হা! কম্পিউটারের কম্পনে আজ, কাঁপিছে বিশ্বময়,
প্রগতিবাদীর প্রশ্রয়ে লাজ, ভাগিতেছে নিশ্চয়।
আদব-আখলাক্ব এলো মেলো কেশে, বনিতেছে ভবঘুর,
মান-সম্মান, দিন-হীন আজ, বোলাহাজ মহিষ সুর।
ঐ প্রগতির কোলে তালে তালে আজ, দুনিয়ার ইনসান,
শ্রেষ্ঠ সুনাম মরিচিকায় আজ, রহিতেছে পেরেশান।
শিরক-কুফরী ছয়লাব আজ, ধরণীর কুল গায়,
সেই ছয়লাবে মুসলিমও তৃণ হয়ে বেসে রয়।
শিরক-কুফরী ছয়লাব আজ, ধরণীর কুল গায়,
সেই ছয়লাবে মুসলিমও তৃণ হয়ে ভেসে রয়।
মুসলিম মাঝে উলামায়ে সূ’, বিশ ফোঁড়া হয়ে রহে,
ঐ বিশ ফোঁড়াই বিশাক্ত করিছে, মুসলিমি দিল দেহে।
শয়তান হায় খুশিতে ঘুমায়, নাকে তৈল দিয়ে দিয়ে,
ব্যস্ত রহিছে লোভি মৌলভী, শয়তানি দান নিয়ে।
শয়তানি কাজ তারাই করিছে, প্রগতির ডামাডোলে,
হারাম-হালাল একাকার করে, তাগুতে রহিছে মিলে।
তারা দুনিয়ার নাম কামাই করিতে, ভুলে যায় দ্বীনিয়াত,
হায় ইসলামি শান উপহাস করে, ডুবায় যে মিলাত।
ঐ হাহাকার করে মুসলমানেরা, তাগুতি অত্যাচারে,
ঘর-বাড়ি ছেড়ে অসহায় হল, দিশাহারা ভবঘুরে।
প্রাণের মায়ায় ক্ষুধার জ্বালায়, নূয়ে পড়ে সহজেই,
সুযোগ বুঝিয়া উলামায়ে সূ, ঢালে ইবলিসি খেই।
বিমারগ্রস্ত বিবেকি হৃদে, মেনে লয় বিদয়াতি,
পর্দা ছাড়িয়া মা-বোন বাহিরে, উজার করিছে সতি।
হায় তাগুতকৃষ্টি বৃষ্টির ন্যায়, বর্ষায় দ্বীনিয়াতে,
তাতে উর্বর হয়ে বর্বরতায়, জেঁকে ধরে নির্ঘাতে।
সাহস দেখায় মরদূদ আজ, ইসলাম কেড়ে নিতে,
উলামায়ে সূ’রা ঘারে ভর করে, হাতিয়ার রাখে পেতে।
এই বুঝি হায় মুসলিম জাতি, সাগরে যাচ্ছে ডুবে,
এই বুঝি হায় উলামায়ে সূ, ফেঁটে পড়ে গৌরবে।
স্যারন ব্লেয়ার, বুশেরা যে আজ, মৌজ করে পৃথিবীতে,
সাদ্দাম, গাদ্দাফি, লাদেন, খারিজী, ওহাবীও যোগ দিতে!
বে পরোয়া হয়ে উলঙ্গ হেিছ, দ্বীন যে দাবায় ধরে,
ইসলামি নীতি তালাক মারিয়া, মিলিছে কুফরী ভিরে।
তামাম পৃথিবীর মুসলিম আজ, নতজানু অসহায়,
তাহাদের আজ তা-তবাদীরা, নির্দয়ে দাবরায়।
ভয়াবহ আর বিভীষিকা মাঝে, আলোখানি জ্বলে উঠে,
ঐ আলোর মাঝেই ইসলামি ত্যাজ, দুর্বার বেগে ফুটে।
ক্রমশ সে আলো সূর্যের সম, আলোকিত দস্তুর,
পালাই পালাই করে, ইবলিস অমানিশা চুর চুর।
ঐ আলো হন যামানার ইমাম, রাজারবাগী মুর্শিদ,
ঐ আলো হন মুজাদ্দিদে আ’যম বলিষ্ঠ তাকলীদ।
ঐ আলো হন খোদায়ী বাজ, জমিনে বিরাজমান,
ঐ আলো হন রসূলে পাকের, সাইয়্যিদি ইরফান।
ঐ আলো হন ছিদ্দিীকি নূর, মজবুতি ইতায়াত,
ঐ আলো হন ফারুকের ত্যাজ, ইসলামি ইশায়াত।
ঐ আলো হন যুন নুরাইনের হিম্মতি আমানত,
ঐ আলো হন আসাদুল্লহিল গালিবের বেসারত।
তিনি জাব্বারিয়াতের বর্ম পড়িয়া, ক্ববিয়্যাতি প্রহঢ়নে,
তাগুতি তপস্যা ধুলিস্যাত তরে, তাশরীফ বেগবানে।
রাজারবাগ শরীফ দূর্গ তাঁহার, সুন্নি ঝালোরে ঘেরা,
ছাহাবী রঙের মুরীদান তাঁর, ইলাহী ইশকে জোরা।
রসূলে পাকের প্রতি সুন্নতে, তারকা বনিয়া থাকে,
তামাম পৃথিবীর জাহিলী টুটাতে, আল্লাহর পথে ডাকে।
মুজাদ্দিদ আ’যম, খোদার পরম, নিয়ামতে মালামাল,
ইবলিস আজ তখতে কাঁপিছে, ধেয়ে আসে বিসনাল।
ওহাবী, খারিজী, ইহুদী, নাছারার, রহিছে না ার খেই,
আল্লাহর দূত হাজির আজিকে মুজাদ্দিদ তিনি সেই।
ঐ আল্লাহর তিনি লক্ষ্যস্থল, কোলাহল ভাগে কুহে,
সারাদেশব্যাপী বিচরণ তাঁর, আলোকিত পথ গ্রহে।
শূনরে ওহাবী, খারিজী তোদের, জিয়ে থাকা বড় দায়,
মুজাদ্দিদের রো’বি জিঞ্জিরে, তোরা গেলি আটকায়।
তোদের বিধাতা শয়তানও আজ, কাঁপিছে সারাক্ষণ,
ঐ মুজাদ্দিদের আগমন তারে, করিতেছে বিতারণ।
ইহুদী নম, নাছারাও হায়, চিন্তায় পরে যায়,
একচেটিয়া রাজখানি, ঐ ভেঙ্গে পরে নিরালায়।
মুসলমানের অঙ্গনে আজ, জোয়ার বহে খরতর
ঐ মুজাদ্দিদের ডাকে সাড়া দেয়, হয় নারে নরবর।
তাওহীদ আর সুন্নাহর তিনি, হাক্বীক্বীই হাতিয়ার,
হুংকারে তাঁর ঢলিয়া পরিছে, তাগুতের অভিযার।
দেশ গ্রাম-গাঁও, শহর-বন্দরে, কাফিলা গর্জে ফিরে,
আলোকিত দ্বীন, উডডন করে, দুর্বার জোরে শোরে।
রাজারবাগের সাইয়্যিদি ইমাম, তামাম করিছে জয়,
ইবলিস হায় ফ্যাল ফ্যাল করে, নিরবেই তাহা সয়।
উলামায়ে সূ, ওহাবী খারিজী, ধরনীতে রয় খারিজ,
দুলোকে ভুলোকে সবখানেই, তারা যে হয় নাচিজ।
নাটোর, পাবনা, তোলাহাট, ঠাকুরগাঁও পাটগ্রামে,
ঐ রংপুর আর জয়পুরহাট, বিশেষ ছফর ধুম-ধামে।
তাজদীদ তাঁর, আফরীদ হয়, জালিয়াত যায় ভেগে,
মুক্তির তরে, সময় থাকতে, আস হে রাজারবাগে।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জুলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১১
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫
আল বাইয়্যিনা-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৬