় সচ্ছলা।
আল্ ক্বাদীরের মিছদাক তিনি জব্বারী আনোবীক,
বাতিল বিদ্য়াত উলামায়ে ‘ছূ’দের রুখে দেন দাম্ভিক।
তিনি মুশফিক্ব, নন যে অলিক, অধুনা প্রগতি বেলা,
তিনি মুজাদ্দিদ, ওয়াহিদে হাদীদ, দ্বীনিয়াতি কাঞ্জুলা।
মহান খোদার হুকুমে উজার, হাদীয়ে রাজারবাগী,
মুজাদ্দিদ আ’যম হয়েই জনম তাশরীফে অনুরাগী।
উলমায়ে ‘ছূ’ খারিজী-ওহাবীর, দুর্গ গুড়িয়া দিতে,
মুজাদ্দিদ তাঁর মিসাইল ছুড়েন, ঐ যে বাইয়্যিনাতে।
তিনি যে বীর গণী,
উল্টায় দেন ওহাবী তখত্ মতলবী ভান ছিনি।
মরদুদ হায় বুদবুদ করে ছাড়িয়া যে বিকিকিনি,
সেই মুজাদ্দিদের দগ্ধ শুলেই ঝুলিতেছে শয়তানি।
কইরে খারিজী পালায় রাফিজী ওহাবী লুকায় গারে,
ইহুদীর কোলে আশ্রয় নিতে ক্বদমে রহিছে পরে।
ইহুদী ও খ্রীষ্টান,
উলামায়ে ‘ছূ’দের হাতিয়ার করে পেতেই ধরছে ফাঁন্,
কোশেশ করিছে শয়তানি ছলে রাখিতে যে হয়রান।
সাবধান! রহ্মানি ফরমানা,
খোদার দোস্ত মুজাদ্দিদ, তাঁকে রুখ্তে যে পারবেনা।
ঐ তাঁহার ওছীলায় ভুমে বর্ষায় রহমতি বরছানা,
তাঁর ঈমামিতে রয় নিবেদিতে, মুসলিম সবজনা।
সেই সে মুজাদ্দিদী খরগে,
পৃথিবীর সব তাগুতের শিরে বজ্র আঘাত লাগে,
জালজালা হায় বিরাজ করিছে মুনাফিকি হৃদবাগে।
লুকে লুকে খারিজী,
জানমাল হায় বাঁচাবার তরে করে যে ফতওয়াবাজি।
ইহুদী শরাবে বেতাল সাজিয়া ঝারে মিছে কারসাজি,
মুজাদ্দিদ নামে বদনাম গাহে জনতার মাঝে গুজি।
মুজাদ্দিদের বিরোধিতা করাই ইহুদীরা দেয় পুঁজি,
নবাগত মুনাফিক,
মুজাদ্দিদ হতে রহে বিতারিতে, বদকারে লহে ধিক,
জোর প্রণামে ইহুদী ক্বদমে মদদ মাগে ঠিক ঠিক।
ইহুদীও তাদের করিছে গ্রহণ, দিখ দেয় আখলিক্ব।
ঐ ইহুদীর সাথে আত্মীয়ে গেথে লভিতেছে নন্দিক,
লিফলেটে কহে তারা,
দেশ বিদেশের আলিম-উলামারে তোহমত দেয় কারা?
রাজারবাগী তাঁর মুরীদান নিয়ে এ কাজে শরীক পুরা,
আল বাইয়্যিনাতে কুৎসা গাহিতে কভুনা রহিছে থোরা।
আমরা আলিমরে কাফির কহিয়া ফতওয়া প্রচার করে,
মুসলমানের সম্মান তারা ধুলাতে মাখিছে জোরে।
এমন করিয়া মিথ্যা বচনে প্রচারণে দেশময়,
নব্য মুনাফিক রয়েছে অধিক নিজ করে নিঃশ্বয়।
নাদান হে বুরবাক,
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদী ঘাতে, তোরা খাও ঘুরপাক,
হয়ে বুঝদিল লহ মুশকিল, মরদুদী মিছদাক।
মুজাদ্দিদ পীরের রোবী মিসাইলে চুরমার কুটচাক,
ইলাহীর তিনি কুয়্যতি রাজ, নেই যে তাহাতে ফাক্।
ওরে ও বুদ্ধ জাহিল,
মুসলমানেরে কত কর তোরা, মিথ্যা বচনে কাহিল,
কুশপুত্তলিকা জ্বালাইয়া তোরা পুজায় রহ যে শামিল।
মৌলবাদ দাবী করিয়াই তোরা বন যে খ্রীষ্ট আমীল,
ব্লাসফেমী আইন হালাল করিতে গণতন্ত্রেই দাখিল।
বেপর্দা ও ছবি জায়িযের তরে, দাস হও প্রগতির,
লংমার্চ তাল, হরতালি চাল, মাঁও চাঁদি প্রসতির।
তোদের প্রতারণা হয় ফাঁস,
ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদ হাতে দমিতেছে উল্লাস,
সর্বদাই ওরে গ্রেফতারে, গাউছে পাকের মহা রোষে,
গাউছে আ’যম রাজাবাগী যে, তাগুত মারিছে কশে।
ঐ যে রে দেখা যায়,
শহীদী পোশাকে রাজারবাগীরা পূবের আকাশে রয়।
আল্লাহ, রসূল ও মুর্শিদ তরে জান দিতে নিশ্চয়,
তারা বাইয়্যিনাতের ঝান্ডা বহিতে রহিয়াছে অক্ষয়।
-বিশ্বকবি সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০