অশ্লীলী কষাঘাত,
সভ্য সুশীলী চামড়া তুলিয়া বিশ্ব করিছে মাত।
সভ্য ঘাড়েই অসভ্য আজ সহসা চালায় ছুরি,
সভ্য নীতিরে দফাইয়া দেয় নগ্ন পাতাল খুরি।
প্রশাসনসহ অফিস-আদালত,
শিক্ষা শান্তি ঐক্যে তাবত।
ব্যবসা আবাস ও সংস্কৃতি,
প্রতিঘাতে রয় নাঙ্গা প্রীতি।
জাঁকিয়া বসিয়া লইছে কাড়িয়া শ্লীলতা শৃঙ্খল,
নগ্ন হিংস্র গ্রাস করে ফেলে সাধুবাদী মখমল।
নাটক সিনেমা কনসার্টসহ বিচিত্র মঞ্চে,
সভ্যজাতির গর্বের শির নত রাখে খামচে।
কু-মতলবের কারিশমা আজ করছে বিজয় ধ্বনি,
ফের কুম্ভীরাশ্রু ঝরাইছে হায় প্রগতিবাদীর ঘানি।
হয় বিস্তর ওই চক্ষুগোচর ঘরবাড়ি রাস্তায়,
সাজন বাহারী কুমার কুমারী রহিছে বেলেল্লায়।
চচ্চড়ি ন্যায় তৃপ্তি লভিছে ঝরায়ে মুখের লালা,
রকমারি ওই নেশার বড়ি সেবনে চক্ষু ফোলা।
ফেনসিডিল আর হিরোইনসহ কত কী মাদক জাত,
নেশাখোর সব রহিছে বিভোর কদর্থে কুপোকাত।
ভিখারি টোকাই মিন্তি মজুর দারোয়ান গাড়োয়ান,
পিয়ন কেরানী বসসহ আজ নেশায় গ্রেফতান।
ওই ছাত্র শিক্ষক খেলোয়াড়সহ উকিল ব্যারিস্টার,
ফের প্রগতি সুশীল রাজনীতিবিদ শিল্পী কর্মকার।
গায়ক বাদক নর্তকি থেকে সার্ভেন্ট সুইপার,
হায় সকলেই নেশার মহলেই লাজহীনে একাকার।
খুন ছিনতাই সন্ত্রাসী দিয়ে চলছে খবরদারী,
ফের হরতাল জ্বালাও পোড়াও কাঁদানে গ্যাসের ঝারি।
তুচ্ছ বিষয় ইস্যু করে হায় তুমুল হট্টগোল,
তুঘলুকি রাজ ক্বায়িম করিতে জোরছে বাজায় ঢোল।
হায় কেন আজ এমন হলো,
তাগুতবাদীরা হুমকি দিলো।
পর্দা হেয়তে করে মিটিং,
ফাঁসির ভিড়ে নারী টিজিং।
এই তো মোদের দেশের হাল আজ প্রগতির কোলে,
প্রগতিবাদীরা বাছাই করিয়া ধর্ম ছাড়িতে বলে।
পর্দা লাগেনা, ধর্ম লাগেনা, ইহা নাকি বাড়াবাড়ি,
ধর্মই নাকি পিছাইয়া দেয় সত্য যুগের নারি।
বলে কী বলে কী নালায়েক ওই প্রগতি গোমস্তরা,
মুশরিক আর নাস্তিক মিলে দেশ করে কূলছাড়া।
সাবধান ওই বেয়াদব তুই ইবলিসি সায় পেয়ে,
দেশবাসীরেই দিচ্ছিস ছুড়ে পতনের গান গেয়ে।
শুন, মোরা মুসলিম এদেশবাসী জাগ্রত দ্বীনদার,
পাক্কা ঈমানে রহি বলীয়ান বলে দেই সমাচার।
এই সাতানব্বই ভাগ মুসলমানের সবুজ বঙ্গভূমি,
আযানে আযানে মুখরিত ওই নিত্য দিবসযামী।
কোটি কোটি ওই মুসলমানেরা সালাতি কাতারে থেকে,
ইসলামী দ্বীন ক্বায়িম রাখিতে হরদম যায় ডেকে।
জীবন বাজিতে মুসলিমী জাত আপন ধর্ম লাগি,
জান কুরবান রহে আগুয়ান হিম্মতে রয় জাগি।
ওই বেঈমান মুশরিক আর নাস্তিক লও শুনে,
মোরা ইসলামী দ্বীনে মুসলমানেরা রহিছি ঐকতানে।
ফের এদেশের সংবিধানেই মহান খোদার নাম,
উঠাইতে চায় কাফির গোষ্ঠী বাজাইয়া গেঞ্জাম।
নে শুনে নে ওই বেঈমান দুই মুখা বদমাশ,
মহা মুজাদ্দিদ বীর বাহাদুর বাংলাদেশেই প্রকাশ।
উনি মুস্তাজাবুদ দাওয়াত ওলী আওলিয়া সুলতান,
উনার দোয়ায় ধ্বংস যে হয় মুল্লুকে কাফিরান।
দেশ ও দশের বাহির শত্রু উনার দোয়ার ফলে,
ধ্বংস হচ্ছে বংশসহই সত্য দিলাম বলে।
ওরে সাবধান প্রশাসনসহ দেশবাসী সব জনে,
ওই মুজাদ্দিদ মতে মত মিলাও শান্তি উনার সনে।
তাগুতি রেওয়াজ তাগুতি আইন প্রত্যাহার করে নিলে,
ক্বায়িম খিলাফত করহে তাবৎ মুজাদ্দিদ দেন বলে।
ব্যত্যয় হলে আসবে গযব বিশ্বাস করা চাই,
ইহাই সত্য কহি অবশ্য প্রমাণ সত্যে পাই।
আসে রমাদ্বান দিতে পরিত্রাণ শোন হে মুসলমান,
কর সম্মান বড় মহীয়ান সিয়ামের আহ্বান।
হাক্বীক্বী মু’মিন সিয়ামে আসীন হয় সে মুত্তাক্বী,
মুজাদ্দিদ আ’যম ক্বওলে রহম বিশুদ্ধ মিছদাক্বী।
ওই সরকারসহ বুদ্ধিজীবীরে দাওয়াত দিচ্ছি কবি,
মুজাদ্দিদ আ’যম গাউছে পাকের ক্বারিবেই কামিয়াবী।
বিশ্বাস করা হইবে উচিত হাদীছ শরীফি হুকুম,
নইলে হবেই জালিম নয়তো নাখান্দা মজলুম।
মহান আল্লাহ দিন তাওফীক করতেছি ফরিয়াদ,
মুজাদ্দিদ পাকের নূরী ছোহবতে রহিবো ইত্তিহাদ।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬