‘ইহুদীদের চক্রান্তের শিকার ওহাবী-সালাফীরা প্রতি বছর ঘবি সড়ড়হ অনুযায়ী নিজেদের সুবিধামত হজ্জের দিনকে আগে-পিছে করে লক্ষ লক্ষ হাজীদের হজ্জ নষ্ট করছে।’ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, মুহইস্ সুন্নাহ্, আওলাদে রসূল, ইমাম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশেষ আলোচনা মজলিশে একথা বলেন। তিনি বলেন, শরীয়তের ফতওয়া মতে, ছবি তোলা হারাম। অথচ বর্তমানে হজ্জ করতে হলে ন্যূনতম ১৮টি ছবি জমা দিতে হয়। এরপরে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। যাতে হাজার হাজার ছবি উঠছে। এভাবে একটি ফরয আদায় করতে গিয়ে হাজার হাজার ছবি তুলে আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত-পথ, আদর্শ বিরোধী হাজার হাজার গুনাহ্ েকবীরা করে হজ্জ সম্পাদন করা কতটুকু শরীয়তসম্মত হতে পারে? এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা কিতাবের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশ মানবে না তা হবেনা। বরং পুরোটাই মানতে হবে।” এ প্রেক্ষিতে হজ্জ হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর নির্দেশিত একটি ফরয। আর একটি ফরয আদায় করার জন্যে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কঠোরভাবে নিষেধকৃত হাজার হাজার হারাম ছবি তুলে হাজার হাজার নিষেধবানী লঙ্ঘন করে চরম ফাসিক সাব্যস্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরব প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে ১/২ দিন আগে হজ্জ, কুরবানী ইত্যাদি করে থাকে। অথচ ভৌগলিক হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছরই সৌদি আরব বাংলাদেশের আগে চাঁদ দেখতে পারে না। মূলতঃ এক্ষেত্রে তারা ইহুদীদের চক্রান্তের শিকার হয়ে প্রতি বছরই ঘবি সড়ড়হ অনুযায়ী আগে আগে হজ্জের তারিখ ঘোষণা করে, যে কারণে দেখা যায়, ৯ তারিখ আরাফায় অবস্থান ফরয, ১০ তারিখে কুরবানী করে মাথা মু-ন করে ইহরাম ভঙ্গ করা ফরয এবং ১০, ১১, ১২ যিলহজ্জ তাওয়াফে জিয়ারত ফরয। কিন্তু হজ্জের দিনকে ঘবি সড়ড়হ অনুযায়ী আগে পিছে করায় হজ্জের ফরয এবং ওয়াজিব কোনটিই ছহীহ্ভাবে আদায় হচ্ছে না, যে কারণে প্রত্যেকের হজ্জই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এতে মূলতঃ হাজী ছাহেবদের অর্থ নষ্ট এবং কষ্টই হচ্ছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছে ইহুদীরা। তারা তাদের এজেন্ট ওহাবী-সালাফীদের মাধ্যমে প্রতি বছর ঘবি সড়ড়হ অনুযায়ী হজ্জের তারিখ হের-ফের করে মুসলমানদের হজ্জকে নষ্ট করছে। তিনি সকলকে শরীয়তের সঠিক ফায়সালা মেনে চলার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারী/২০০৫, সোমবার, হবিগঞ্জ জেলার, লাখাই থানার, বামৈ গ্রামে, বামৈ শাখা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যোগে এক বিরাট ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদুহ্ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। গত ৫ই জানুয়ারী/২০০৫ ঈসায়ী, বুধবার, মাদারটেক সরকার পাড়া স্থানীয় আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যোগে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতেও খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। এছাড়া ৯ই জানুয়ারী/২০০৫ ঈসায়ী, রোববার, পুরান ঢাকার হোসেনী দালান জেলখানা সংলগ্ন আইজি গেটের সম্মুখে এক ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মাহফিলে খলীফাতুল্লাহ,খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ