তারা মুজাদ্দিদকে কাফির কহিছে মুসলিম জন দোড়ে,
হায়! মিথ্যা ফতওয়ায় ঠকায় তাহারা, আওয়ামের অন্তরে।
মিথ্যা তোহমতে লিফলেট ছেপে চুপিসারে করে বিলি,
নামবিহীন ঐ লিফলেট মাঝে লিখিছে মিথ্যা কলি।
করছি তাদের নিম্নে উহার লিফলেটে যাহা আছে,
রাজারবাগ শরীফের মহান মুজাদ্দিদ, তিনি নাকি হন মিছে?
তিনি সুদের টাকায় বানান বাড়ি, গাড়ি ও অট্টালিকা, নাউযুবিল্লাহ্!
মুনাফিক ঠক, দিতে চায় দেয় ধোঁকা।
সর্ব রকম সুদ যে হারাম ফতওয়া দিছেন তিনিই,
শহর-বন্দর সারাদেশ ঘুরে প্রচারেন সেই বাণীই।
কুরআন-হাদীছ, ইজমা-ক্বিয়াসে প্রমাণ করিছে ওরে,
সব মু’মিনীন হুশিয়ার হন, সুদী লেনদেন ছেড়ে।
নব্য মুনাফিক গ্রহীছে অলীক, দীক্ষা যে ইহুদীর,
উক্ত ছবকে রহিছে ঠমকে, অহমিকা স্বপ্নির।
মুসলমানেরা লিফলেট পেয়ে, আফসুসে উঠে কেঁদে,
হক্বানী পীর রাজারবাগীই, রহেন না কভু সুদে।
রে চোগলখোর, মুনাফিক! জেনে রাখ্ ভাল করে,
মুজাদ্দিদ দ্বারে তুচ্ছ তোরাই শুনরে কর্ণ চিড়ে।
ঐ মিছদাকে তিনি চির ক্বাদীর,
কেউ যে পারে না তাঁরে রোধির।
সদা তাঁর কাছে মরদুদ সদা রহিতেছে অস্থির,
সৃষ্টি সকল তাঁর দ্বারে মাগে, পেতে নাজ মর্জির।
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুজাদ্দিদ তিনি খোদার বীর নায়িব,
তিনি দুনিয়ার বুকে রওনোকে থাকে, লভে যে খোশ হাবীব।
রসূলে পাক-এর রহমত তিনি,
করে ভরপুর ধুসর-ধরণী।
তিনি খোদাদ্রোহী মুনাফিকদের ক্ষমতা রাখিছে ছিনি,
আল্লাহমুখি যে বান্দারে রাখে, জান্নাতী মেহমানী।
ইসলামী জোশে বাতিলকে ধ্বসে করে দেন হুশিয়ার,
সুন্নতী শানে ইলাহীর গুণে করে যে ঈমানদার।
মুজাদ্দিদ শিরে শাহী মুকুট,
নাশে শয়তানী যত না ঝুট।
ঐ মুজাদ্দিদের তাশরীফে হায় তাগূতবাদীরা ছুট,
খুঁজিছে তাহারা লুকাবার তরে আঁধার যে ঘুট ঘুট।
অধুনা যুগের সেই মুজাদ্দিদ রাজারবাগের রাজজাদা,
তাঁর তাজদীদ বল্লম রূপে তাগুতি কপালে বিধা।
সেই মুজাদ্দিদকে দেখে তারা,
হোঁচট খাইয়া বনে খোড়া।
তাই তো তাঁহার বদনাম গেতে রহিছে কাছাদি থোরা,
হায়! মিটিং, মিছিল, মাহফিল মাঝে করিতেছে মশকরা।
তিনি বিলাশ প্রিয় সুদখোর বলে বিলায় প্রচার লিপি,
মুজাদ্দিদ তনে কলঙ্ক লেপনে জনতারে রাখে তাপি।
কুয়াশা পাহাড়ে রাখে ঠাসি,
দেখিয়া যে মোর পায় হাসি।
দেখ, সূর্য কিরণে বিরাণ যে হয় মুনাফিকী পয়দাশি,
দ্বীনি সূর্যই মুজাদ্দিদ, তাঁর রোবি কিরণেই যায় ভাসি।
সুদ দেয়া-নেয়া কবীরাহ গুণাহ, কোনরূপে নেই হালাল,
অনুরূপ ঘুষের প্রথাও ফতওয়া দিলেন, বাতিলেরা নাজেহাল।
হুমড়ি খাইয়া পড়ে বাতিল,
ফতওয়ায় তারা রয় কাহিল।
ঐ ফতওয়া খানিরে মানসূখ তরে ইহুদীতে দেয় মিল,
ছলে-বলে তায়, তাগুতের পায়, অর্ঘ যে বখশিল্।
ঐ বদমাইশ! তোরা খুলিয়া দেখ্, রসূলে পাক-এর সীরাত,
যিন্দিগী তিনি কেমন কাটান ধরিয়া যে দ্বীনিয়াত।
অনুরূপ সুন্নী জীবনই গ্রহণ,
ঐ রসূলে পাক-এর অনুসরণ।
তিনি হালাল গ্রহেণ, হারাম ত্যাগেন, সুন্নাহ্তে বিচরণ,
পবিত্র জীবন খাছ পর্দায় আহল্ বর্গ জিয়ন।
তিনি নিবেদিত আহালসহ-ই ভিতর বাহিরে পুরোপুরি,
মিছদাকে রন রসূলী ভূষণ, ভুবনে করেন জারী।
বিবিও তাঁহার সাইয়্যিদাহ্,
তাজদীদ দানে রন সদা।
ছফর করেন মুজাদ্দিদ সনে গ্রহীয়া হস্তে গদা,
খারিজী, ওহাবী, কাদিয়ানী রীতি উপ্ড়ান তান্জীদা।
নারী সমাজের প্রতিখাতেই,
সাইয়্যিদাহ আসেন ঐ ধেয়েই।
থাবা মেরে তিনি অশ্লীল ছিনি, তাবা করে দেন সেই,
হন ক্বায়িম-মক্বামে মুজাদ্দিদ ভুমে দাবান বাতিলি খেই।
হাহাকার নেই নারীর দূর্গে, জান্নাতী নদ বহে,
বীরঙ্গনা মা’য়ের ছোহবতে এসে সুন্নী তর্জ লহে।
ঐ সুন্নী তর্জেই করে যে দিলেন নারীদের মহামতি,
রমণী গোষ্ঠী আম্মাতে পায়, সম অধিকার গতি।
কুরআনে রয়েছে যেই নীতি,
ছিদ্দীক্বাহ দেন সেই সতী।
তামাম বাতিল ভেঙ্গেচুরে আজ তাঁর দ্বারে হয় নতি,
তিনি যে খোদার উপহার হন, রসূলের মিশকাতি।
হায়! মুনাফিক বনে জিন্দীক্ অগ্নিতে চুরাচুর,
ইহুদী আশ্রয় পাইয়াও তারা ভয়ে থাকে মরুপুর।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১