তাহারা অন্তরে যাহা চাহিয়াছিলো তাহা আল্লাহ পাক জানাইয়াছেন। কুরআন শরীফে ইরশাদ হইয়াছে, “তাহারা ফুৎকার দিয়া আল্লাহ পাক-এর নূরকে নিভাইয়া দিতে চায়।” ইসলামকে, হক্বকে, সত্য যবানকে তাহারা স্তব্ধ করিয়া দিতে। কিন্তু পরিনামে যাহা হইয়াছে- হক্ব যবান, হক্ব কথা সূর্যলোকের মত বিকাশিত হইয়াছে। আল্লাহ পাক বলেন, “নিশ্চয়ই দলে দলে মানুষ ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করিবে।” আর ইহাতে তাহাদের অন্তরে যে গুমড়ানো গোস্বা ও মর্মন্তুদ বেদনার তৈয়ার হইয়াছিল উহার তীব্রতা যে কত মারাত্মক ছিলো উহাও প্রকাশ পাইয়াছে। কিন্তু জবাবে আল্লাহ পাক জানাইয়া দিলেন, “তোমাদের গোস্বায় তোমরা অঙ্গুলী কামড়াও।” উহাদের উত্তরসূরীদের আজ আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর কারণে একই অবস্থা হইয়াছে। মূলতঃ আল বাইয়্যিনাত-এর ফতওয়াই দেয়ালে লেখা হইয়াছে। “যেসব নামধারী মাওলানা রেডিও, টিভিতে কুরআন শরীফ তাফসীর ও ইসলামী বক্তৃতা দেয় তারা উলামায়ে ‘ছূ’ বা দুষ্ট মাওলানা”- এই বক্তব্য মূলতঃ কুরআন-সুন্নাহ্রই। ইহা শুধু আল বাইয়্যিনাত-এরই নয়। বরং কুরআন-সুন্নাহ্য় যাহা রয়িাছে তাহা আল বাইয়্যিনাতেই তুলে ধরা হইয়াছে মাত্র। তাহারা প্রশ্ন উঠাইয়াছে, “ফতওয়া দানের অধিকার আল বাইয়্যিনাতকে কে দিলো?” মূলতঃ আল বাইয়্যিনাতকে ফতওয়া দানের ক্ষমতা দিয়াছেন স্বয়ং আল্লাহ পাক। কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক স্বীয় কালাম পাকে ইরশাদ করেন, “তাহারা আপনার কাছে ফতওয়া জানতে চায়। আপনি বলিয়া দেন ইহাই ফতওয়া।” অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক- স্বীয় হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ফতওয়া দানের তোহ্ফা দিয়াছেন। পাশাপাশি জ্ঞাত্যব্য যে, জামানার মুজাদ্দিদগণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী ওয়ারিছ। সুতরাং আল বাইয়্যিনাত স্বয়ং আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তরফ থেকেই ফতওয়া দানের অধিকার পাইয়াছে। উহারা সুপারিশ করিয়াছে, “এসব ব্যাপারে সৎ সাহস থাকলে তাদের (আল বাইয়্যিনাত-এর) উচিৎ অন্ধকার থেকে প্রকাশ্যে এসে যে কোন জুমুয়ার দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের খতীব এবং দেশের অন্যান্য বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখের সামনে হাজির হয়ে এসব ব্যাপারে মতবিনিময় করা।” (দৈনিক সংগ্রাম ২৩.১০.২০০৪) আশ্চর্য হইতে হয়, আল বাইয়্যিনাতে এত লেখালেখি, জায়গায় জায়গায় এত মাহফিলের বয়ান, সর্বোপরি উহাদের আলোচিত দেয়াল লেখনির পরেও উহারা বলিতেছে, ‘অন্ধকারে না থেকে।’ অন্ধকারে থাকিলে উহারা দেখিতে পাইলো কি করিয়া? শুনিতে পাইলো কি ভাবে? আর তাহা হইলে দেয়াল লেখনীর প্রসঙ্গই বা আসিলো কেন? মূলতঃ এই ধরণের দেয়াল লেখনী যে কত সৎ সাহসের পরিচয়, কত বেশী ঈমানী কুয়তের প্রমাণ, কত বড় তায়াল্লুক-মায়াল্লাহর প্রকাশ, কত দৃঢ়চেতা জিহাদী জজ্বার স্ফুরণ তাহা সমঝদাররা ঠিকই অনুক্ষণ অনুভব করেন। তাহারা আল বাইয়্যিনাত-এর এই ঈমানী সাহসে বিস্ময়ে অভিভূত। তাহার পরও প্যাঁচারা প্যাচাল পারিতেছে যে, ‘আল বাইয়্যিনাত অন্ধকারে রহিয়াছে।’ উহাদের উদ্ভট মানসিকতায় উহারা বায়তুল মুকাররমের খতীবের কথা বলিয়াছে। বলিয়াছে দেশ বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখের কথা। উহারা দেশ, জাতি বা জাতীয় মসজিদকেই বড় করিয়া দেখিয়াছে। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর দিকে উহাদের দৃষ্টি নাই। আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি উহাদের লক্ষ্য নাই। দেশবাসী হুজুগে মাততে পার, জাতি বা ক্বওম গুণাহ্ েলিপ্ত হইতে পারে তখন তাহারা অল্প মূল্যেই কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ কিনিতে চাহিতে পারে। প্রসঙ্গতঃ আল্লাহ পাক বলিয়াছেন, অতীতে এমন অনেক জাতি ছিল যাহাদেরকে তিনি নিশ্চিহ্ন করিয়া দিয়াছেন। এবং অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন, “তাহারা অল্প মূল্যে আল্লাহ পাক-এর আয়াত শরীফ বিক্রি করিয়াছিলো।” আর প্রকৃত আলিম সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, “সাবধান! যারা আলিম তারাই আল্লাহ পাককে ভয় করেন।” এখন কথা হইলো, উহাদের কথিত দেশবরেণ্য আলিমরা আদৌ আল্লাহ পাককে ভয় করেন কি? না, মূলতঃ তাহারা দেশকে, দেশবাসীকেই ভয় করেন। তাই তাহারা ছবি তুলিয়া, বেপর্দা জায়িয করিয়া, বিজাতীয় ও বিদ্য়াতীয় সব কাজ-কারবার করিয়া দেশবাসীকে সন্তুষ্ট করিয়া দেশ বরেণ্যই হইয়া থাকিতে চাহেন। আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গ্রহনীয় ও বরণীয় হইবার অভিলাষ বা প্রচেষ্টা কোনটাই তাহাদের নাই। পক্ষান্তরে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী শুধুমাত্র আল্লাহ পাককে ভয় করেন। দেশ ও দেশবাসী তথা গোটা বিশ্ববাসী তাঁহার দৃষ্টিতে বিন্দু কণাও নয়। আমিততেজা রূহানী বলে কুরআন-সুন্নাহ্য় যাহা রহিয়াছে তাহা হুবহু উচ্চারণ করিতে পারেন। যুগ, যুগধম, যুগের আবহ, যুগের মানসিকতা, যুগের চাহিদা কোন কিছুরই পরোয়া তিনি করেননা। তাই আল বাইয়্যিনাত এত তেজ, এত বল নিয়ে ছহীহ ইসলামকে ব্যক্ত করতে পারছে মাত্র। শুধু তাহাই নয়, আল বাইয়্যিনাত খোদায়ী মদদে প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জও ঘোষণা করছে। কাজেই উহাদের প্রতি আমাদের জাওয়াব হলো, উহাদের মান্যবর খতীবগংদের যদি হিম্মত থাকে তবে তাহারা আসিয়া আল বাইয়্যিনাত-এর সাথে প্রকাশ্যে বাহাছে বসুক। এবং এই বাহাছের আহ্বান আল বাইয়্যিনাত বহু আগেই দিয়াছে। কাজেই শুধু মত বিনিময় কেন? কুরআন-সুন্নাহ্র স্পষ্ট ফায়সালা থাকার পরতো মত বিনিময়ের অবকাশ থাকিতে পারেনা। কেবলমাত্র বাহাছেই তাহার ফায়সালা হইতে পারে। কিন্তু না বাহাছে আসার যোগ্যতা, আল বাইয়্যিনাত-এর পাশে দাঁড়াবার মত হিম্মত তাহাদের আদৌ নাই। একথা তারা নিজেরাও খুউব ভাল করিয়া জানে। কাজেই বাহাছ এড়াইয়া, মত বিনিময় তাদের একটা বাহানা মাত্র। মূলতঃ খোদায়ী রহমতে ও মদদে আল বাইয়্যিনাত-এর অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় তাদের অবস্থা হইয়াছে সেই কাফিরদের মত। প্রথমতঃ তাহারা আল বাইয়্যিনাতকে ফুৎকার দিয়া উড়াইয়া দিতে চাহিয়াছিলো। কিন্তু আল বাইয়্যিনাত-এর গগনব্যাপাী বিস্তারের কারণে তাহাদের হইয়াছে ‘গোস্বায় আঙ্গুল কামড়াইয়াবার মত।’ ইহাদেরকে আল্লাহ পাক গোস্বায় আঙ্গুল কামড়াইতে কামড়াইতে মরিয়া যাইতে বলিয়াছেন।
-মুহম্মদ মাহবুর্বু রহমান, ঢাকা।
‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ