ইমাম আবূ ইউসূফ রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনার প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে
আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
অছিয়ত মুবারক (৭)
অছিয়ত মুবারক (৪২): প্রত্যেক নামাযের পর ব্যক্তিগত অযীফা তথা আমলের জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করে নিবেন। সে সময় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের নিয়তে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকির করবেন। তিনি আপনাকে যে নিয়ামত ও ছবর দান করেছেন তার জন্য শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন।
অছিয়ত মুবারক (৫৩) : প্রতি মাসে রোযা রাখার জন্য কিছু দিন নির্ধারণ করে নিবেন। এবং সে দিনগুলোতে রোযা রাখবেন। তাহলে সাধারণ লোকেরা এ ব্যাপারে আপনার অনুসরণ করবে। আর সাধারণ লোক যে পরিমাণ ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির করে সন্তুষ্ট থাকে সে পরিমাণ ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির করে আপনি সন্তুষ্ট বা পরিতৃপ্ত হবেন না।
অছিয়ত মুবারক (৫৪): সব সময় নিজ নফসের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। যাতে নফস কোন গোনাহ কিংবা অনর্থক কাজ-কর্মে লিপ্ত না হয়ে পড়ে। একইভাবে অন্যান্যদের প্রতিও দৃষ্টি রাখবেন। তারা যেন দুনিয়া ও আখিরাতে সকল ক্ষেত্রে আপনার অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারে। আপনার আমল-আখলাক্ব, দেখে শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। আপনার ইলিম ও আমল থেকে তারা যেন উপকৃত হতে পারে।
অছিয়ত মুবারক (৫৫): নিজে বাজারে গিয়ে কেনা-বেচা করবেন না। একজন বিশ্বস্ত লোক, যার উপর আপনার পূর্ণ আস্থা আছে তার নিকট এ দায়িত্ব অর্পন করবেন। তিনিই আপনার এসব কাজ-কর্মের দেখাশোনা করবেন।
অছিয়ত মুবারক (৫৬): যদি কখনো কারো দোষ-ত্রুটি আপনার দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে তা কারো নিকট প্রকাশ করবেন না। বরং তার ভালো স্বভাবগুলোই আলোচনা করবেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ سَتَـرَ مُؤْمِنًا فِى الدُّنْـيَا سَتَـرَهُ اللهُ تَـعَالٰى فِى الدُّنْـيَا وَالْاٰخِرَةِ
অর্থ: যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মু’মিনের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। সুবহানাল্লাহ!
তবে যদি তার ব্যাপারে সম্মানিত দ্বীন সম্পর্কীয় কোন দোষ-ত্রুটি জানতে পারেন (সে প্রকাশ্যে সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত) তাহলে তা সর্বসাধাণের নিকট প্রকাশ করবেন, যেন সাধারণ মানুষ তার অনুসরণ বা অনুগত না হয়। বরং তাকে বর্জন করে।
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে
اُذْكُرِ الْفَاجِرَ بِمَا فِيْهِ كَىْ يَحْذَرَهُ النَّاسُ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পাপী মানুষের পাপ ও মন্দ স্বভাবগুলো মানুষকে অবহিত করো। যেন মানুষ তার সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকতে পারে।