আল বাইয়্যিনাত শরীফ বিরোধী,ধর্মের লেবাস ও নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ী মাওলানাদের আমল খুবই বদ ॥ সাধারণ মানুষ এদের নিকৃষ্টতা সম্পর্কে কমই জানে ॥ আল বাইয়্যিনাত শরীফ বিরোধী ইসলামী ঐক্যজোট দু’নেতার  হাক্বীক্বত ফাঁস

সংখ্যা: ১৫৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে যারা শয়তান বা দুষ্ট প্রকৃতির তাদেরকেই আমি নবী-রসূল তথা আউলিয়ায়ে কিরামের শত্রু করেছি।” অর্থাৎ হক্ব বা সত্যের বিরোধী।

মূলত: বিরোধীতা হওয়া, অপবাদ রটনা হওয়া সুন্নত। সে সুন্নত পালিত হচ্ছে বর্তমান জামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস্ সুন্নাহ্, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ক্ষেত্রেও।

সারাদেশে তথা বিশ্বে উলামায়ে ‘ছূ’রা তাঁর নামে অপবাট রটনা করছে, বিরোধিতা করছে। কিন্তু যারাই করছে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে ও প্রকাশ পাচ্ছে যে, এরা প্রত্যেকেই খুব বদ আমলের অধিকারী। অসততা, মিথ্যাবাদীতা এমনকি চরিত্রহীনতারও অধিকারী।

হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার তাঁর দরস মাহফিলে সে যামানার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের দোষত্রুটি তুলে ধরছিলেন। এক পর্যায়ে এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, ‘হুযূর! বেয়াদবি মাফ করবেন। এসব সমালোচনা না করে কিছু হাদীছ শিক্ষা দিলে ভাল হতো না।’ সাথে সাথে তিনি গর্জে উঠলেন, বললেন- ‘কিছুক্ষণ সময় দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের দোষত্রুটি তুলে ধরা, ষাট বছর বে-রিয়া নফল ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’

উল্লেখ্য, পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, এসব নামধারী উলামারা তথা উলামায়ে ‘ছূ’রাই নবী-রসূল তথা আউলিয়ায়ে কিরামগণের বিরোধীতা করে থাকে। মূলতঃ হক্ব বা সত্যের বিরোধীতা করে থাকে।

অন্যসব জেলার পাশাপাশি রাজশাহীতেও আবারো উদঘাটত হলো তার অতি সাম্প্রতিক প্রমাণ।

তিনি মুফতি খলীলুর রহমান। তার সহযোগী মাওলানা তৌফিক আজিজ। তারা ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা। এর মধ্যে মুফতি খলীল ১৯৯৬ এ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে এমপি ইলেক্শন করেছে। এখন জোট সরকারের বন্দনায় চব্বিশ ঘণ্টা মত্ত থাকে। প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর সাথে তার দহরম-মহরম। সে ক্ষমতার দাপটে রাজশাহীতে ঐক্যজোটের তৎপরতা অনুযায়ী আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর প্রচণ্ড বিরোধীতা করে। সে হুমকি-ধামকি দেয়। মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলার নামে অপবাদের সাগর রচনা করেন যে, “তিনি নবী দাবী করেছেন, আল্লাহ দাবী করেছেন, তিনি ইহুদী-খ্রিস্টানের এজেন্ট।” (নাঊযুবিল্লাহ)

ইত্যকার হাজারো মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে। আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত কর্মীরা তার দু’চোখের বিষ। পারলে সবাইকে নিঃশেষ করে দেয়। আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর চরম বিদ্বেষী। ‘আল বাইয়্যিনাত শরীফে শুধু আলিমদের গালি-গালাজ করা হয়’- এ বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সে। কিন্তু আল বাইয়্যিনাত শরীফে যাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করা হয়- তারা আলিম, না আলিম নামধারী জালিমের অন্তর্ভুক্ত সে প্রমাণ সে নিজেই দিলো। পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে,

রাজশাহীতে কলগার্লসহ

ইসলামী ঐক্যজোট নেতা

মুফতি খলিল ও ইমাম আটক

রাজশাহীতে কলগার্ল নিয়ে ফূর্তি করার সময় ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মুফতি খলিলুর রহমানকে হাতেনাতে ধরেছে এলাকাবাসী। (সমকাল, ২৩ এপ্রিল, ২০০৬ ঈসায়ী)

কলগার্ল নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে….

কলগার্ল নিয়ে ফূর্তির সময় শুক্রবার রাতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান। এসময় এলাকাবাসী তৌফিক আজিজ নামের অপর একজন ইমামকেও আটক করেছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল আটককৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, রাজশাহীর তেরখাদিয়া এলাকার তৌফিক আজিজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই কলগার্ল নিয়ে ফুর্তি করতো মুফতি খলিল। বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে পড়ে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক কলগার্লসহ মুফতি খলিল বাড়িতে ঢুকলে এলাকাবাসী বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে ঘরের দরজা খুলতে বলে। মুফতি খলিল এক মন্ত্রী ও পুলিশের ভয় দেখায় জনতাকে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বাড়ির দরজা খুলতে বাধ্য করে। ওই বাড়ি থেকে মুফতি খলিল ও তৌফিককে এক কলগার্লসহ আটক করে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার এসে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

মুফতি খলিল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ থেকে ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়। পরে ১৯৯৮ সালে মালোপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসায় যোগ দেয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নানা অনিয়ম ও অপকর্মের দায়ে তাকে বহিষ্কার করে। এরপর থেকে রাজশাহী কারাগার মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।

আটক অপর ব্যক্তি তৌফিক আজিজ বিনোদপুর এলাকার একটি মসজিদে অস্থায়ী ইমাম হিসেবে কাজ করত। শুক্রবার বিকালে সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আগের কথামতো মুফতি খলিল ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই কলগার্লকে নিয়ে ওই বাসায় আসে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

পত্রিকায় আরো রিপোর্ট,

রাজশাহীর মুফতি খলিল

এক রহস্যময় চরিত্র

তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মুফতি খলিলুর রহমান সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯৯৬ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হয়ে সিরাজগঞ্জ- ৩ আসন তাড়াশ এলাকা থেকে সে নির্বাচন করে। এ নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ নির্বাচনী প্রচারণাকালে সে তালেবান মুজাহিদদের মতো যুদ্ধ বাংলাদেশেও প্রয়োজন বলে বক্তৃতা করে। এক সময় সে তাড়াশ এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করত। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে তাকে চাকুরিচ্যুত এবং মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে রাজশাহী মালোপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকতা শুরু করে। কিন্তু এর পরপরই ১৯৯৯ সালে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এসব তথ্য একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, ১৯৯৪-৯৮ পর্যন্ত সে কোথায় অবস্থান করছিলো তা রহস্যজনক।

রাজশাহী নগরীর কয়েরদাড়া এলাকায় একটি নারীঘটিত কেলেঙ্কারীর জন্যও সে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পার পায়। এরপর নগরীর কাজীহাটা মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালনকালে একটি হজ কাফেলার হজযাত্রীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মুসল্লীরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেন। ২০০১ সালে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদের ইমাম হয়। মুফতি রাজশাহী নগরীতে এক অদৃশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে গত তিন বছরে নগরবাসীর কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জেতাদের নেতা হিসেবে। প্রকাশ্যে আফগান ফেরত যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে জাহির করতো সে। (যুগান্তর, ২৬ এপ্রিল, ২০০৬ ঈসায়ী, পৃষ্ঠা নং ১৬।

যে কারণে সরকারের সাথে

ঐক্যজোট নেতার ভাল সম্পর্ক

সরকারি দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে মুফতি খলিল নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসায় জড়িত দীর্ঘদিন থেকে। তার বিরদ্ধে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যৌনকর্মীদর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ভিআইপিদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগও দীর্ঘদিনের। ভিআইপিদের কাছে উচ্চাকাঙ্খী সুন্দরী সরবরাহ করে সে বাগিয়ে নিত অর্থ ও সুবিধা। (সমকাল, ২৫ এপ্রিল, ২০০৬ ঈসায়ী, পৃষ্ঠা নং ২০)

উল্লেখ্য, এ সমস্ত উলামায়ে ‘ছূ’রাই মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ এবং রাজারবাগ শরীফের বিরোধীতা করে থাকে। আর এসব উলামায়ে ‘ছূ’দেরকে হাদীছ শরীফে “সৃষ্টির সবচেয়ে খারাপ জীব বা নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। যারা সবচেয়ে কঠিক আযাব ভোগ করবে।” অন্য হাদীছ শরীফে আরো বলা হয়েছে, “তোমরা তাদের কাছে যেয়োনা আর তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিয়োনা তবে তারা তোমাদের গোমরাহ করতে পারবে না।” য

-মুহম্মদ জিশান আরিফ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন