ভালবাসা দিবসের নামে বেহায়াপানার বিস্তারকারী, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সোল এজেন্ট শফিক রেহমান ফেরআউনের যত উক্তি করেছেন। ফেরআউন চারশ’ বছর হায়াত পেয়েছিলো কিন্তু এই দীর্ঘদিন তার একটা সর্দি-কাশিও হয়নি। কট্টর নাস্তিক সাইদুর রহমান পুত্র শফিক রেহমানেরও যেন সেই দশা। গত ১৮ই অক্টোবর/২০০৬ দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত হয়, “শফিক রেহমানের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তিনি কখনো অসুস্থ হননা। জ্বর, ঠান্ডা বা অন্য কোন কিছুই তাকে কাবু করতে পারেনি। সর্বশেষ করে অসুস্থ হয়েছেন এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে শফিক রেহমান জানান, তিনি সব সময়েই দুরন্তু প্রকৃতির মানুষ। কখনই কোনো ওষুধ গ্রহণ করেননি।”
যেমনটি ছিলো না ফেরআউনের আর বর্তমান যুগে তেমনটি হলো শফিক রেহমান। প্রায় সত্তর ঊর্ধ্ব জীবনে তিনি সর্বশেষ করে অসুস্থ হয়েছেন তা মনে করতে পারছেন না। তিনি যে পৈত্রিক সূত্রে নাস্তিকতা লাভ করেছেন তাই নয় বরং তিনি এ প্রজন্মকে ইসলাম বিরোধী মনোভাব গড়তে ও পাশ্চাত্য বেহায়াপনা সংস্কৃতিতে মত্ত হতে বেশ সুক্ষ্ম কিন্তু জোরদার কাজ করে যাচ্ছেন।
‘যায়যায়দিন’ নামে তার একটা ম্যাগাজিন রয়েছে যাকে শুধু পর্ণো ম্যাগাজিন বললে ভুল হবে। বরং এ ম্যাগাজিনের দ্বারা এদেশের প্রেক্ষাপটে তিনি সমকামিতা, শ্বশুরের সাথে পুত্রবধুর অবৈধ সম্পর্ক এমনকি পতিতা মায়ের খদ্দর ছেলে বা এমনি মায়ের সাথে ছেলের অবৈধ সম্পর্ক ইত্যাদি গরল ও গল্পচ্ছলে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালাচ্ছেন। তিনি পুরুষের বিশেষ অঙ্গকে তুলনা করেছেন আরবী হরফের আলিফ এবং ওয়াও’র সাথে।
অর্থাৎ অঘোষিত অবাধ যৌনাচারের সোল এজেন্ট তিনি। পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতি সয়লাবের সেয়ানা ইহুদী চর।
যুগপৎ দুঃখজনক এবং আশ্চর্যজনক যে শফিক রেহমানের নোংরামি এবং নাস্তিকতা তসলিমার চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। কিন্তু এতগুলো ইসলামী ঐক্যজোটের কেউ অথবা জামায়াতে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন থেকে মজলিশ, চর্মনাই থেকে অন্য কোনো পীর ছাহেব কেউই শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ জানায়নি।
মূলত: জোট সরকারের সমর্থক ও গৃহপালিত সম্পাদক হওয়ায় তারা শফিক রেহমানের ঐসব ইসলাম বিরোধীতা ও নগ্নতাকে নারী নেত্বত্বের মতই জায়িয করে ফেলছেন।
এদিকে শফিক রেহমানও ধর্মব্যবসায়ীদের কৃতজ্ঞতার বাহুবন্ধনে আবদ্ধ রেখেছেন। তিনি ধর্মব্যবসায়ীদের সূরে সূর মিলিয়ে সব শিয়ালের এক রা’র মত।
মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লিখনীর বিরুদ্ধে চালাও বিষোদগার লেপন করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় ফেরআউনের এই বাচ্চার জন্য তা যথার্থই বটে। আর শফিক রেহমান নিজেকে যতই কেউকাটা ইসলাম বিরোধীই ভাবেন না কেন, ফেরআউনের তুলনায় তিনি বাচ্চাই বটে। তবে নবী-রসূল, আউলিয়ায়ে কিরামের বিরোধীতায় তিনি ফেরআউনের চেলার মতই পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। আল বাইয়্যিনাত বিরোধীতায় ভ্যাঁ ভ্যাঁ করেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “মানুষ এবং জীনের মধ্যে যারা বদ প্রকৃতির তাদেরকেই আমি নবী-রসূল ও আউলিয়ায়ে কিরামের বিরোধীতাকারী, অপপ্রচারকারী বানিয়েছি।” বাইয়্যিনাত বিরোধিতায় ফেরআউনের চেলা শফিক রেহমান সেক্ষেত্রে নটের গুরু তা বলাই যায়।
-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২