রে মুনাফিক! তোরা কায্যাব হয়ে বনেছিস ভবঘুরে,
বদ্কার তোরা ধিক্কার গ্রহে জ্বলছিস্ ইয্হারে।
পূর্বেই তোরা লা’নতপ্রাপ্ত ঘোষণা কুরআন পাকে,
হৃদয় দুয়ারে সিল মারা আছে চাহিয়া দেখরে বুকে।
গুরু যে তোদের ইবলিস সেও নেক কাজ করেছিল,
মুয়াল্লিমুল মালাইকা হয়ে মকরুমী পদ নিল।
হায়! মুনাফিকি আর হিংসায় তারে বরবাদ করে দিল,
লাখো বছরের ইবাদত তার নিমিষে উবিয়া গেল।
শয়তানেরই পোষ্য সাবকই হয়ে থাকে মুনাফিক,
হিংসা বড়াই করিয়া দেয় যে, দিল দেহ যিন্দিক।
ওরে মুনাফিক পদ লোভী তোরা হিংসায় বেসামাল,
অগ্রে আসার অহং চাবুকে নিজ কর পয়মাল।
শয়তান যে ঐ অগ্রে আসার গর্ব চাদরে মোড়ে,
হায় অহং গর্ব তাহারে খর্ব রাখিছে পতনি গোরে।
ইনসানি খাক হয়ে রহে পাক বিনয়ের বাহু জোড়া,
ঐ বিনয়ী মুকুটে ইনসান হয় আল্লাহ পাক-এর পেয়ারা।
আল্লাহ তরে যাহারা উজার তাঁহারা কামিলদার,
তাঁহারা খোদার সদা অনুগত রহিতেছে হুশিয়ার।
শয়তান তরে সচেতন তাঁরা শত্রু ভাবিছে তাকে,
আল্লাহকে তাঁরা বন্ধু ভাবিছে সর্বদা সব পাকে।
ওরে বেয়াকুফ! শুনে রাখ সব জাহিলী যে অভিশাপ,
ঐ জাহিলী তোদের ঘিরিয়া রাখিছে করিতেছ সদা পাপ।
খোদার বন্ধু মুজাদ্দিদ হন হাক্বীক্বী নায়িবে নবী,
রসূলে পাকের খলীফা যে তাঁরা সুন্নতে পায়রবী।
তাঁহাদের দ্বারা নস্যাৎ হয় বিদ্য়াত-বেশরা-কুফর,
সংস্কার হয় দ্বীনিয়াতি কামে তাজদীদী আকবর।
তাঁহাদের সাথে বাতিল কভু না পারিয়া উঠিছে ভবে,
নিস্তানাবুদ হয়ে যায় ওরে পতনে রহিছে ডুবে।
শয়তান হায়, ভয় পায় শুধু হেরিয়া মুজাদ্দিদ,
ঐ মুজাদ্দিদই দমাইয়া দেন শয়তানি তাকলীদ।
ইহুদী-নাছারা, মুজুসী-নমরা শয়তানি ভাঙ্গা ঢাল,
ওহাবী-খারিজী, বাহাই-শিয়ারা উহাতে যে উত্তাল।
শয়তানেরই সামানা গ্রহিয়া মুনাফিকি করে তারা,
আল্লাহকে হায় ভুলিয়া বাজায় মুরতাদী সিতারা।
হুমকি-ধুমকি দেখায় তাহারা নাঁচে যে তা-ধীন-ধীন,
উঁই পোকা রূপি পাখনা ভাঙ্গিয়া হয়ে যায় নিশ্চিন্। ও
রে বেয়াদব! আন্ধার দল, ভেবেছ কি একবার,
মুজাদ্দিদের গোস্সা অনলে হয়ে যাস্ ছারখার।
অনুরূপ এক মুজাদ্দিদ তিনি রাজারবাগী মুর্শিদ,
আওলাদে রসূল, গাউছুল আ’যম, আউলিয়া মুনজিদ।
তিনি মুজাদ্দিদ ইলাহী আবিদ, রসূলে পাক-এর নাজ,
ঐ নাজখানি বাজ হয়ে ভাঙ্গে মরদুদী আন্দাজ।
রে মুনাফিক! তাঁর নামে তোরা অপবাদ রটে বেড়াস,
তাঁর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন ছেপে নানাহ গাঁয়েই ছড়াস।
ঢাকা শহর থেকে চাঁদপুরে তোরা, চুপি চুপি যেয়ে যেয়ে,
খারিজীর সাথে দোস্তি করিয়া বিলি করিস গিয়ে গিয়ে।
জনতারে তোরা ধোঁকা দিতে চাস, কায্যাবি আখলাকে,
আম জনতার ধাওয়া খেয়ে ফের, লুকাও খারিজী বুকে।
ঈদে মীলাদুন্ নবীর মাহ্ফিলখানি চাঁদপুরে যবে হয়,
তামাম খারিজী, মুনাফিক তোরা হয়েছিলি নির্দয়।
হায়! অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি নামে,
নিজেদের তোরা তুলিয়া ধরিস, ঠিকাদারী পয়গামে।
কত না হুমকি দিয়েছিস তোরা, মুজাদ্দিদী কাফেলারে,
কিন্তু যে হায়! উল্টায় যায় তোদের চেহারা গুড়ে।
মুজাদ্দিদ আ’যম মাহ্ফিল মাঝে তোদের মুখোশ ছিড়িয়া দিলে,
তোদের অপকৌশল প্রকাশ করে দেন, জনতারা বুঝে ফেলে।
মুজাদ্দিদী রোবে জনতার ক্ষোভ দাউ দাউ করে জ্বলে,
ঐ রোবে ও ক্ষোভে খারিজী-মুনাফিক নিস্ত যে পুরো মূলে।
একই স্থানে মাহফিল করে খারিজীরা পর দিনে,
ভয়ে ভয়ে তারা বয়ান যে করে রহিয়াছে আনমনে।
মুজাদ্দিদের বিরুদ্ধে পারে না করিতে টু-শব্দ,
দেহ দিলে তারা নিস্তেজ হয়ে রহিয়াছে জব্দ।
শৌর্য বীর্যে মুজাদ্দিদ তিনি চাঁদপুরে তিনদিন,
তা’লীম দিলেন কুরআন-সুন্নাহ্র ইলমে জাহির-বাতিন।
সাথে সাথে তাঁর সহধর্মীনি যামানার ছিদ্দীক্বা,
সেখাকার সব মু’মিনারে দেন ইছলাহী মওক্বা।
ছোহবতে তাঁর মু’মিনা উজার আল্লাহর প্রেমে তারা,
হক্ব মতখানি পাইয়া যে খুশি, যত ছিল পথহারা।
এতদিন তাদের ভুল পথে রাখে খারিজী-জামাতী হায়,
সাইয়্যিদাতুন্ নিসার বয়ানে, ভুলখানি ভেঙ্গে যায়।
ঐ মহিলা ছাত্রী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত উদ্যানে,
জমায়েত হয় দলে দলে তাঁরা মুজাদ্দিদী সমীরনে।
ভরাডুবি হয় খারিজী-জামাতি-মুনাফিকি কৌশল,
জাগ্রত হয় মু’মিন-মু’মিনা তাজদীদে অবিচল।
মুনাফিক সব নিস্তানাবুদ জ্বলে যায় হিংসায়,
জ্বলে যায় তাদের অপকৌশল মুজাদ্দিদী ইচ্ছায়।
মুজাদ্দিদ তিনি আল্লাহর দোস্ত, কে পারে রুখিয়া দিতে,
কে পারে তাঁহার মান-সম্মান ধুলায় ভূলক্তিতে?
ইনশাআল্লাহ! করিব প্রকাশ মুনাফিকির ইতিহাস,
তাহাদের গালে জুতা মেরে যেন, সবে করে উল্লাস।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জুলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১