ইমামুছ ছিদ্দিক্বীন, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনারও মহাপবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়া দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদা জিজ্ঞাসিত হলেন, আপনি কাকে সর্বাপেক্ষা বড় ফক্বীহ হিসেবে পেয়েছেন।
তিনি বলেন-
مَا رَاَيْتُ اَفْقَهُ مِنْ حَضْرَتْ اِمَامِ جَعْفَرَ بْنِ مُـحَمَّدٍ الصَّادِقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: আমি ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে বড় ফক্বীহ আর কাউকে দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! (তাহযীবুল কামাল-৫/৭৯, তাযকিরাতুল হুফফাজ-১/১৬, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৩)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মহাপবিত্রতম ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বলেছেন যে-
لَوْ لَا سَنَتَانِ لَـهَلَكَ اَبُوْ نُعْمَانَ
অর্থ: যদি (ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের) দু’বছর না হতো তাহলে আবু নু’মান ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ধ্বংস হয়ে যেতেন। (তোহফাতুল ইছনাই আশারিয়া-৮, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৩)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
ফাতওয়ার স্বীকৃতি প্রদান
ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট ছাত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, একদা সাইয়্যিদুনা ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদে হারাম শরীফে বসে ফতওয়া দিচ্ছিলেন। সে সময় সাইয়্যিদুনা ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি উপস্থিত হলেন।
মানুষের মধ্যে দাঁড়িয়ে রইলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জানা মাত্র দাঁড়িয়ে আরয করলেন-
يَا اِبْنَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! لَوْ عَلِمْتُ اَوَّلَ مَا وَقَفْتُ لَـمَا قَعَدْتُ وَاَنْتَ قَائِمٌ فَقَالَ اِجْلِسْ فَافْتِ النَّاسَ، فَعَلٰى هٰذَا اَدْرَكْتُ اٰبَائِىْ
অর্থ: হে আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ক্ষমা চাচ্ছি, যদি আপনার এখানে দাঁড়ানোর কথা আমি জানতাম তাহলে আমি কখনো বসতাম না। কাউকে ফাতওয়াও দিতাম না। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনি বসুন। মানুষদেরকে ফাতওয়া দিন।
কেননা, আমি আমার সম্মানিত পিতা-পিতামহ উনাদেরকে এ পদ্ধতির উপর পেয়েছিলাম অর্থাৎ আপনি উনাদের কায়িম-মাক্বাম তথা স্থলাভিষিক্তরূপে আমল করছেন। সুবহানাল্লাহ! (মানাকিবুল ইমামিল আ’যম-১/১১৬, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৪)
উল্লেখ্য যে, হক্কানী-রব্বানী আলিম উনার উপস্থিতিতে সাধারণ লোকের কথা-বার্তা বলা, ফাতওয়া দেয়া জায়িয নেই। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয় প্রদর্শনার্থে সেটাই বলেছেন।
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি