আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

রবিউল আউয়াল আসিল আবার দেখ আশিকিন চেয়ে চেয়ে,

ঈদে মীলাদের পতাকা উড়িছে নব আনন্দে রহে ছেয়ে।

না’তে রসূল তোরা উঠ গেছে,

মাদানী কাননে উঠ যেয়ে।

জমায়েত হও মু’মিনের দল রওজা পাকের নূর নিয়ে,

খালিক মালিক দুরূদ গাহিছেন কায়েনাত মহা চূড়ে।

আর শের কোলে আলোড়ন পরে,

মালায়েক গাহে জোরে জোরে।

আট জন্মাতে খুশীর ফোয়ারা পুলকি করে ধরে,

তালা লেগে যায় একে একে ঐ জাহান্নামের দোরে।

সারা দুনিয়ায় নব রওনকে দুলিয়া উঠিছে ফের,

হাবীবে খোদার ঈদে মীলাদেই অধিকারী উচ্চের।

ঐ সৃষ্টি সকল মিলে মিলে

নূরী রসূলকে লহে দিলে।

খুশীর ফোয়ারা রহমান রাখে দিলি বাতায়ন খুলে,

ইলাহী পেমের ছামিয়ানা পেতে নেয়ামত লয় তুলে।

সাইয়্যিদে ঈদে মিলাদ,

বাতিলের তরে রহে বিষাদ,

তীব্র ঘায়েলে মরদুদ ঐ হয়ে যায় বরবাদ।

মরু গগনের আরশি সূরুজ জ্যোতি করে তুলে ধরা,

সেই জ্যোতিরই প্রত্যাখাদে মরদুদে আধমরা।

ছোটাছুটি করে শয়তানে,

সাগরের বুকে পেরেশানে,

দলবল তার ভেঙ্গে খান লুকায়ে বিয়াবানে।

হায়! শয়তানেরই গোমস্তা সব ইহুদী ওহাবী সবে,

‘ঈদে মীলাদ’ নাকি দুনিয়া হইতে বিদায় করিয়া দিবে।

ঈদে মীলাদ নাকি বদ্ জ্বালা,

সহিতে পারেনা কোন বেলা।

ঐ ঈদে মিলাদ তাদের জ্বালাইয়া দেয় সকল লুচ্চাগুলা,

ঐ ঈদে মিলাদ তরে দুনিয়াতে তারা পারেনা করিতে খেলা।

তাই যে ওহাবী শত চালে,

ঈদে মিলাদ হতে রাখে ভুলে।

মুসলিম যেন ওই ঈদে না করে আঘাত করিছে মূলে,

নবী প্রেমিকদের হত্যা করিতে রহিতেছে কূটচালে।

হায়রে! ওহাবী-খারিজী সব,

ইহুদী দীক্ষায় করছো জপ।

যতই রাখনা বানোয়াটি মতের লালসার উদ্ভব,

ঈদে মিলাদের দাপটের কাছে মিটে যায় পল্লব।

শতাব্দীতেই মুজাদ্দিদে আসেন,

রসূলী নায়িব তাহরা হলেন,

তাহাদের হাতে ঈদে মিলাদের ঝাণ্ডা খোদায় রাখেন,

পূর্ণ বলিয়ানে মিলাদুন্ নবী উদযাপনেই ধরেন।

পাপিষ্ঠ ওহাবী, খারিজীরা

খাচ্ছিস কেন তাড়া।

তোদের প্রভূ ইহুদীর শিরে পরে মুজাদ্দিদী বাজ,

 চৌদিকে আজ মিলিয়া ধরিছে তোদের পাতানি সাজ।

কুখ্যাত ঐ ওহাবী-খারিজী আকারে বাংলাদেশে,

সেথা তাশরীফ বীর মুজাদ্দিদ রহিছেন সুন্নী জোশে।

ঐ তাহারী পাক পরশে,

বিদায়াত পরিছে খসে।

রাজারবাগ তীরে সাইয়্যিদ বীর মদীনার খোশবাসে,

ওহাবী ফিৎনা ক্ষিপ্র হস্তে একে একে তিনি নাশে।

এক হাতে তাঁর কুরআন-হাদীছ আর হাতে খঞ্জর,

ইসলামী পতাকা তাঁহার হাতেই উড়িতেছে থরথর।

মুহ্ইস্ সুন্নাহ্ দেন হুংকার,

ওহাবীরা হায় হয় বেকারার।

ঘাবড়িয়ে যায় ইহুদী নাছারা হেরিছে কেবল নার,

দিকে দিকে তারা মুজাদ্দিদ হাতে খাইতেছে শুধু মার।

তামাম পৃথিবী জুড়িয়া তাঁহার খবর পৌঁছে যায়,

প্রতি মু’মিনের হৃদি উদ্যান সুন্নতে উছলায়।

উছীলায় তাঁর মিলে সদায়,

ইছলাহ মানিক সহজে পায়।

দলে দলে ঐ মুসলিম আসে রাজারবাগ আঙ্গিনায়,

সেই মুর্শিদের মুবারক দানে ইখলাছ দিলে লয়।

পরওয়া করে না ওহাবীরে কভু সুন্নী মুসলমান,

জানবাজী রাখে ঈদে মিলাদেই সাহসিতে অফুরান।

রাজারবাগের মুজাদ্দিদে আ’যম,

উজ্বালা করেন সার আলম।

দুশমন তরে দুর্বার তিনি রোবিবাতেই ত্যাজিয়ান,

সুন্নী শানের সিরাজে হয়েই ধরাতে তাশরীফান।

সাইয়্যিদে ঈদ, উম্মুল ঈদে মীলাদুন্ নবী জানি,

এই আক্বীদার মুসলিম নাজি আর সব হয় ফানি।

জেনে রাখ মুসলিম সবে মুজাদ্দিদ নিজ হাতে,

ওহাবী, খারিজী ধরে ধরে সব যমীনে দিচ্ছেন পুতে।

রসূলী দুশমন ইবলিসি দল,

মুজাদ্দিদ তাদের করে ক্বতল।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১