যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি।
আমরা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠতম তাবিয়ী। কেননা তিনি স্বয়ং নিজেই বলেছেন-
رَاَيْتُ حَضْرَتْ اَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَائِمًا يُّصَلِّىْ
অর্থ: “আমি বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি তথা উনাকে নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখেছি। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদুল ইমাম আবী হানীফা-১৭৬, মানাকিবুল ইমামিল আ’যম আবী হানীফা-১/২৫)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যত্র আরো বলেছেন-
قَدِمَ حَضْرَتْ اَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ الْكُوْفَةَ وَنَزَلَ النَّخْعَ رَاَيْتُهٗ مِرَارًا.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কুফায় তাশরীফ মুবারক রেখেছেন। আর নখআ নামক স্থানেও অবস্থান মুবারক করেছেন। আমি অনেকবার উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি তথা উনাকে দেখেছি। সুবহানাল্লাহ! (আত তাদবীন ফী আখবারি কাযবীন-৩/১৫৩, তাযকিরাতুল হুফফাজ-১/১৬৮)
বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইমাম ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اِنَّ اَبَا حَنِيْفَةَ رَحِمَهُ اللهُ عَلَيْهِ رَاىَ حَضْرَتْ اَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَعَبْدَ اللهِ بْنِ الْـحَارِثِ بْنِ جَزْءَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ
অর্থ: নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে জায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদেরকে দেখেছেন তথা ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (জামি-বয়ানুল ওয়া ফাদ্বলিহী-১/১০১, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-১৮৩)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে নদীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলেন-
وَكَانَ مِنَ التَّابِعِيْنَ وَلَقِىَ عِدَّةً مِّنَ الصَّحَابَةِ وَكَانَ مِنَ الْوَرِعِيْنَ الزَّاهِدِيْنَ
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি অনেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সাক্ষাতমুবারক লাভ করেছেন। তিনি দুনিয়া বিরাগী ও মুত্তাক্বীন উনাদের অন্যতম ছিলেন। (আল ফেহেরসত-২৫৫)
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ بْنُ اَبِـىْ اَوْفٰـى وَاِسْمُ اَبِـىْ اَوْفٰـى عَلْقَمَةُ مَاتَ سِتَّةً وَّثَـمَانِيْنَ وَهُوَ اَحَدٌ مَنْ رَوٰى عَنْهُ حَضْرَتْ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحِمَهُ اللهُ عَلَيْهِ وَلَا يَلْتَفِتُ اِلٰـى قَوْلِ الْـمُنْكِرِ الْـمُتَعَصِّبِ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলক্বামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ৮৬ হিজরীতে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ঐ সকল মহান ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অন্যতম যাঁদের কাছ থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। কাজেই, গোঁড়া মানসিকতা সম্পন্ন পক্ষপাতদুষ্ট লোকদের কথা কর্ণপাত করা উচিত নয়। (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী-১০/১২৮)
ইমাম ইবনে মা’কুলা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন-
اِنَّهٗ أَرْبَعَةً مِّنَ الصَّحَابَةِ
তিনি চারজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাক্ষাত মুবারক লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি