গত ১ই জুলাই/২০০৭ ঈসায়ী দৈনিক আল ইহসানে প্রথম পৃষ্ঠায় সংবাদ শিরোনাম হয়, “এনজিও কার্যক্রমের নামে চলছে খ্রিস্টান বানানোর পায়তারা। প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ৫১ জন অজ্ঞ মুসলমানকে খ্রিস্টান বানিয়েছে সিএলবি এনজিও।”
গত ৮ই জুলাই/২০০৭ ঈসায়ী দৈনিক আল ইহসানে ১ম পৃষ্ঠায়: “শিশুদের বাধ্যতামূলক পড়াচ্ছে যিশুর বই। মহিলাদের দেখানো হয় সিডি। নীলফামারীতে মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার লক্ষ্যে ৬টি এনজিও কাজ করছে” শীর্ষক সংবাদে বলা হয়, “নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
শুধু ইভানজেলিক্যাল ফ্রেন্ডস চার্চনয় এরকম আরো ৫টি এনজিও শিক্ষা, ঋণ ও অনির্ভরশীল সহায়ক কার্যক্রমের আড়ালে ধর্মান্তরিত করার কাজ করছে। এলক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে বিরাট এলাকাজুড়ে অফিস, উপাসনালয় ও স্কুল। স্কুলগুলোতে কোমলমতি শিশুদের পড়ানো হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে যিশু খ্রিস্টের বই। সমিতির সদস্যদের পড়ানো হয় ইনজিল কেতাব। সিডিতে দেখানো হয় যিশু খ্রিস্টের জীবনীমূলক চলচ্চিত্র।
জেলা শহর থেকে ১০/১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যচাপ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ভাটিয়াপাড়া দুবাছড়ি, শিক্ষাতলী, লক্ষ্মীচাপ ও সহবেদ বড়গালা গ্রামে কয়েক বছর ধরে ইভানজেলিক্যাল ফ্রেন্ডস চার্চ, খ্রিস্টান লাইফ অব বাংলাদেশ (সিএলবি), ন্যাজ্যারিন মিশন, গজফেল ফর বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লখারোস চার্চ (বিএলসি) ও সেভেনডে অ্যাডভেন্টিস্ট সংস্থা কর্তৃক মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি ছিলো অজানা। সম্প্রতি ধর্মান্তরিতদের সাথে মুসলমানদের একটি ঘটনায় তা ফাঁস হয়ে যায়। বেরিয়ে আসে ধর্মান্তরিত করার কাহিনী।
সরেজমিনে গিয়ে মুসলমানদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, যেসব ইহুদী-খ্রিস্টান পরিচালিত এনজিও উক্ত গ্রামগুলোতে কাজ করছে সবার লক্ষ্যই একটা তা হলো লোকজনকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা। টাকা, চাকরী, টিনের ঘর, রিক্সা-ভ্যান, মোবাইল ও ত্রান সামগ্রী দিয়ে সহজ সরল দরিদ্র মানুষকে করানো হয়েছে ধর্মান্তরিত।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার এ অপতৎপরতার ঘটনা শুধু সাম্প্রতিক নয়। এ মর্মে আগস্ট/২০০৪ এ মাসিক আল বাইয়্যিনাতে “পার্বত্যাঞ্চলে ও উত্তরাঞ্চলে খ্রীষ্টান মিশনারীরা বেপরোয়া॥ হাজার হাজার মুসলমানদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে বানাচ্ছে খ্রীষ্টান॥ তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনকারীরা নিথর, নিস্তব্ধ, নিশ্চুপ!” শীর্ষক নিবন্ধে বলা হয়েছিলো,
“উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ধর্মান্তরের ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। মুসলমান, হিন্দু আর সাঁওতালদের মধ্যে ধর্ম ত্যাগ করে খ্রীষ্টান হওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। বৃহত্তর রংপুর ও বৃহত্তর দিনাজপুরের ৮টি জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে খ্রীষ্টান মিশনারী। ওই সব চার্চে গত ৫ বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রীষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছে। শুধু রংপুরেই কয়েকশ’ যুবক ও দরিদ্র মানুষ অর্থের লোভে খ্রীষ্টান হয়েছে। বেকারত্ব আর দারিদ্রকে পুঁজি করে মিশনারীর লোকজন ধর্মান্তরের টোপ দিচ্ছে মানুষকে। শুধু যুবক-যুবতী আর অভাবী মানুষকেই নয়, কোমলমতি শিশুদেরও খ্রীষ্টান করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে পাদ্রীরা। তারা ৮টি জেলায় কমপক্ষে ৩০/৪০টি নার্সারী স্কুল খুলেছে। এসব স্কুলের ক্লাস রুমে যিশুর ছবিসহ খ্রীষ্টান ধর্মের বিভিন্ন ছবি ও অনুষঙ্গ টাঙিয়ে রাখা হয়। আর পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি ওই সব ছবি দেখিয়ে কোমলমতি শিশুদের খ্রীষ্টান ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হয়। পাদ্রীদের এই ধর্মান্তরের মিশন চলতে থাকলে আগামী ১০/১২ বছরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে লক্ষাধিক দরিদ্র ও বেকার যুবক খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিশনারী স্কুলগুলোতে যারা সিস্টারের কাজ করেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিস্টারদের সকলেই খ্রীষ্টান। তবে তাদের কারো কারো পূর্ব পুরুষ খ্রীষ্টান হলেও অনেকের বাবা-মা এক সময় ছিল মুসলমান। ধর্মান্তরের মাধ্যমে তারা যিশু খ্রীষ্টের ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কোমলমতি মুসলমান ছেলেমেয়েদের মিশনারী স্কুলে খ্রীষ্টান ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান দেয়ার কথা অস্বীকার করলেও স্কুলের সিস্টাররা স্বীকার করেছেন- ‘তারা শিশুদের ন্যায়ের শিক্ষা দেন। যিশু পৃথিবীতে যে শান্তির বারতা নিয়ে এসেছিলেন সেটা ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হয়। তারা জানালেন, খ্রীষ্টানদের মধ্যে ১৭টি গোত্র বাংলাদেশে কাজ করছে।
এদিকে ইন্টারনেট সূত্রে জানা যায়, শুধু বাংলাদেশ নয়, মুসলিম বিশ্বের সর্বত্রই চলছে খ্রিস্টান মিশনারীদের মুসলমানদের খ্রিস্টান বানানোর গভীর অপতৎপরতা।
প্রসঙ্গত এখানে ইন্দোনেশিয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হলো-
ইন্দোনেশিয়ায় খ্রিষ্টান মিশনারীদের প্রলোভনের জাল
সোর্সঃ ইসলাম অন লাইন নেটঃ
জাকার্তাঃ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানগণ এখন দেশটির অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান খ্রিস্টীয়করণ ধারার ভয়ে ভীত। এর পেছনে যাদের নেতৃত্ব, তারা হচ্ছে সেখানকার অর্থনৈতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী। চীনা বংশোদ্ভূত ইন্দোনেশীয় জনগোষ্ঠী।
খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য সেবা প্রদানে দক্ষ খ্রিস্টীয় মিশনারীসমূহের তৎপরতা ও সেই সাথে বিকল্প ব্যবস্থা প্রবর্তনে সরকারী দুর্নীতি এই সমস্যাকে আরো প্রকট করে তুলছে। দেরয়ান দাকওয়াহ ইসলামীয়া, ইন্দোনেশিয়া নামক সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ডঃ মুহম্মদ সিদ্দিক ইসলাম অনলাইন নেটকে একথা জানান।
তিনি বিশ্বাস করেন খ্রিস্টীয়করণ ধারা ইন্দোনেশিয়ায় বিরাজমান একটি প্রকট সঙ্কট এবং দারিদ্র্য হচ্ছে এর অন্যতম একটি কারণ। ডঃ সিদ্দিক, যার সংগঠন এই সঙ্কটের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘খ্রিষ্টানরা তাদের ধর্মীয় বাণী প্রচারে ও প্রসারে সামাজিক সেবা প্রদানের সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সুনামী কবলিত আবে প্রদেশ হচ্ছে এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে মিশনারীরা ঝাঁকে ঝাঁকে অবতীর্ণ হয়েছিল সাহায্য ও খ্রিষ্ট ধর্মের বাণী ছড়াতে।’ একই ব্যাপার ঘটেছিলো অন্যান্য স্থানেও, যেমন গেল বৎসরের ভূমিকম্প বিপর্যস্ত ইয়োগিয়াকার্তা অঞ্চলে।
প্রচ- দারিদ্র্য এবং সেই সাথে বারংবার সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহ এবং নিজ ধর্ম সম্মন্ধে সম্যক জ্ঞানের অভাবেই জনসমষ্টির অংশবিশেষ অনুরূপ চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলেছে।
পিকেএস (চকঝ) একটি ইসলামী রাজনৈতিক ও সমাজ সেবা সংগঠন মন্তব্য করে, ইন্দোনেশীয়রা হচ্ছে খুবই মুক্তমনের অধিকারী উদার একটি জনগোষ্ঠী, যারা সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। কেউ যদি এসে ইন্দোনেশীয়দের সাথে সদাচরণ করে, খাদ্য ও অর্থ দেয় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়, যেমন খ্রিস্টান মিশনারীরা করছে বা করে থাকে, তাহলে তাদের হৃদয় ঐ ব্যক্তির (বা সংস্থার) সাথে বাঁধা পড়ে যায়।’
এধরনের প্রলোভনকে জয় করতে অনেক ইন্দোনেশীয় মুসলমানই সাহায্যের আশায় অন্যান্য ধনী মুসলমান দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু সেখান থেকে কোন ধরনের সাহায্য না পেয়ে অতঃপর তারা মিশনারীদের দ্বারাই প্রলুদ্ধ হয়ে খ্রিস্টানে পরিণত হন। (নাঊযুবিল্লাহ)
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামের আগমণ ঘটে কয়েকটি মাধ্যমে। আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারতীয় মুঘলদের কারণে ও মিং ডাইনাষ্টির সময়ে চীনা নাবিক ঝেং হে এর মাধ্যমে। ইসলাম আগমনের প্রায় এক শতাব্দী পরে মিশনারীদের আগমণ ঘটে। এই প্রক্রিয়ারই পরিণতিতে ডাচগণ দেশটির অধিকাংশই কলোনীতে রূপান্তরিত করে ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ বৎসর কাল সময়ের জন্য।
ধীরে ধীরে খ্রিস্টধর্ম প্রসার লাভ করতে থাকে এবং এর চরম প্রসার লাভ ঘটে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে যখন অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে লাখ লাখ ইন্দোনেশীয় খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়।
এই গণ ধর্মান্তরের কারণ হিসেবে ১৯৬৫ সালের কুম্যনিষ্ট ক্যু ও এর দমন পরবর্তী ঘটনাপুঞ্জীকে দায়ী করেছেন ইয়েগিয়াকর্তার স্টেট ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রভাষক ডঃ ফাতিমা হুসাইন। তিনি তার অভিসন্দর্ভ ‘মুসলিম-খ্রিস্টীয়ান রিলেশন্স দ্য নিউ অর্ডার ইন্দোনেশীয়’ এর সারমর্মে উল্লেখ করেন, ‘গ্রহণযোগ্যতার সন্ধানে থাকা বহু কম্যুনিষ্টকেই স্বাগত জানিয়েছিল খ্রিস্টান মিশনারীগুলো।’ এর স্বপক্ষে তিনি ১৯৭১ ও ১৯৯০ এর ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রসমূহের তুলনামূলক পরিসংখ্যানকে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালে ইন্দোনেশীয় জনগোষ্ঠীর ৮৭.৫% ছিল মুসলমান ও মাত্র ৭.৫% ছিল খ্রিষ্টান। ১৯৯০ সালে মুসলমান জনসংখ্যা কিঞ্চিত হ্রাস পেয়ে ৮৭.২% শতাংশে ও খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ২.১% শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৯.৬% শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়।
খ্রিষ্টান মিশনারীগুলো আজো তাদের নিয়মমাফিক পূর্বের মতোই তৎপর। আদিবাসী খ্রিস্টান ও চীনা অভিবাসীগণ, যারা ডাচ যুগে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল তারাই আজকের মিশনারীগুলোর কর্মকা-ের মূখ্য রূপকার।
ডাচদের সময় থেকে চীনা খ্রিষ্টানরা যে সব সুযোগ সুবিধাগুলো ভোগ করে আসছিল, ইন্দোনেশীয় একনায়ক সুহার্তোর সময়েও তা অব্যাহত থাকে এবং এরই ফলশ্রুতিতে চীনা জনগোষ্ঠী বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়।
ইন্দোনেশীয় মলগুলোর কর্মতৎপরতার মধ্যে পড়ে খ্রিষ্টীয় মতাদর্শের উপর গণ ভাষণ বা জাঁক জমক বড়দিন উদযাপন; কিন্তু মুসলিম ছুটির দিনগুলোকে বিশেষ কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না। এই মল ও ইমারতগুলোর বেশীর ভাগই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে চীনা বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টানরা।
এর একটি উদাহরণ- ‘সেনাইয়ান সিটি মল’, যার ছাদের উপরই (সর্বোচ্চ তলায়) রয়েছে একটি চার্চ। ‘ম্যাংগলা গেলোরা পারকাসা’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্মিত ও পরিচালিত এই মলে রয়েছে ইন্দোনেশীয়দের জন্য একটি সুপরিসর আকর্ষণীয় স্থান। মলের অভ্যন্তরে একটি চার্চের উপস্থিতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থাকলেও কখনোই তার জবাব দেয়া হয়নি। বরং এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাজধানী জাকার্তায়ই ক্যাথলিক চার্চের ৫৭টি চার্চ রয়েছে।
মিশনারীর কার্যক্রমের আর একটি গোপন উদাহরণ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য খাত। ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ‘লিপোগ্রুপ’ এর কর্ণধার হচ্ছেন মোকতার বিয়াদি। যিনি একজন চীনা বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান। বিভিন্ন মার্কেটে এই রকমের ব্যবসা স্থাপনা রয়েছে, যার একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। যেখান থেকে মোট আয়ের শতকরা ২৫ ভাগই এসে থাকে। এদের এই হাসপাতালগুলোর নাম ‘সিলোয়াম হাসপাতালসমূহ’। সিলোয়াম শব্দটি ইহুদীদের অভিবাদন শব্দ ‘সালাম’ এর ইন্দোনেশীয় রূপ বা ‘সালাম’ শব্দটির ইন্দোনেশীয় সংস্করণ। এই হাসপাতালগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। এই হাসপাতালগুলো খোলাখুলিভাবেই খ্রিষ্টীয় মতাদর্শের অনুসারী, যার নাম ও প্রতীকগুলো ক্রস চিহ্ন সম্বলিত। অনেক মুসলমানই এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকেন এবং মুসলমানদের সে দুর্বল মুহূর্তের সুযোগে মিশনারীরা সহজেই তাদেরকে ক্রমনিয়ত খ্রিস্টান বানিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় খ্রিস্টান মিশনারীরা এতই তৎপর ও সফল যে এখন তাদের উদ্দেশ্য হলো সমগ্র ইন্দোনেশিয়াকে খ্রিস্টীয়করণ করা।
বলাবাহুল্য, শুধু ইন্দোনেশিয়া আর বাংলাদেশই নয় গোটা মুসলিম বিশ্বের সব মুসলমানকেই খ্রীস্টান বানিয়ে ফেলতে চায় খ্রিস্টানরা; এক্ষেত্রে সরাসরি খ্রিস্টান বানাতে তারা এখন অনেকাংশেই সফল। আর সরাসরি না হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ পোশাক-আশাক, চাল-চলন, মনোবৃত্তি, সংস্কৃতি ইত্যাদিতে খ্রীস্টানীকরণ করতে পুরোই সফল।
উল্লেখ্য, ইহুদী প্রটোকলের মত এ ক্ষেত্রেও খ্রীস্টানদেরও ছিল সুদূর অতীতের দূরভিসন্ধি। এ প্রসঙ্গে লর্ড উইলিয়াম মেকলে তার কুখ্যাত **এ বলেছিলো
***
মেকলে এখানে ভদ্রতা করে দোভাষী বললেও আসলে তিনি চেয়েছেন একটা শ্রেণী তৈরী করতে যারা রক্ত, গোশত, চেহারায় হবে এদেশীয় কিন্তু চিন্তা, চেতনায় আদর্শে কাজে হবে ইংরেজ তথা খ্রিস্টান। ওই শ্রেণী তার নিজের স্বার্থ আর ইংরেজ তথা খ্রীস্টানের স্বার্থ এক করে দেখবে।
মেকলের সেই বক্তব্য আজ শত-সহস্রভাবে প্রতিফলিত। মেকলের সে বক্তব্যের রেশ ধরে আরো যা বলতে হয় যে, খ্রিস্টান মিশনারীরা বিভিন্ন মুসলিম দেশে মুসলমানদের সরাসরি খ্রিস্টান বানিয়ে ফেলছে এ কথা যেমন সত্য তার চেয়ে বেশী সত্য যে খ্রিস্টানরা অবশিষ্ট মুসলমানদেরও তাদের পোশাক, আমল, আক্বীদায় প্রায় পুরোটাই খ্রীস্টান বানিয়ে ফেলছে।
বলাবাহুল্য এর থেকে উত্তরণের উপায় বহু পূর্বেই হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে। বিদায় হজ্বের মশহুর সে হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত লাঞ্ছিত হবেনা, পদদলিত হবে না যতক্ষণ তোমরা কুরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে থাকবে। আর যখনই তা থেকে বিচ্যূত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।” (নাঊযুবিল্লাহ)
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২