মহান খোদার শ্রেষ্ঠা হাবীবা মোদের আম্মা হুযূর,
মদদে খোদার শক্তি গ্রহীয়া ছফরে লন ছবুর।
হালাক করেন মরদুদী বাদ,
নারী সমাজের ক্ষত বিষাদ।
ঐ খোদার দুয়ারে রমণীকুলকে রাখিছেন মঞ্জুর,
সতী তাক্বওয়ার রিযায়ী মাক্বামে প্রিয়া হন বন্ধুর।
ঐ বন্ধু যে হন ইলাহী খোশ,
শয়তান যে রহে খামোশ।
উপহাস সব নিঃশেষ করে বনে নারী নির্দোষ,
মু’মিনা তাহারা কমিনা ত্যাগিয়া ছাড়িয়াছে আফসোস।
পর্দাপুরীর শ্রেষ্ঠা প্রতীকা, আম্মা ক্বিবলা মহীয়শী,
রসূলে খোদার নাজ নিয়ামতে দ্বীনিয়াতে ঊর্বশী।
আরশে তিনি করেন ছায়ের,
লভিয়া আনেন জোশ খায়ের।
ধরণীর মাঝে জননী মোদের দু’হাতে দিলেন পশি
পুলোকে নাচিছে গগন-পবন গাঁও গণ রবি শশী।
সাইয়্যিদী নসবে নজরান শোভে পান পাঞ্জার নূর,
কায়িম-মক্বামেই যোহ্রা লক্ববে তিনি যে রন বিধুর।
তিনি ওয়াক্ফ করেন জান্ কালাম,
ইসলাম মাঝে লভেন সুনাম।
সত্য শাশ্বত সুন্নাহী শানে আম্মা যে আঞ্জুর,
দুর্বার ত্যাজে জঙ্গি সাজিয়া তাড়ান যে খিঞ্জুর।
অভাগা যে নন ভাগ্যেই তাঁরে উঠায় যে আফরোজে,
ঐ রোজে আযলের জমরূদ গৃহে রহিছেন মন্তাজে।
আন্দাজ তিনি চিড়ে চিড়ে,
নিশ্চিতে রন জুরে জুরে।
প্রগতি যুগের কুহেলিকা ঝরে কভুনা রহেন টলে,
ইলাহী মদদে দুর্দমা হৃদে আম্মা যে উঠে জ্বলে।
বেহায়া বসন খুলে খুলে,
আব্রু ঢাকান চোখ গলে।
বীরঙ্গনার বিরিস্মা ধরিয়া সুন্নী নূরেতে দুলে,
জান্নাতী নহর নারী মহলেই বহান যে কলকলে।
প্রগতির শিরে থাপ্পর মেরে ফিরিতেছে আজ নারী,
পণ্য দ্রব্য কভু নহে তারা নরসম লভে অধিকারী।
হায়! প্রদর্শনীয় নহে নহে,
উদ্ভট প্রথা দহে দহে।
আম্মা সাইয়্যিদা দলীল দ্বারাই প্রমাণ করিছে তাহে,
জামাত, খারিজী, ওহাবী ধোঁকারে ছুড়িছে অগ্নিগাহে।
সেই তরে হায় ইহুদী দালাল ওহাবী ক্ষেপিল বেশ,
ছিদ্দীকা মা’র দিশারী নীতির রাখিতে চাহেনা রেশ।
মুনাফিক ঘারে ভর করে,
ওহাবীরা কহে চিৎকারে।
রাজারবাগের বীরঙ্গনা মা বিলাসী সোয়ারে ঘুরে,
প্রসাধনী নাজে আপনারে খুঁজে বিত্তের কহিনুরে।
রে বেত্ত্বমিজ! নিজ মুখে তুই কহিস্ সামলে কথা?
তোর তাগুতী দেবতা মরদুদও কাঁপে ওলীদের শানে যথা।
সাইয়্যিদা আম্মা তাক্বওয়াবান,
শরাফতে তিনি ত্যাজিস্মান।
সুন্নী আলোকে হাজির ভূলোকে বুকে লয়ে ফুরক্বান,
হানাফী বাগের সুরাইয়া সিতার কালজয়ী হাদীয়ান।
নসবী পিরিতে তরিক্বত পথে ধ্রুব তারা দিবাকর,
নিসায়ী জাতির গতিশীলা হন তিনি যে অনন্তর।
আল্লাহর দেয়া সেরা মহর,
আম্মার তাহা হয় উদর।
রসূলে পাক-এর পাক পছিনায় আম্মা নূরী বদর,
মুজাদ্দিদের তাজদীদী যুগে তিনি যে দ্বারে শহর।
ওরে ধুরন্দজ! তোদের মগজ ধোলাইয়ে দেখ্ চেয়ে,
সাইয়্যিদা মা’র শান-শওকত ঊর্ধ্ব আরশ ছেঁয়ে।
হায় অন্ধরা চোখ খুয়ে,
পিছ্লায় যাস্ শ্লীল থুয়ে।
বকছিস্ তোরা আবল-তাবল শয়তানি সার খেয়ে,
গণধোলাইয়ে অবশেষে হায় লুকাস্ বাদাড়ে গিয়ে।
শুন্রে মায়ের পর্দা কেমন দুনিয়াবাসীরে বলি,
পাঁচ বছরের বেগানা বালকও ব্যর্থে রহিছে হেলি।
পারেনা হেরিতে আম্মা শেকলী,
খাছ্ তাক্বওয়ার সাঁচ পলি।
আরে, আম্মা যে হন আল্লাহ তা’য়ালার মাহবুবা বুলবুলি,
সাইয়্যিদী কাননে সবারার তিনি নক্শা যে ইজমালী।
শরীয়ত, তরীক্বত, হাক্বীক্বত মাঝে তিনি যে সৌর গতি,
সেই সৌর গতির আহ্নিকে টেনে নিসায়ী রাখিছে সতি।
উম্মুল মু’মিনীন ছিদ্দীকা, রসূল জিয়নেই স্বর্ণ লন,
রসূল পাকের বেছালের বাদ রৌপ্য করেন গ্রহণ
রে মুনাফিক! তোদের হাদীছি ব্যাখ্যা ভুলে গ্রথন।
খামোশ হয়ে সামাল তন্,
আপন কবর কর খনন।
আম্মা খরগ তোদের কপালে বাজেরে ঝনন্ ঝন,
সত্যের বাতি হিমাদ্রী চূড়ায় রশ্মি রাখিছে পণ।
-বিশ্বকবি সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০