ইসলামী বিধিবিধানের প্রতি অবজ্ঞা করলেও অশান্তির অনলে পুড়ে মরছে ইউরোপ আমেরিকার তথাকথিত সভ্যতা।
বহুবিবাহ তাদের গাত্রদাহের কারণ হলেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে কোনই লজ্জা নেই, শরমিন্দা নেই, প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি সমলিঙ্গেও অসুবিধা নেই। নাউযুবিল্লাহ!
যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্ট ১৮৭৮ সালে রেনল্ডস ভার্সাস ইউনাইটেড স্টেটস-মামলার রায়ে বহু বিবাহ প্রথাকে একেবারে নিষিদ্ধ করেছে। সেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্র একজন পুরুষ আইনগতভাবে একজন স্ত্রী নিয়েই ঘর করছেন। ইউটাহ রাজ্যে টমাস গ্রিন নামক এক ব্যক্তি ৫ স্ত্রী নিয়ে ঘর করার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ২০০১ সালে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একশ সাতাশ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে একাধিক স্ত্রী বিরোধী আইন। কিন্তু এখন ভেঙ্গে পড়েছে তার বাধুনি।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একশ সাতাশ বছরের বিধানকে রদ করে যুক্তরাষ্ট্রেও একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘর করার নতুন আইনের জন্য একটি বিল উঠেছে হাউজে। সমলিঙ্গে যদি বিয়ে করার অনুমতি পায় তবে যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষরা কেন পাবেনা একত্রে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘর করতে?
এ অনুভূতির আলোকে সাউথ ডেকটার কংগ্রেসম্যান এলিজাবেথ ক্রাউস উত্থাপিত বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে নতুন বছরের শুরুতেই।
উল্লেখ্য, বিল উত্থাপনের খবরটি সর্বত্র আলোচনার ঝড় তুলেছে। কারণ এর দ্বারা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ইসলামী বিধিবিধানেই প্রজ্ঞা ও যথার্যতা প্রমাণিত হলো।
-মুহম্মদ আলিমুর রহমান, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫