ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪৬ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধাচরণকারীগণ লা’নতগ্রস্ত-৩

তথাকথিত আহলে হাদীছ, সালাফীরা বিভিন্ন দলে ও মতবাদে বিভক্ত। তারা হক্বচ্যুত বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত সেটাও উনার বিরোধিতারই কারণে। আহলে হাদীছের তথা সালাফীদের ইমাম দাউদ গযনবী। অবশ্য তার অন্তরে ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছুটা সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল। তিনি ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম মুবারক অত্যন্ত আদব সম্মানের সাথে নিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন আমি উনার খিদমতে হাজির হলাম। ইতিমধ্যে আহলে হাদীছের ঐক্য ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তিনি একপর্যায়ে অত্যন্ত ব্যাথাতুর কণ্ঠে বললেন, ইসহাক। আহলে হাদীছের দল বা সালাফী দলতো ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহানী বদদোয়া নিয়ে বসে আছে। সবাই আবু হানীফা, আবু হানীফা বলে। কারো মনে একটু শ্রদ্ধা জাগলে বেশির চেয়ে বেশি ইমাম আবু হানীফা বলে দেয়া। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া এই মহান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো তিনি মাত্র তিনটি হাদীছ শরীফ জানতেন। এত বড় জলীলুল ক্বদর মহাসম্মানিত ইমাম উনার সম্পর্কে যাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি কিভাবে সৃষ্টি হতে পারে? ইলিমের কি দুর্দশা! বিবেকের কি নির্মম পরিহাস!!

انما اشكوا بثى وحزنى الى الله

অর্থ: “আমি আমার দুঃখ-দুর্দশা ও অস্থিরতা মহান আল্লাহ পাক উনার সমীপেই নিবেদন করছি।” (পবিত্র সূরা ইউসুফ শরীফ-৮৬), (দাউদ গযনবী-১২৭)

ইমাম শু’বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি ইমাম হাম্মাদ ইবনে সুলায়মান রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ ছিলেন। আমি উনাকে একথা বলতে শুনেছি যে, ইমাম আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাদের সামনে অত্যন্ত আদব, ইহতিরাম, বিনীত, ন¤্র এবং তাক্বওয়া-পরহেযগারিতার সাথে বসতেন। আমরা উনার নিকট সম্মানিত ইলিম উনার খাবার সরবরাহ করতাম।”

ইমাম শু’বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, আমি ইমাম হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই কথার দরুন খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত থাকতাম। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন ওয়াল ফুক্বাহা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন সুগভীর ইলিম ও হিকমত এবং প্রখর ধীশক্তির অধিকারী। কিছু লোক অনর্থক উনার বিরোধিতা করছে, বেয়াদবী করছে। এ জন্য তাদেরকে অবশ্যই কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। (স্মারকগ্রন্থ-৫৬৫)

মুত্তালিব ইবনে যিয়াদ বলেন, আমাকে আমাদের ইমাম জা’ফর ইবনে হাসান বলেছেন, একবার আমি ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বপ্নে দেখলাম। আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি

ما فعل الله بك

মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার সাথে কিরূপ ব্যবহার করছেন? জাওয়াবে তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আমি বললাম, সম্মানিত ইলিম ও হিকমতের বদৌলতে কি আপনাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে?

তিনি বললেন, ফতওয়া প্রদান করা মুফতী ছাহেবদের জন্য তো অনেক বড় দায়িত্বের ব্যাপার। আমি বললাম, তাহলে কিসের বদৌলতে? তিনি বললেন, মানুষের ঐসব অযাচিত ও অনৈতিক ছিদ্রান্বেষণের দরুন যা আমার বিরুদ্ধে তারা করেছে, অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ভালো করেই জানেন যে, এসব কিছু আমার মধ্যে ছিল না। (স্মারকগ্রন্থ-৫৬৭)

প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ ইমাম আবূ মুক্বাতিল হাফস ইবনে সালম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

فكان ابو حنيفة رحمة الله عليه امام الدنيا فى زمانه فقها وعلما وورعا قال كان ابو حنيفة رحمة الله عليه محنة يعرف به اهل البدع من الجماعة ولقد ضرب بالسياط على الدخول فى الدنيا لهم فابى.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন ফিক্বাহ, ইলিম ও পরহেযগারিতায় সারা দুনিয়ার সকলের ইমাম।” সুবহানাল্লাহ!

উনার পবিত্র সত্ত্বা মুবারক ছিল পরীক্ষার বস্তু। যার দ্বারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত ও আহলে বিদয়াতিদের মধ্যে পার্থক্য সূচিত হয়। উনাকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে যাতে তিনি দুনিয়াদারদের সাথে দুনিয়ায় দাখিল হয়ে যান। (তিনি বেত্রাঘাতকে বরণ করে নিলেন) কিন্তু দুনিয়ার ভিতর প্রবেশ করাকে মেনে নেননি। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৩ -মুহম্মদ সাদী

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (২২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৪