আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯

সংখ্যা: ১৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আজকাল কিছু নব্য মুনাফিক জাহির হইছে দেশে,

ওহাবী খারিজি চামচা সাজিয়া গর্জিছে নও বেশে।

ওই চামচারা সব মুরীদ বনিয়া ছিল যে রাজারবাগ,

বিশ-পঁচিশ বছর থাকিছে তাহারা অনুগতে অনুরাগ।

স্বার্থ হাছিলে ব্যর্থ যে হলে, ক্ষোভের আগুনে জ্বলে,

ওহাবী গুরুর ভোগ না পাওয়াতে, ভনিতা যাচ্ছে খুলে।

 তাই আপন ললাটে মোহর মারিয়া সরিয়া পড়িল তারা,

ঐ মিছে বদনাম গাহিয়া ফিরিছে ইহুদীর পোষ্যরা।

আল বাইয়্যিনাতের  বজ্রানলেই কুপকাত মুনাফিক,

কুপকাত হল সকল গোমরা, পাইছে শতধা ধিক।

বিকৃতি হয় চেহারা তাদের দিল দেহ যায় বেঁকে,

 তিরস্কারের অগ্নিলাভাতে রহিছে তাহারা ঝুঁকে।

 হিংসা গর্বে ফেঁেস গেল ঐ অপমান কুহি পারে,

নিজের ফাঁদেই গ্রেফতার হয়ে আপসোসে চিৎকারে।

মিথ্যা লিফলেট বিলি করে পায় জনতার আক্রোশ,

 সূর্যের ন্যায় প্রকাশ তাদের আছে যত ঘৃণ দোষ।

 ওরে মুনাফিক, বদনাম গাওয়ার কেমনে সাহস পেলি?

ওরে অকৃতজ্ঞ অজ্ঞের দল মতি ভ্রমে রহ ঝুলি।

ঐ মহান মুজাদ্দিদ সুন্নী আবিদ চিরদিন রওনক,

তাঁহার ছোয়ায় সুন্নাহ্ সকল হয়ে উঠে চক্ চক্। তাঁ

হার পরশে তোরাও যে এসে দেখেছিস্ বহুবার, রা

জারবাগ শরীফের হযরত তিনি হক্ব রাহে তেজিয়ার।

রে মুনাফিক, দেখেছিস তোরা দীর্ঘ জীবন ধরে,

 তিনি হযরত, সেরা শরাফত, দ্বীনিয়াতি প্রান্তরে।

তিনি যামানার ইমামে আ’যম, সাইয়্যিদি রাহ্বার,

জলির্লু ক্বদর নায়েবে রসূল, বাশারি শ্রেষ্ঠ নর।

তিনি নাসিরুদ্দীন, নন গমগীন নেই তাঁর শংষয়,

 মদদে খোদার পান বেশুমার প্রতি হুসে নির্ভয়।

 ঐ বাইয়্যিনাতের প্রতি অধ্যায়ে, সত্য রহিছে লিখা,

ঐ বাইয়্যিনাতের ছোঁয়ায় মু’মিন পায় যে হক্বের দেখা।

উহার প্রতি পৃষ্ঠার লিখনের বুকে দলীলের সমাহার,

কুরআন-হাদীছ, ইজমা-ক্বিয়াসেই সাজানো যে সমাচার।

প্রতি ফতওয়ার মোকাবেলায় ঐ বাতিল টলিয়া পরে,

দেখ বিদ্য়াত কুফর হচ্ছে ধূসর কুহে কাফি অন্তরে।

সত্য সমাগত, মিথ্যা দূরীভূত কুরআনে ইলাহী বাণী,

আল বাইয়্যিনাত মিছদাকে রয়, গ্রহীছে সেই সে ধ্বনী।

 তাই বাইয়্যিনাত হয় বাংলা কুরআন, শুন্ মুনাফিক শুন্,

 ঐ বাইয়্যিনাতের খরগী হস্তে কাটিছে তোদের ধুন।

 আল বাইয়্যিনাতের লেখক যাহারা, তাহারা মর্দে বীর,

নিবেদিত প্রাণ জিন্দা জমীনে প্রতিজনে তানজীর।

 দুলকে-ভুলকে সবকূলে তারা হয়ে থাকে মহীয়ান,

শায়খে ইশকে রোশ নাই রহে দ্বীনিয়াতে বোরহান।

শায়খের ত্বরে প্রাণ যে উজারে ছাড়িয়া যে ভয়ভীতি,

দেহ দিলে তারা অটল অনড়, গ্রহীতে শায়খী নীতি।

 রে বেঈমান মুনাফিক জাত, তোরা কি গেছিস ভুলে?

বাইয়্যিনাতের লেখকের দল দলীলে গ্রথন মূলে।

সত্যবাদী হলে দলীল দেখাও, ইহা যে কুরআনী বাত্,

ঝুটবাদী ঐ তাগুতি পূজায় লেগে থাকে দিন রাত।

আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক তিনি হোন যে প্রজ্ঞাবান

সত্য প্রকাশে দীপ্ত পুরুষ অকপটে লন জ্ঞান।

নিবেদিত তিনি শায়খী প্রেমেই করে যে নিজ উজাড়,

দায়িত্ব পালনে নিরলস তিনি ধারে নাকো কারো ধার।

ঐ বাতিল বিরুদ্ধে লিখনী তাঁহার জ্বালাময়ী ক্ষুরধার,

শত্রু ঘায়েলে অগ্রণী তিনি বনেন যে কোয়াছার।

মিশাইলের ন্যায় আঘাত হানিছে তাঁহার লিখনী গুলা,

নিস্তেনাবুদ খলরূপী ভূত পারে না করিতে খেলা।

আল বাইয়্যিনাতের ফতওয়া বিভাগের সকল মুফতীগণ,

মুহাক্কিক তাঁরা জাহির বাতিনে আরিফীন প্রতি জন

। বলিষ্ঠ তাজদীদ প্রচার করিতে জান বাজি রাখে তাঁরা,

প্রতি ফতওয়ায় চ্যালেঞ্জ ছূড়েন, আনুবিকে রহে পুরা।

রসূলে পাক-এর রোশ নাহি দ্বীন, সুন্নাহী তাক থেকে,

আনিয়া পশেন আওয়ামের মাঝে মুর্শিদী পরিপাকে।

আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত গড়েন, মুজাদ্দিদ নিজ হাতে,

 উহা যে বলিষ্ঠতায় নিষ্ঠবান হয়, ইসলামী দ্বীনিয়াতে।

ঐ আঞ্জুমানের কর্মীরা সব, মুজাদ্দিদী লশ্কর,

ঐক্যবদ্ধে অটুট রহিছে কভু নহে নড়বড়।

সর্বক্ষণ তাঁরা সচেতন, বাতিলের সাথে মোকাবিলায়,

ঐ কুরবান তারা মুর্শিদ ত্বরে, জনম লহে বসুধায়।

 এই যামানার ছাহাবী কাফেলা, আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত,

ঐ আঞ্জুমানই আহলে সুন্নাহ্য় জ্বেলে রাখে সদাক্বাত।

 তাই মুনাফিক ভীতু যে অধিক, চুপে চুপে যায় বলে,

তারা নবী-ওলীদের বদনাম গাওয়া স্বভাব রাখিছে মূলে।

 যত না মুজাদ্দিদ আসেন ধরায়, বলে দেয় ইতিহাস,

সদা বিরুদ্ধবাদী মুনাফিকরাই, পিছে করে উপহাস।

ঠিকানা যে নেই লিফলেট মাঝে কোথায় যে দুশমন,

‘আমরা ঢাকাবাসী’ নামের ঠিকানা খুঁজিছে মুসলিম জনগণ।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১