ধরণীতে আজ ওহাবী, খারিজী জামাতী পড়িছে চাপে
ঐ রাজারবাগীর রাজ প্রতাপেই, সর্বদা তারা কাঁপে।
হায় সর্বদা তারা ভিমরী খাইয়া কাঁতরায় অপমানে,
শয়তানও আহা পস্তায় পাছে বিরহ যাতনা গুণে।
কভুনা পারিছে টিকিতে এবার ইবলিছি আমলারা,
রাজারবাগীর তাজদীদী ঘাতে প্রস্থানে রহে তারা।
প্রস্থানে রহে কল্পি ছলনা, রাগিনী রুগ্নজাল,
দিবাকর সদা মজবুত রহে, তমশা যে পয়মাল।
হায়! এতদিন ইহুদী দাগায়, ওহাবী, জামাতী, খারিজীরা,
শয়তানি নীতির কেতন উড়ায়ে, করিছে ঈমান হারা।
তারা মুসলমানের ভিতর বাহির প্রতি পদে ঢুকে পড়ে,
সেই প্রতিপদে তাই ইবলিছি রীতি প্রচারিছে অকাতরে।
জামাতী, ওহাবী, খারিজী নারীরা বাড়ী বাড়ী যেয়ে যেয়ে,
ঐ কুফরী আক্বিদা প্রচার করিছে ইবলিছি গান গেয়ে।
হায়রে! আক্বিদা ধ্বংস করিছে প্রগতি ফাঁনুসে ঘিরে,
ইসলামী শান খান খান করে পর্দা ভুষণ ছিড়ে।
পর্দা প্রথারে পাগাড়ে চুবায়ে, বাহিরে টানিয়া আনে,
জিহাদের নামে নিবেদিতা হতে ছল্কি ছবক দানে।
হায়! ছবির পোজে উৎসাহ দিয়ে ইজ্জত কেড়ে নেয়,
আজ আধুনিকার মেকির জেওরে বাহ্বা ইনাম দেয়।
ঐ বাহ্বা ইনামে নামিতেছে তাই মুসলিমা ঝাঁকে ঝাঁকে,
তারা সম্ভ্রম ত্যাগে জড়াইয়া পড়ে, শুভংকরের ফাঁকে।
টিভি, ভিসিআর, ব্যান্ডশোতে আজ গিজ গিজ করে নারী,
ঐ নাটক, সিনেমা, মডেলিং-এ হায়, যাত্রায় দেয় পাড়ি।
নগ্ন ছবি ও নানা মূর্তিতে ফুর্তিতে সেজে আছে,
অপসংস্কৃতির বিলাসী বাহন ঘরে ঘরে শোভিতেছে।
হায়! পর্দাওয়ালীরে গেঁয়ো বলে আজ করে যে তিরস্কার,
উহা সনাতন কহে প্রগতিবাদীরা মহাতন নহে আর।
বেশরমা যত নর-নারী আজ বেকসুর ঘুরে ফিরে,
নিয়ার মোহে বিকাইছে তারা আপনারে খালি করে।
জাহান্নামের জিন্দানে এরা নিজেরে রাখিছে বেঁধে,
ইবলিছেরই পথ্য গ্রহিছে নির্বোধে সেধে সেধে।
হুদীবাদীরা গীত গাহে আজ মুসলিম দেশে দেশে,
খাও দাও আর ফূর্তি কর হে, নিখীলের মহাকাশে।
কাল কি বাঁচিবে কহিতে পারনা, হালরে ধরিয়া রাখ,
দু’দিনের এই জিন্দেগী হায়, নন্দি বিলাসে মাখ।
নারী পুরুষের নেই ভেদাভেদ একই কাতারে মিশে,
জীবনরে আহা বরণ করে নাও স্বাধিকার অভিলাষে।
মিটায় প্রগতির ঐ অভিশাপে আজ ধর্ম কর্মগুলি,
ইসলামী শান করিছে ম্লান ঘায়েল করিছে তুলি।
শুনরে, রাজারবাগীরা খোদার বাহিনী সদা যে অটলবান,
ঐ ইবলিছিবাদ কুপোকাত তরে দূর্বারে, আগুয়ান।
কেবল নিবেদিত তাঁরা ইলাহীর তরে করিতে আত“দান,
শুনরে রাজারবাগীরা আল্লাহ্র প্রেমে কল্যাণে আহ্লান।
রে জামাতী, খারিজী, ওহাবীরা, নয়নের পাতা চিড়ে,
চেয়ে দেখ তোর অহমিকা জ্বলে অগ্নিলাভার নিড়ে।
রাজারবাগের গাউছুল আ’যম মাদানী অশ্বে চলে,
ঐ খারিজী কৃষ্টি অশ্ব খুরায় আস্ত ধরিয়া মলে।
মুহ্ইয়ে সুন্নাহ্ মুযাদ্দিদ তিনি আফযালুল আউলিয়া,
তিনি প্রতি সুন্নতে নিবেদিত হন দেহমন উজাড়িয়া।
তিনি দ্বীন দাওয়াতে সর্বদা লন রসূলের তূর্য,
তিনি ছাহাবা নীতির দিগ্বী তারকা কল্যাণী সূর্য।
তাঁর সহধর্মিনী ছিদ্দীক্বা নূর নিবেদিতা দ্বীন তরে,
তিনি সুন্নাহ্ তূর্য জাগ্রত করেন প্রতি মু’মিনার ঘরে।
ঐ সাইয়্যিদাতুন নিসার পরশে ঝাড়িতেছে সব দুঃখী,
মু’মিনা কাঁতার আকাঁ বাকাঁ ছেড়ে রহিছে মদীনা মুখি।
তিনি উম্মাহাতুল মুসলিমা ওলী মহিলা সমাজে এসে,
হাক্বীক্বী সুন্নী দর্স ছবকে সবারে রাখিছে মিশে।
এবার বহু বেশরমা হায় শরম গ্রহিছে পর্দার অবয়বে,
ইছলাহ্ মিলিছে ইলিম ও যিকিরে ছোহবতী আফতাবে।
কায়মোকামে জোহরা মাদানী হাদীয়া সূর্য মনি,
ওই মনির নূরে জাগিছে মুমিনা ইলাহী তত্ত্ব চিনি।
পর্দা পুরীতে মুসলিমারা ঐ রাখিছে শক্ত চরণ,
খঞ্জর হানে বেলাজী বক্ষে শ্লীল করে প্রহরণ।
দলে দলে ঐ মুসলিমা আজ খানকায় করে ভীড়,
সেথায় আম্মা হুযূর তালিম বেলায় হলেন মুনতাছির।
ছোহবতে তাঁর মুগ্ধা রমণী দাওয়াতে শরীকা হয়,
বেগবান হন সুন্নী রীতিতে বাতিল ঘায়েলে জয়।
তাঁহার তালিমে আল্লাহ্ চিনায় ভাগিছে মুশকিলাত,
রসূলের পথে পাথেয় লইছে, খুলিছে খুলে বরাত।
খুলে দেন তিনি হৃদয়ের দ্বার মলিনতা দূর করে,
দুনিয়ার তিনি শ্রেষ্ঠা হাদীয়া যামানার মহা চূড়ে।
মহিলা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের দাওয়াত জোরালো আজ,
ইহা খারিজী, জামাতী, ওহাবীরা দেখে হিংসায় গ্রহে লাজ।
বিশ্বকবি, শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান (উফিয়া আনহু), মুন্সিগঞ্জ
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৬) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৭) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত জাহির হয়ে গেল
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে