মাহে শা’বান,
এ মাহে খোদায়ী রহমতখানি রহে রহে সুমহান”।
পুরো কায়িনাত বারাকাতে রয় ইহসানে হরদম,
মালায়িককুল সৌরভে ফুল ছিটাইছে অনুপম।
সেরা উপহার জান্নাতী দ্বার রয় খোলা বেশুমার,
ওই আরশীবাগের বরকতী বায়ু বহিছে পৃথিবীপার।
শুধু সেই স্নিগ্ধে, মুগ্ধ রহেন, মু’মিনীন হকদার,
হায় মাহরূম রহে, আফসোসে দহে, দুর্ভাগা বদকার।
থেকে বহু রকমারী, করে আহাজারী, ইবলিসে মজবুর,
কেবল রহে কামিয়াব আজ বেহিসাব, মুসলিম বেকসুর।
পবিত্র এই নূরী বরাত, সুমহান শুভ রাত,
এ রাতে ইলাহী করেন কবুল মু’মিনের মুনাজাত।
গুনাহখাতা মাফের সুবর্ণ সুযোগ মুবারক এই রাতে,
অবশ্যই খোদা ক্ষমা করে দেন, সন্দেহ নেই এতে।
ছহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, জানিয়া পরহেযগার,
পুরো রাতব্যাপী ইবাদতে রন নিরলসে গুলজার।
মুবারাক ওই বরাতী রাতের ফযীলত বর্ণনা,
চাহেন জানিয়া মু’মিনীন সবে গুনাহের মার্জনা।
তওবাকারীরা তওবার বেলা এই রাতে হুঁশিয়ার,
নির্ঘুম থেকে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ ডেকে কেঁদে কেঁদে জারেজার।
আজ রহমতে ছেয়ে নিষ্পাপ হয়ে তওবাকারীরা খুশি,
হিংসার আগুনে পুড়ে ছারখার ইবলিসে বেশি বেশি।
পাঁচই শা’বান,
রহমানী দান, রহে অফুরান যুগ যুগ মহীয়ান।
এ দিবস বড়ই সরস, স্মরণীয় নূরে নূর।
আলমময় আজ খুশিতে বিরাজ মালাইক মানসুর।
হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম-ই মুবারক বিলাদত,
করেন গুলশান পাঁচই শাবান খুশিতে দোলে জগৎ।
ইমামুর রবি’ আলাইহিস সালাম একই তারিখে তিনি,
বিলাদতী শান প্রকাশ ঘটান ইতিহাসে দেয় ধ্বনি।
ওই খ্যাতিময় দুই মুবারক নূর সাইয়্যিদী মসনদে,
আবাদুল আবাদে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদে রহিছেন আহলাদে।
পবিত্র দ্বীন রহেন অধীন, উনাদের নূরে নূর,
ও নূরে আজিও সজীব রহেন মুসলিমে মশহুর
সেই সে পাক নূর মুবারক, তাশরীফ মোর দেশে,
সবুজের শিরে জ্বলজ্বল করে, খোঁজ হে ইশকি জোশে।
তবে হে মু’মিন কেন রহো হীন খুশির খবর শুনে?
কেন তুমি রহো দুনিয়াতে মজে শয়তানী আলাপনে?
আজ দেখা যায় গোটা কায়িনায়, মুসলিমে রয় ঘুম,
রহে শবে বরাতের ফযীলত হতে খুব বেশি বেমালুম।
আহা! কেন রহ অতুলনীয় সব রহমত হতে সরে?
একি অজ্ঞান? নাকি অভিমান? আছো হয়রানে পড়ে।
ওরে অথর্ব বেখবর সবে, ছেড়ে দিয়ে গুমরাহী,
তুমি মুসলিম লও হে তা’লীম কহিতেছি ছহী ছহী।
কহি খালিক্ব মালিক রাব্বি ভুবনে ইমামের সংবাদ,
এই সত্য পথের রাহগীর তিনি হাদীছেই ইরশাদ।
রাখে না যে জন নিজ যামানার সত্য ইমামী খোঁজ,
রয় জাহেলিয়াতেই মৃত্যু তাহার আফসুসে হররোজ।
ওই গুমরাহী গৃহ গুজরায় দিন বেয়াকুব হয়ে হায়,
জায়ঠিকানা জাহান্নাম তার জেনে লও বসুধায়।
রে বোকার হদ্য, কেন আবদ্ধ ইবলিসি কুটজালে?
ওহে মুসলিম হও রে আলিম রহিয়ো না আবডালে।
বলছি এগিয়ে শোন মন দিয়ে, ঝিমিয়ে থেকো না আর,
কে মুজাদ্দিদ, ইমামুল উমাম, পরিচয় কহি উনার।
তিনি সাইয়্যিদ, গাউছুল আ’যম, শাহান শাহ মুর্শিদ,
তিনি খোদায়ী বুলবুল আওলাদে রস্লূ ইছলাহি আফরীদি।
জানাই ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার বাসস্থান,
তিনি ওখান থেকেই শয়তানী চাল করে দেন খান খান।
রে দুনিয়ার মাজলুম ওই কম জোর মু’মিনীন,
কহি গো তোমায় ত্বরা করে আয় থেকো না রে দিনহীন।
সর্বোত্তম আমল সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তিনিই করেন জারি,
রাখেন মুজাদ্দিদে আ’যম তামাম আলমে বিজয়ী ঝা-া ধরি।
আজ পৃথিবীর দিকে দিকে শুনি মামদূহী মহাশান,
রহে আকাশ-পাতাল কামালে কামাল আবাদুল আবাদান।
তামাম তাগুতী তমশা এবার ভঙ্গুরে বিলকুল,
সত্য ছাদিক্ব, অধিকের চুরে চমকিছে মকবুল।
অধুনা ভূমিতে কাফিরের জাতে গযবে গ্রেফতার,
ইহা মুজাদ্দিদে আ’যম উনার দোয়ায় ধ্বংসিছে বারবার।
উনার আশ্বাস করো বিশ্বাস, ওরে ও মুসলমান,
শুনো, এলে খিলাফত হবে আলবৎ পৃথিবী গুলিস্তান।
রহে খিলাফতী শান, অনন্য দান, অনন্ত অনাবিল,
গড়ে জান্নাত, জুড়ে কায়িনাত, ইনসাফে ঝিলমিল।
ওগো দয়াময় খোদা! কহি কহি সদা করিয়া যে মুনাজাত,
মোদের অনবরত, করুন মদদ, মুজাদ্দিদী বারাকাত।
হাশর-নশর উনারই ক্বদমে, হউক আমাদের কথা,
রহিম করিম গাফফার অসীম, জানাই নোয়ায়ে মাথা।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬