আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩ 

সংখ্যা: ১২৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

আরে ঐ উগ্রবাদী, উলামায়ে ‘ছূ’ ঘৃণ্য নর পিচাশ,

 তোরা ইসলামি দুয়ারে কুড়াল মেরেই, করছিস উচ্ছ্বাস!

হক্বের সাথে টক্কর দিতেই, ইহুদী মদদে ডুবিস,

 ফের আল্লাহ্ ঐ মুজাহিদদের, ঠুন্কো হুমকি  মারিস্?

তোরা আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করতে মরদুদ হয়ে যাস্,

ঐ রসূলে পাকের আদর্শ তাই, সাগরে ডুবাতে চাস্?

তোরা ইহুদী-খ্রীষ্টের, চামচাগিরীতে হয়েছিস বেপরওয়া,

হায় সরল মু’মিন-মুসলমানের, কাড়িস্ মুক্তি মেওয়া।

মিথ্যার সব বেসাতি কেঁচে, মরদুদে নিস্ সুখ,

 আলিম নামের সাইনর্বোড নিয়ে, দ্বীন করিস্ মন্সূখ?

রে গোমরা খারিজী, ওহাবী, ঐ সাইনর্বোড খুলে ফেল,

সাহস থাকলে আসল চেহারা, জনতার মাঝে মেল।

রে মুনাফিক! তোরা তার্কিক কেন, মুসলমানের দেশে,

মুরগীর ন্যায় গুজিস কেন, মুখোস খানিরে কশে,

 ঐ জাগ্রত আজ তামাম বিশ্বে, মুসলিম খলীফা,

 হুংকারে তাঁর, হয় বেকারার, তাগুতি তখত্ দফা।

 ঐ রাজারবাগের মুযাদ্দিদ, তিনি আল্লাহর প্রহরণ,

 ঐ প্রহরণ আজ, খোদ্রাদ্রোহীরে, করতেছে কর্তন।

আজ রাজারবাগের মুজাদ্দিদই হন, মুসলিম কান্ডারী,

তাঁহার দাওয়াতে জমায়েত হয় মু’মিনে ভীরুতা ছাড়ি।

তাঁহার পরশে জেগে উঠে ঐ তামাম মুসলিমীন,

 ছোহ্বতে তাঁর, আল্লাহ্র রাহে গ্রহিতেছে মুমকিন।

 ঐ বাইয়্যিনাতের দূর্গে রহে, মুসলমানের জোয়ার,

ঐ বাইয়্যিনাতের গর্জনে হয়, তাগুতেরা খাত্রার।

 ঐ বাইয়্যিনাতের জাগরণ আজ, তামাম বিশ্ব জুড়ে,

ঐ বাইয়্যিনাতের বিস্তার দেখে, শয়তান জ্বলে মরে।

তারা চাট্গা শহরে, বাইয়্যিনাত সভায় করিছে গণ্ডগোল,

গণধোলাইয়ে, নাকে খত দিয়ে লুকায় পুলিশ্ কোল।

মুচলেকা দেয় খবর পাঠায় গুহায় লুকিয়ে থেকে।

 মুচলেকা দিয়েও, ধোঁকাবাজ তারা রহিছেই তাকে তাকে।

রে ইবলিস শাবক! চেয়ে দেখ, ঐ বাইয়্যিনাতের সেনা,

তোদের কপালে, সবাই মিলে খঞ্জরে দেয় হানা।

 জানকে তাঁহারা পরোয়া করে না, তোদেরে খতম্ বেলা,

শহীদী ইশ্কে ঝাপাইয়া পড়ে, মিটায় তোদের খেলা।

মুহীনুল ইসলাম পত্রিকায়, ঐ অর্বাচীন গণি কয়,

ঐ ঝালকাঠিতে রাজারবাগীদের সভা যে পণ্ড হয়।

 ওহাবী, খারিজী, জঙ্গী সাজি রুখে দেয় মাহ্ফিল,

 হায় কাজ্জাব গণি বজ্জাত, ভুলে যায় তারতীল।

 ধরা পড়ে যায়, মুচলেকা দেয়, নিজ হাতে লিখে ফের,

স্বঘোষিত ঐ সাহিত্য বিশারদ, কলংক সাহিত্যের।

 লেখক নামের কুলাঙ্গার সে, অন্ধ বধির অর্বাচীন,

 ঐ উলামায়ে‘ছূ’ কুলাঙ্গারদের, চিনে রাখ মু’মিনীন।

 তারা অভিশপ্ত, আযাবে লিপ্ত, দুনিয়া ও আখিরাতে,

ঐ ঐক্যজোটের সমাবেশকালে, প্রমাণ রহিছে তাতে।

ঐ গোমরাহ্ খারিজী, ওহাবী নামায ছাড়ে সমাবেশে,

বেগানা নারী হেরীতে মগ্ন, ওয়াক্ত গেল যে ভেসে।

 ঐ কুখ্যাত কায্যাব, গোমরাহ্, ওহাবী,  খারিজীরাও নারী পায়,

বেগানাদের তারা কীর্তন গেয়ে, প্রণাম করিছে হায়।

রাজারবাগীরে দমাবার তরে, কুটলামী লয় অধিক,

 ঐ উলামায়ে ‘ছূ’ ছল করে তারা জুড়ে দেয় মুনাফিক।

মিছে মুরীদের বেশ ধরে তারা, ফুস্লায় মুরীদান,

কৌশলে তারা, বিশ  ঢেলে ঢেলে, উস্কায় নও প্রাণ।

অর্থ ও পদের লোভ যে দেখায়ে, করতেছে মেহনত,

নানা প্রথায় কুৎসা রটায়, হয়ে আছে বদ্বখ্ত।

দলে দলে আজ মহিলারা সব, গ্রহিতেছে পর্দা,

ঐ রাজারবাগী আম্মা হুযূরের ছোহবত নিয়ে সদা।

আল্লাহর ভয়ে, মুমিনারা আজ, অশ্লীলতা ভুলে যায়,

নিজেদের তারা মূল্যায়ন করে, মুজাদ্দিদী আঙ্গিনায়।

উহা যে হেরিয়া, মুনাফিক হায়, আগুনে সাঁতার কাটে,

সহিতে পারে না, রাজারবাগী শান, হিংসায় বুক ফাটে।

মুনাফিক ঐ পারে না কখনও, ব্যর্থ সকল বেলা,

রাজারবাগীর মুরীদান সব, ধরে আছে বিষফলা।

 মুরীদান সব মুর্শিদ প্রেমে, অটল অনঢ় থাকে,

ব্যর্থ যাতনায় মুনাফিক হায়, দেখিতেছে তুক্তুকে।

খারিজী দালাল মুনাফিক আজ, চাপ্ড়ায় নিজ কপাল,

আমও গেল, ছালাও গেল, হয়ে আছে বেশামাল।

 শুনে রাখ ঐ মুনাফিক তোরা, রাজারবাগী ইলাহীর,

ঐ রসূলে পাকের আওলাদ তিনি, বাদশাহ্ যে পৃথিবীর।

বেঈমানি করে, কভু না হয় যে দ্বীনেতে ঈমানদার,

মুজাদ্দিদের কদমে আস হে, যদি চাও বাঁচিবার।

ঐ মুজাদ্দিদের, শান-শওক্বাত, আল্লাহ্ তায়ালার দান,

উহা দেখে শুধু, হিংসায় জ্বলে, ইবলিস শয়তান।

-বিশ্বকবি, শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জুলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১১

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫

আল বাইয়্যিনা-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৬