রে দুর্মুখা ঐ ইহুদী শাবক, উলামায়ে ছূ গোষ্ঠিরা
মুজাদ্দিদের রোবের মুখে, তোরা যে হতচ্ছারা।
তাঁহার মুবারক প্রতি তাজদীদে, তোরা হ’লি তৃণখর,
তৃণখর তোরা জ্বলিয়া ভস্ব, মুজাদ্দিদী বন্দর।
এই পৃথিবী বন্দরে মুজাদ্দিদের, একাই খবরদারী,
তিনি যে খোদার সংবিধানেই, দ্বীনিয়াতী দিশারী।
মুজাদ্দিদ তিনি আল্লাহ্র সেনা, বাতিলী ভয়ংকর,
ঐ মুজাদ্দিদ হন রসূলে পাকের, উম্মতী রাহ্বর।
রে বেয়াকুব তোরা মুজাদ্দিদ সনে, লড়াই করিতে চাস?
হ’লি অবশ্যই তোরা পরাজিত, বনিয়া যে খন্নাস।
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদে দেখ্, ইসলামী আনবিক,
ঐ আনবিক দিয়ে তাগুতি বেসাত, সর্বদা মারে ঠিক।
ঐ তাঁর তাজদীদে হয় ক্ষেপনাস্ত্র, দ্বিপ্ত অগ্নি গোলা,
সেই ক্ষেপনাস্ত্রের বজ্রাঘাতেই, বাতিল হইছে বিলা।
রে উলামায়ে ‘ছূ’ নাদানের জাত, তোদের ধোকা যে ফাঁস,
ঐ বাইয়্যিনাতের দেয়াল লিখনে, তোরা হ’লি উপহাস।
তাজদীদেরই মুখপত্র, ঐ বাইয়্যিনাতের জ্বালায়,
উলামায়ে ‘ছূ’দের বেকায়দায় ফেলে, রাখিছে পুরো ডুবায়।
অধুনা ওহাবী, খারিজী, জামায়াতী, রেজভীরা অস্থির,
বাইয়্যিনাতের দেয়াল লিখনীতে, তাদের ধরিছে চির।
বাইয়্যিনাত তাদের অপকীর্তি, দেয় যে প্রকাশ করে,
ঐক্যে তাদের ফাটল ধরিছে, মুজাদ্দিদী রোব জোরে।
দেয়াল লিখনী দেখিয়া যে ঐ, আম মুসলিমে ক্ষেপে,
ধরিয়া ফেলিছে উলামায়ে ছূ’দের, টুটিখানি তারা চেপে।
এবার খারিজী বেকায়দায় পড়ে, নিস্তার খুঁজে হায়!
কেমন করিয়া বাইয়্যিনাত হতে, বাঁচার পথটি পায়!
রে অন্ধ জাহিল ওহাবী, খারিজী, পথ নেই লুকাবার,
এই পৃথিবী গ্রহটি মুজাদ্দিদের, রশ্মিতে জাগুয়ার।
প্রতি পথ-ঘাট, গিরি-গুহা, যত আছে প্রান্তর,
ঐ মুজাদ্দিদের রোবের আলোতে, মিটে সেথা আস্তর।
শুনরে রাজারবাগের মুজাদ্দিদ তিনি, ইসলামী উপহার,
তাঁহার পরশে মু’মিনের দল, দাওয়া সেবে তেজিয়ার।
ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদ তিনি, দ্বীনের পূর্ণ দিবা।
তাঁর ফায়েজেই মু’মিনেরা হয়, নকশায়ে ছাহাবা,
তাগুতি আঁধারে দ্বীন নাহি আর, ঢাকিয়া ধরনীতে,
মানবেতর ঐ নহে মুসলিম, ইবলিসি কশাঘাতে।
ঐ দ্বীনি সূর্য হয় মুজাদ্দিদের, তাজদীদ মহিমময়ী
তাঁহার পরশে মুসলিম আজ, সবখানে হয় জয়ী।
তামাম দুনিয়ার মুসলিম মাঝে, ঐ সূর্য বিরাজমান,
ঐ সূর্যালোকেই খুজিয়া লইছে, দ্বীনিয়াতি সন্ধ্যান।
উলামায়ে ‘ছূ’র ছলচাতুরি, ভেঙ্গে পড়ে একে একে,
ওহাবী, খারিজী, রেজভী, শিয়ারা, রহিছে না আর সুখে।
তাদের ওস্তাদ ইহুদী খ্রীষ্ট, হয়ে থাকে নির্বোধ,
তাদের দিক্ষা অস্ত্র ও চাল, বিকলে রহে তাবৎ।
খোদ ইবলিস সর্দারী ছেড়ে, পড়িছে ভাবান্তরে,
হায় মুজাদ্দিদের প্রতিঘায়, ইবলিসি মাথা ঘুরে।
হায় হাত ছাড়া ঐ হচ্ছে দাপট, সকল ক্ষেত্র হতে,
পৃথিবীতে আজ জোয়ার বহিছে, মুজাদ্দিদী ছোহবতে।
হায়রে! আজ, মাথায় পড়ে বাজ, ইবলিস বেকারার,
সাথে সাথে ঐ কাহিলে রহিছে, শিষ্যরা যত তার।
কাদিয়ানী, শিয়া, বাহাই, রেজভী, খারিজী, ওহাবী মিলে,
চাহিছে তাহারা লড়াই করিতে, জমা হয় দলে দলে।
মুজাদ্দিদের তাজদীদ তারা, রুখে দিতে লয় শপথ,
ইহুদী, খ্রীষ্ট ও নম হতে লয়, কুফরীর মতামত।
ঐ ইহুদী খ্রীষ্ট হইতে তাহারা, গ্রহীতেছে খয়রাত,
দ্বীন ইসলামকে করিতে চাহিছে, ধরনীতে কুপকাত।
শুন্ রাজাধিরাজ আল্লাহ তায়ালাই, দ্বীন ইসলামের জিম্মাদার,
ঐ প্রতিনিধি তাঁর মুজাদ্দিদ দিয়ে, দ্বীন রাখেন ইজহার।
সাইয়্যিদী রসূল হাবীবের পর, আর নাহি নবী আসে,
প্রতি শতকেই মুজাদ্দিদ আসেন, বাতিল ধরিয়া নাশে।
নবায়ন করে মু’মিনী আক্বীদা, কুরআন-সুন্নাহ্ মতে,
তিনি ইছলাহ করেন মু’মিনী ক্বলব্, জান্নাতী ফরদিতে।
ঐ ছড়িয়ে পড়া মুসলমানরে, ঐক্যের ডোরে বাঁধে,
পথহারাদের টানিয়া তোলেন, দ্বীনিয়াতী আহলাদে।
সেই মুজাদ্দিদ হন নকশায়ে নবী, রসূলের প্রতিনিধি,
তাঁহার ডাকেতে মুসিলম ঐ, ছেড়ে আসে নির্বোধি।
অনুরূপ এক মুজাদ্দিদ আসেন, প্রগতি জাহিল ধরায়,
ঐ অনুরূপ এক রাহবার আসেন, অধুনা বর্বরতায়।
মুসলমানের কঠিন নিদানে, তাশরীফ তাঁর ভূমে,
জলীলুল ক্বদর হাদী যে তিনি, ইছলাহী আহকামে।
ওহে দুনিয়ার মুসলমানেরা, সুখবর শুন সবে,
ঐ মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফ, আলোড়ন পড়ে ভবে।
হে মুসলমান আনচান ত্যাগে, চলে আস তাড়াতাড়ি,
পরশ লওরে সবাই তাঁহার, জাগাতে ঈমানদারী।
সেই মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল, আরশ বাগের পুরস্কার,
মুসলিম মাঝে দ্বীপ্ত সূরুজ, তিনি বড় শানদার।
তাঁর নেতৃত্বেই, প্রীতিতে রহিব, আমরা মুসলমান,
পৃথিবী হতেই খোদাদ্রোহীর, রাখিব না আর জান।
উলামায়ে ‘ছূ’ খারিজী, ওহাবী, কাদিয়ানী, শিয়া ধরে,
দাফন করিব তাহাদের মোরা, ধরাতল, খুরে খুরে।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জুলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭