ওই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ জিন্দাবাদ, অনাদি অনন্ত
আউওয়াল আখির উঁচ্চেই শির রহে যে জীবন্ত।
নহে মন্থর নহে উভচর প্রতিক্ষণ সদা দীপ্ত,
আশিকে রসূল হয়ে মক্ববুল হামেশাতে লিপ্ত।
মুজাদ্দিদ আ’যম, গাউছুল আ’যম, ইমামে মুসলিমীন,
ফতওয়া দিলেন পালন করেন প্রমাণ্যে সমীচীন।
স্বয়ং শ্রষ্টা করেন পালন, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
দলীল দ্বারাই প্রমাণ করেন নেই এতে বিস্বাদ।
ওই হিংসুক ওহাবীরা কয়, ইহুদী শরাব খেয়ে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ কহিছে হারাম, নাছারা মদদ পেয়ে।
হুঁশিয়ার! ওরে ও নাদান জাহিলে অন্ধ হয়ে,
আবোল-তাবোল বকিস তোরা নাছারার নির্ণয়ে।
সাবধান!! ওরে দেওবন্দী সব হিন্দুর আরদালী,
আখিরী রসূলী মুবারক শানে চালাস মিথ্যা বুলি।
তিনি আমাদের মতো মাটির মানুষ প্রমাণ করতে চাস,
বড় ভাই বলে প্রচার করিস, বনেছিস সন্ত্রাস।
তোরা ইহুদীর খুদকুড়া খেয়ে বিগড়ালি মস্তক,
তোরা বেয়াদব দিশা ভুলে যাস শুরু হতে আজতক।
তোরা নারীদের বানালি ইমাম হিজড়া হয়েই হায়,
ঈমান-আক্বীদার বারোটা বাজালি আওয়ামেরে বসুধায়।
ওই বেপর্দা নারীর আঁচলের তলে আশ্রয় নিয়ে বলো,
পবিত্র দ্বীন ইসলাম ক্বায়িমে জিহাদে সবাই চলো।
আহা! নারীর ক্বদম চুমিয়া তোরা নিলিরে মন্ত্রী পদ,
ফের মিটিং মিছিলে বক্ষ ফুলায়ে খুশিতেই গদগদ।
নারীর কৃপায় শায়খুল হদস, কমিনী, মাহি ও শফী,
ইহুদী দালাল হতেই তারা বিলকুল হয় কাফি।
ভোট, নির্বাচন, গণতন্ত্র, ছবি ও সুদের প্রথা,
করলো জারি দেশময় তারা ভ্রষ্টে রহিলো গাঁথা।
হেকারতের নাম দিয়া তারা চালায় দস্যুপনা,
ওই শাপলার চত্বরে ফের দেখায় ছল বাহনা।
ওরা যে বদ হলই প্রকাশ হিংস্রের তা-বে,
কুরআন শরীফ পুড়াইয়া তারা উল্লাসে রয় ডুবে। নাঊযুবিল্লাহ!
কত জঘন্য নির্মম তারা পশুও যে হার মানে,
বালহুম আদ্বল হলো যে তারা বিশ্বাসী মনেপ্রাণে।
পুরো দেশবাসী তাজ্জব হলো তাদের ঘৃণ্য কাজে,
দেওবন্দী যে গান্ধী চামচা জেনে যায় ভাঁজে ভাঁজে।
মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম বহুত পূর্ব হতে,
বলেন, খারিজী কাফির মুনাফিক এরা সন্দেহ নেই এতে।
ওরে বাংলার পনের কোটি মুসলিম সবে আজি,
রাজারবাগ দরবারে আস নিতে যে সত্য পুঁজি।
মোরা অনন্তকাল করছি পালন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
এই ঈদে রয় মু’মিনী উমীদ কামিয়াবী আহলাদ।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদই শ্রেষ্ঠ ইবাদত কহিছেন কুরআন,
শক্ত করে ধর এ আমল ওরে ও মুসলমান।
ফরয ফরয ফরযে আইন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণ করেন মামদূহ জিন্দাবাদ।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ করতে পালন চাই তাওফীক মুসলিমীন,
আশিক্বে আক্বা করছি আমীন নেই এতে গমগিন।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালনেই রহেন, পুরো দরবার মুখরিত,
প্রতি আশিক্বান রহেন আগুয়ান ইশকেই পরিমিত।
এসো ভয়ভীতি ছেড়ে শক্তিতে রই অনন্ত মক্ববুলে,
তাই জোরে জোরে দেই তকবীর জজবাহী হিল্লোলে।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ আবাদুল আবাদ জাহানে কেমন জারি?
করলেন জানি মুবারক তিনি খলীফায়ে সরওয়ারী।
তিনি খলীফা খোদায়ী আওলাদে রসূল মক্ববুলে আবাদান,
তিনি সাইয়্যিদী মধ্যমণি, দ্যুলোক-ভূলোকে আউলিয়া সুলতান।
যবে বিশ্বের তামাম তাগুত গড়িয়া ঐকতান,
চাহে যমীন হতেই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ করতে কুলবিরান।
যবে যমীনে উঠছে গজিয়ে নব্য ইহুদী দাস,
ওহাবী খারিজী দেওবন্দীসহ দেউলিয়া সন্ন্যাস।
বিনা দলীলেই করছে প্রচার লাহাবী রেওয়াজ বলে,
হারাম কহিয়া দিচ্ছে ফতওয়া মু’মিনকে ধোঁকায় ফেলে।
মনগড়া সব, করে উদ্ভব, ভুলে ভরা ইতিহাস,
ছিলো ছাহাবী, তাবিয়ী, তাবে তাবিয়ী, যুগে উপেক্ষিত উপহাস।
নাঊযুবিল্লাহ! আরো বলে তারা শিয়ালী গলায় হায়,
এলো, মীলাদ ছয়শ, ক্বিয়াম সাতশ হিজরীতে দুনিয়ায়।
কহি নির্ঘাত পুরো বানোয়াট ওহাবীর বর্ণনা,
সত্য তালিম লও মুসলিম ঝেড়ে ফেল কল্পনা।
আজ ত্রাসাগ্নিতেই তাগুতি ছলানা জ্বলে পুড়ে ছারখার,
অসহ্য জ্বালায় কোথায় পালায় নাহি নাহি পায় পার।
শ্রেষ্ঠ তাজদীদ, ফরযে আইন, ক্বায়িদুল মুরসালীন,
নির্ভরযোগ্য কিতাব উহাতে দলীল আছে সমীচীন।
হাদীছ, তাফসীর ফিক্বাহী কিতাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
ফরয ফরয ফরযে আইন শুনরে সুসংবাদ।
জানবে যে জন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তুচ্ছ অঙ্কারে,
ওই অবশ্যই তার জায়ঠিকানা হাবীয়া অগ্নিঘরে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্ম মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬