ল্ জালা হায় পয়দা হলরে, ওহাবী, খারিজী গায়,
জামাতী, রেজভী ডিগবাজি খেয়ে, কাঁটাবনে লটকায়।
ঐ কাঁটা বনে তারা গাত্র চিড়িছে, নেত্রে ঢালিছে বিষ,
কাতরে কাঁদিয়া ছটফট করে, কানাকানি ফিস ফিস।
ইহুদীর ছায়া বিলীন হচ্ছে জামাতির মাথা হতে,
ওহাবী খারিজীর নার খানি জাহান্নামে রাখে পুতে,
ঐ মরদুদ আজ খাচ্ছে হোচট, মুজাদ্দিদের তাজদীদে,
ফিরিয়া তাকায় বাংলার দিকে, হু হু করে শুধু কাঁদে।
বাংলার বুকে রাজারবাগ শরীফ গাউছ যে আবির্ভাব,
সেই গাউছি দাপটে ধ্বসিয়া পড়িছে মরদুদী আসবাব।
তিনি সারাদেশ জুড়ে ছফর করিয়া তাগুতী দূর্গ চুড়ে,
তিনি তাগুতী কৃষ্টি মুষ্টাঘাতেই পুঁতেন পাতাল পুরে।
সাইয়্যিদী হাদীর তাশরীফে হায় ওহাবী জামাতী জ্বলে,
খারিজী রেজভী সরষে ফুল হেরে, আবল তাবল বলে।
হায় মরদুদ ঐ কহিছে তাদের, নারী নামা তাড়াতাড়ি,
ইজ্জত আমার বাঁচাও এবার, রাজারবাগী আসে উড়ি।
নামাওরে আজ মহিলা জামায়াত রমণী সমাজ মাঝে,
মুসলিমাদের কাবু করে দাও ঈমান হারার খাজে।
হায়রে জামাত, খারিজী, ওহাবীরা ঐ ইবলিসী ফরমানে,
পর্দা হইতে মাতা ভগ্নিদের বাহিরে টানিয়া আনে।
তারা মহিলা জামায়াত ও তাবলীগীদের লেলাইছে বাড়ী বাড়ী,
কহে জান্নাতখানি পাইতে চাহিলে জেহাদে আস হে নারী
পর্দায় আর রহিবি না তোরা, প্রগতির তালে তালে,
ঘর হতে ঐ বাহিরে আসিয়া সাহস গ্রহিবে দিলে।
কিসের বোরকা? কিসের নেকাব? জিহাদী পোষাক পড়?
হাতিয়ার হাতে মাঠে চলে আয় পুরুষের ন্যায় লড়।
এভাবেই হায় দিচ্ছে ধোঁকা জামায়াতী, তাবলীগী, শিবির,
তাই তাদের ধোকায় মুসলিমা হয় বে পর্দায় অস্থির।
অমূল্য ধন নারীর ভূষণ কাড়িয়া লইছে তারা,
ঈমানী কুয়্যত লুটিয়া এবার করিতেছে আধমরা।
ছবি তুলে ঐ বেপর্দা হয়, যিকির নামায ভুলে,
সুন্নি আমলে আকাল লাগলো ইবলিসি যাতাকলে।
পিষিয়া মিশায় আধুনিকা হতে ইসলামী রীতি ধুয়ে,
ওহাবী খারিজী জামাতীরা দেয়, নারী সম্ভ্রম খুয়ে।
নর রূপী ঐ হায়েনারা সব অধিকার নেয় লুফে,
নারীরে তাহারা পণ্য বানায়ে তাগুতেরে দেয় শপে।
মুসলিমা নারী কোন ঠাসা রহে তাগুতের চাপে পড়ে,
উলঙ্গপনারে যবে না গ্রহিছে, রাখিছে বন্দি করে।
দুর্ভাগা নারীর, আকাশে এবার, দিশারী উদয় হয়,
ঐ দিশারী হাদীয়া আম্মা হুযূর দিগ্বী করিছে জয়।
তিনি ছিদ্দীকা নূর শিফাতুর হয়ে, রাহগীরে মু’মিনা,
তিনি সাইয়্যিদী বংশের রোস্নাই বাতি, ইলাহীতে রন ফানা।
রাজারবাগের ঐ বীরঙ্গনা ডাকেন শুনরে নারীর জাত,
তিনি মুজাদ্দিদের সহধর্মিনী, তাগুত করিছেন কাত।
তিনি মরদুদ মুখে অগ্নি জ্বালায়ে পুড়িছে লোলুপ গাল,
তিনি আজদাহাদের অগ্নি লাভায় করান টাল মাটাল।
তিনি মদীনাওয়ালার রীতিতে জাগান, মহিলা বাগেস্তান,
পর্দা পুরীর প্রহরণ দিয়ে অপয়া ভাগায় গোরস্তান।
তিনি ছফর করেন দেশ জুড়ে ঐ প্রতি মুসলিমা গাঁও,
তিনি টানিয়া উঠান বেলাজের থেকে ভীরুতা করে উধাও।
ঐ বান্দি খোদার নন্দিত হন মু’মিনা সিংহাসনে,
তিনি সম্রাজ্ঞী ঐ রমণী বাগের চিরদিন চিরক্ষণে।
অপবাদের ঐ ধুয়া ছুড়ে মারে খারিজী জামায়াত হায়।
রাজারবাগী বলে খোদা দাবি করে, প্রচার করিয়া বেড়ায়।
আস্তাগফিরুল্লাহ, কহে কিরে ঐ ইহুদীর পোষ্যরা!
তাদের অন্তিম ঘনাইছে দেখে বকিছে লাগাম ছাড়া।
গর্জে উঠেন রাজারবাগী বীর টগবগি খুন নিয়ে,
দিলেন খারিজী, রেজভী, জামায়াতী,তাবলীগী, ওহাবীরে ভড়কিয়ে
তিনি ঐ মরদুদীবাদ উৎখাত তরে তাশরীফ আনিলেন,
তিনি জামায়াত ওহাবীদের ভন্ডামী জাহির করিয়া দেন।
তিনি পঞ্চদশ শতকের মুজাদ্দিদ তাজদীদে মহিয়ান,
ঐ তাজদীদ দিয়ে বাতিল বাদীরে করে দেন খানখান।
মিটিং মিছিল অপবাদ দিয়ে রুখিতে পারে না তারে,
পথ রোধ করা সাহস হারিয়ে গুহাতে লুকিয়ে পড়ে।
জনতা তাদেরে ধিক্কার দেয়, ঠগ-বাটপার কহে,
হায় পাগলা কুকুর হইয়া তারা কামড় দিতেই চাহে।
আহা! চট্টগ্রাম, টেকনাফ আর কক্সবাজারের ঘাটে
ঐ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি আর খাগড়াছড়ির মাঠে।
কতনা চেষ্টা করিছে তাহারা মাহফিল রুখিবার,
নিষ্ফল হয়ে প্রতিবারে তারা গ্রহিছে তিরস্কার।
হৃদে কম্পন বারে গুঞ্জন, ভাবিছে করিবে কি?
রাজারবাগীরা কই, কোথা যায়? দেখিছে দিয়া উঁকি।
সত্য যে হায় চির উন্নত, অবনত কভু নয়,
সচেতন সদা আউলিয়াগণ, উলিল আমর হয়।
এ বাক্যে ঐ মুসলিম সব বিশ্বাস রাখ দিলে,
সুলতানুল্লাহ রাজারবাগীকে আল্লাহ্ যে বখশিলে।
সারা দুনিয়ার মুসলিম আজ জেগে উঠ তাঁর ডাকে,
আহলে সুন্নাহর তিনি যে ইমাম, সাইয়্যিদী বংশ থেকে।
কুরাইশ থেকে হন খলিফা খোদার, হাদীছে কহেন রসূল [ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]
আক্বীদা রাখ হে মুসলিম সবে, হয়ে যাবে মকবুল।
বিশ্বকবি, শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান মুন্সিগঞ্জ।
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৬) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৭) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত জাহির হয়ে গেল
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে