ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كُلَّ يَـوْمٍ هُوَ فِـىْ شَأْنٍ
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি একেক দিন একেক শান মুবারক-এ থাকেন।’ সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ক্বদীম। তিনি শুরুতে যা করছিলেন, এখনো তাই করেন। তবে কোনো কোনো সময় উনার কোনো কোনো বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটেন। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক এবং উনার দায়িমী শান মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এই সম্পর্কে খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ اللهَ وَمَلٰٓئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ يٰآَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! হে ঈমানদারগণ! আপনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করুন এবং অত্যন্ত আদবের সাথে উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক পেশ করুন অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে তিনি কখন থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ শুরু করেছেন এবং কখন পর্যন্ত পাঠ করবেন? মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন, এখনও পাঠ করছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু ক্বদীম তাই তিনি অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করতেই থাকবেন। তিনি কখনও এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করা থেকে বিরত থাকবেন না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর এই কথা মুবারক কখনো কল্পনা করা যায় না যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুদরত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক) উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করবেন, অথচ উনার সম্মানিত অস্তিত্ব মুবারক থাকবে না, উপস্থিতি মুবারক থাকবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন ক্বদীম, তিনি কখনো ফানা বা লয় হবেন না, ঠিক তেমনিভাবে উনার সাথে সংযুক্ত হওয়ার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ক্বদীম উনার অন্তভুর্ক্ত হয়ে গেছেন, তিনিও কখনো ফানা বা লয় হবেন না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
যখন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি থাকবেন। এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كُلُّ مَنْ عَلَيْـهَا فَانٍ. وَيَـبْـقٰى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْـجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
অর্থ: “সারা কায়িনাতের সমস্ত কিছু ফানা বা ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র আপনার মহামহিম ও মহানুভব রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক বাক্বা বা স্থায়ী থাকবেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬-২৭)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার অধীন। তাই যখন সমস্ত কায়িনাতের সমস্ত কিছু ফানা বা ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করতে থাকবেন, যেমনিভাবে সৃষ্টির শুরুতে যখন কিছুই ছিলো না, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি দায়িমীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন, উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করতেই থাকবেন, অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেই থাকবেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক এবং উনার দায়িমী শান মুবারক। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
২. তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার
দায়িমী ক্বিবলা মুবারক:
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বাভাবিকভাবে কিতাবে উল্লেখ রয়েছে- ক্বিবলা ৫ প্রকার। যথা:
১. নামাযের ক্বিবলা হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বা’বা শরীফ,
২. দো‘আর ক্বিবলা হচ্ছেন- আসমান,
৩. ক্বিবলায়ে কুলূব বা ক্বলবের ক্বিবলা হচ্ছেন- হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি,
৪. সমস্ত মাখলূকাতের ক্বিবলা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি,
৫. সমস্ত ক্বিবলার বিলীনকারী ক্বিবলা হচ্ছেন- যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি।
৬. আর স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী ক্বিবলা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِكُلٍّ وِّجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّـيْهَا
‘প্রত্যেকের একটা ক্বিবলা বা দিক রয়েছে, যে দিকে সে রুজু হয়ে থাকে।’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৮)
তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি দায়িমীভাবে কোন্ দিকে রুজু হয়ে রয়েছেন? তিনি তো দায়িমীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু রয়েছেন, তাই দায়িমীভাবে উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং যাবেন অর্থাৎ অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
কাজেই স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী ক্বিবলা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে জিন-ইনসান, সমস্ত সৃষ্টিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কতটুকু ক্বিবলা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং দায়িমীভাবে কতটুকু উনার প্রতি রুজু থাকতে হবে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করতে হবে, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতে হবে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে, সেটা ফিকিরের বিষয়।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
৩. উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
মুহব্বত মুবারক রিযিক:
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার ১লা জুমাদাল উখরা শরীফ সম্মানিত জুুমু‘আহ্ শরীফ উনার আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় সময়ই হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অনেক ছানা-ছিফত মুবারক করতেন। তা শুনে “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীকাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
فَاَغْضَبْـتُهٗ يَـوْمًا فَـقُلْتُ حَضْرَتْ خَدِيْـجَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ
‘একদিন আমার খুব অভিমান হলো, আমি খুব অভিমান করলাম। আমি বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি শুধু একা? তিনিই শুধু? আর কেহই নেই। তখন এটা শুনে
فَـقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
اِنِّـىْ قَدْ رُزِقْتُ حُبَّهَا
‘নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মুহব্বত মুবারক আমার রিযিক করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
যার যখন কোনো কিছু রিযিক হয়, তখন তা প্রতিদিনই খেতে হয়। মানুষের খাদ্য খেতে হয় রিযিক হলে। লেবাস হলে পড়তে হয় বা যে কোনো কিছু রিযিক যদি হয়, তাহলে প্রতিদিন সব সময় এটা করতে হয়। সেটাই বললেন, আপনি যে বললেন- উনার যে এতো ছানা-ছিফত, এতো কিছু আমি করি, এতো কিছু বলি-
اِنِّـىْ قَدْ رُزِقْتُ حُبَّـهَا
‘নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মুহব্বত মুবারককে আমার রিযিক করে দিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
যার জন্য আমি সব সময় উনার ছানা-ছিফত মুবারক করি, উনার বিষয়গুলো বলি। এটা আমার রিযিক হয়ে গেছে। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন এটা করার জন্য। বিষয়টা কিন্তু খুব ফিকিরের বিষয়।
এখান থেকে আরেকটা মাসআলা কিন্তু বের হয়। সে বিষয়টা কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছেন-
مَنْ اَحَبَّ شَيْـئًا اَكْـثَـرَ ذِكْرَهٗ
‘যে যাকে মুহ্ববত করে, সে তার আলোচনা বেশি করে, তার কথা বেশি বলে।’
আর যার কথা বেশি বলবে, তার মুহব্বত তত বেশি পয়দা হবে।
তাহলে যাকে যে মুহব্বত করে, সে তার কথা বেশি বলে। এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- ‘যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মুহব্বত মুবারককে আমার রিযিক করে দিয়েছেন। এজন্য উনার ছানা-ছিফাত মুবারক আমাকে করতে হয়। উনি করেন সব সময়। এটা একটা বিষয়।
আরেকটা বিষয় যদি আমরা ফিকির করি। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ইরশাদ করলেন,
اِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ
অর্থ হচ্ছেন- ‘নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে এবং উনার আদেশক্রমে সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করেন।’
তাহলে কী অর্থ হলেন এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার? এটা বুঝতে হবে। এখানে একটা ফিকির আছে। মানুষের বুঝা কঠিন। এখন
اِنِّـىْ قَدْ رُزِقْتُ حُبَّـهَا
‘নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মুহব্বত মুবারক আমার রিযিক করে দিয়েছেন।’
তাহলে এখন কী দেখা যাচ্ছে? স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই দায়িমীভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করে যাচ্ছেন। তাহলে কেমন হলো এখন? এটা মানুষ তো বুঝতে ভুল বুঝলে কুফরী হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যদিও যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো রিযিক নেই। তাহলে এখন উনার তো রিযিক হয়ে গেছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার রিযিক হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এজন্য তিনি সব সময় উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতে থাকেন। আবার ঠিক উনি সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের রিযিক করে দিয়েছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আর সেটাই বলেছেন-
يٰآَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا
‘হে ঈমানদাররা তাহলে তোমরাও আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক তোমাদের রিযিক করে নাও।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সেটাই হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আমরা অনন্তকালব্যাপী জারী করেছি। এটা রিযিক আমাদের। এটা হচ্ছেন রিযিক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা হচ্ছেন যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যেমন রিযিক, সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও রিযিক, তোমরা উম্মত যারা রয়েছো তোমরাও তোমাদের রিযিক করে নাও। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক অনন্তকাল ধরে করতে থাকো। সেটাই হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। এটা রিযিক স্বরূপ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদেরকে এবং সমস্ত কায়িনাতবাসী সবাইকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।