ওরে মৌলভী! তোরা আল্লাহ্কে ছেড়ে, ইহুদীরে খোদা মানো,
মহিলার পিছে হিজরা সাজিয়া, আঁচল ধরিয়া টানো।
তোরা মহিলা নেতৃত্ব জায়িয কহিছ, মনগড়া ফতোয়ায়,
কুরআন-হাদীছের পাতা ঢাকিয়া রাখিছ, নফসের তাগাদায়।
ইহুদীর সাথে দোস্তি করিয়া, টুপাইস কামাও চুটে,
গনতন্ত্ররে নিয়ামত ভেবে, জড় হও সেই ঘাটে।
ঐ ঘাটে ঐ ইহুদীর টোপে, তোদেরে করে শিকার,
তোদের কানমলা দিয়ে আদায় করিছে, ইবলীসি অধিকার।
নাকে দড়ি দিয়া মিছিলে ঘুড়ায়, মুর্তিরে দাহ করে,
তোদের ঈমান কাড়িয়া পুজারী বানায়, মজুসীর কায়া ঘিরে।
তোরা মৌলবাদী আর ব্লাসফেমী আইনে, হয়ে যাস খ্রীষ্টান,
তাই হরতাল করে হিন্দু সাজিলী, করম চাঁদি সন্তান।
হায় লংমার্চ করে নাস্তিক বনো, মাওসেতুং এর দালাল,
তোরা জয়ন্তি, পুতির্, জুবিলী পালনে, অনুগত চিরকাল।
মিছে পর্দার গায়ে সর্দি লাগায়ে, গর্দভ সেজে কহ,
পর্দা চলে না প্রগতির যুগে চিৎকারে তাহা গাহ।
কুরআন-হাদীছে ছবি আঁকা-রাখা হারাম, ঘোষনা শুনে,
তাই কৌশলে ঐ ইবলীস তোদের, আস্ত দিমাগ ধুনে।
তোদের দ্বারাই ফতওয়া দেয়ায়, ছবি তোলা নেক কাজ,
উহা অধুনা ধরায় মোক্ষম তায়, প্রচার ক্ষেত্রে দারাজ।
রসূলের প্রেম দিল থেকে ঝেড়ে, সুন্নাহ্ ছাড়িয়া দিলে,
বল সুন্নত লাগেনা আমল বেলায়, ফরযেই খোদা মিলে।
ইহুদী প্রীতিতে মুক্তি মানিছ, ফরযও যাচ্ছে ছুটে,
সুন্নাহ্ আমল বাদ করে দাও, কুফরীর পরিপাটে।
তোরা রাজনীতিতে ধোকাবাজী করা, নেক বলে প্রচারো,
ঐ খুন-খারাবী, রাহাজানী সব, হিকমত কহে ঝারো।
মহিলার সাথে ইফতার যোগে, নিজেকে ধন্য ভাবিস,
নিজকে তখন সকলের চেয়ে, আশ্রাফ করে রাখিস।
স্মৃতি স্তম্ভে পুস্প দানিয়া, প্রগতিরে কর পূজা,
সেবাদাস হয়ে বাহবা গ্রহিছ, কিত্তণে রহ গুজা।
ইসলামী নামে হারামকে আজ, হালাল করিছ সব,
মদ, জুয়া আর বেলাল্লাপনাতে, সাজাইলে অবয়ব।
রে কচ্ছপরূপী নাদানের দল, মানবী কলঙ্ক,
ইসলামী তাহজীব ধ্বংসে গ্রহিছ, ইহুদী পদাঙ্ক।
তোরা সরকার সাথে দেস্তি করিয়া, বনিলে খলনায়ক,
কদমে তাদের তৈল মন্থনে, চাটুকারে হও গায়ক।
তাদের মদদে মিটিং-মিছিলে, ওয়াজ কর ত্যাজ নিয়ে,
ম্যাডাম করুনায় নামধাম গ্রহ, কদমে ভক্তি দিয়ে।
ঐ কদম প্রণামে এনাম জুটিছে, স্বার্থবাদীর সনদ,
ওরাই তোদের কর্ণধার, তোরা হলি গেয় বলদ।
রে মোল্লা, মোবারক, ফজল, ফৈজী, নাগোরী প্রেতাত্বারা,
আকবরী শাসন ক্বায়িম করিতে, হয়ে যাস্ দিশেহারা।
হে মাহি, হদছ, কমিনী, মৈত্যা, ইহুদী মাল্য পরে,
গিতাঞ্জলী পাঠ করিতে ব্যস্ত, হোলা ব্যাঙ্গের সূরে।
মা-বোনরে তোরা ইবলীসি পায়, উপহার দিতে চাস,
তোরা ইহুদী, খ্রীষ্ট, নমর আদেশে, ইসলামী শান দাবাস।
হায়! মুসলিম মাঝে বুযূর্গদের, শহীদ করিস্ তোরা,
হক্বের যবান হয়রানে ফেলে, করিস্ ঈমান হারা।
খামোশ! রাজারবাগী বীর, সাইয়্যিদী সূর্য্য, উদীত প্রখর ত্যাজে,
তিনি জ্বালাইয়া দিতে আগাইয়া আসেন, খোদার সিংহ সাজে।
তিনি জিন্দা করেন সুন্নী তরীক্বা, কোনঠাসা নহে আর,
তমশারে তিনি তাড়ায় দিয়া যে, তাজদীদে পারাবার।
ঐ শাহ্ সাইয়্যিদ গর্জে উঠেন, নিখিল বিশ্বময়,
তিনি হাক্বীক্বী খলীফা খোদার, তাগুত করিছে লয়।
আজ বিশ্বের সব মুসলিমদের, জানায় দিলেন তিনি,
কুরআন, হাদীছ, ইজমা, ক্বিয়াসে, বাতিলরে লও চিনি।
ক্বালবী যিকিরে-ফিকির খুলিবে, হেরীবে খোদার দান,
সত্যের পথে শক্তি যে মিলে, মদদ দেন রহমান।
তিনি মুজাদ্দিদ, তাজদীদ তাঁর অখণ্ড সাহসি শীর,
আল্লাহ্ রাহে সর্বদা তাঁর ভূমিকা যে আবদীয়তীর।
কুরআন, হাদীছ, ইজমা, ক্বিয়াসে তিনি হন মহা জ্ঞানী,
যাহির-বাতিন সবখানে হন, গায়িবী ইলমে ধনী।
তিনি রাহ্গীর হন মুসলমানের, এহেন নিদান বেলা,
ঈমান-আক্বীদা নবায়ন তরে, হলেন যে ইমামে আ’লা।
তিনি আহলে সুন্নাহ্র ইমামে আ’যম, ধরনীতে দেই জানাই,
বিশ্বাস রাখ হে মুমিনের দল, বাইয়াত হওরে সবাই।
গণতন্ত্ররে তিনি হারাম বলেন, কুরআন-হাদীছ মতে,
রূহানীর বলে মুসলিম তোলেন সৌর্জ, মুক্তি পথে।
ওহাবী, খারিজী, জামাতি, রেজভী, তাবলীগী কোনঠাসা,
ঐ রাজারবাগীর দাপটে তাহারা, অথৈই সাগরে ভাসা।
মুখোশ পুড়িয়া ছাই হয়ে যায়, প্রকাশে অপয়া মুখ,
মুজাদ্দিদে আ’যমের তাশরীফে তাদের, ভাগ্যে জুটিছে দুখ।
সর্ব সাধারণে মিথ্যা ফতওয়া, টিকিতে পারেনা আর,
মুজাদ্দিদের পাল্টা ফতওয়ায়, ধরা পরে বার বার।
কেননা, তিনি যে খোদার খলীফা, রসূলে পাক-এর নায়িব,
তাঁহার ফায়েজে শয়তানি ধোঁকা, রহেনা যে আর গায়িব।
ওহে দুনিয়ার সব মুসলিম, সচেতন রহ ঠিক,
কুরআন-হাদীছ ধরিয়া সবাই, লড়ে যাও নির্ভিক।
ভয় নাই ওরে ভয় নাই, জিন্দা রাজারবাগী রাহ্গীর,
তিনি আল্লাহ্ ও রসূলের হাক্বীক্বী নায়িব, মুক্তির সমশির।
বিশ্বকবি, শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান (উফিয়া আনহু), মুন্সিগঞ্জ
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫
আল বাইয়্যিনা-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৬