ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অনৈসলামিক রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষতার আসলরূপ ধর্মনিরপেক্ষথাবাদ আর গণতন্ত্রের অবস্থান পাশাপাশি যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ-৩

সংখ্যা: ১৭৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১৯শে মে/২০০৭ ‘ইউএনবি’ পরিবেশিত এক খবরে জানা যায়, ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মন্তব্য করেছে, ‘বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের মত বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারলে দেশটির গণতন্ত্র জোরদার হবে।’ ভারতীয় হাইকমিশনারের এ বক্তব্য মূল্যায়নের আগে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপ কি সে আলোচনায় যাওয়া যাক। বাস্তবতা হলো সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার ডঙ্কা বাজানো হলেও সে দেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের মাত্রা কমার কোন লক্ষণ এখন পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞানীদের নজরে আসেনি। আবহমানকাল থেকে চলমান জাতীয়তাবাদ প্রথার নির্মম শিকার দলিতদের অবিসংবাদিত নেতা ড. বি আর আম্বেদকর থেকে শুরু করে হালের বিখ্যাত সমাজবাদী বিশ্লেষক আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত ভারতের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে আক্ষেপ করে চলেছেন। উল্লিখিত দুই বিখ্যাত জনের নিম্নোক্ত দু’টি উদ্ধৃতি আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটির কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপটি উপলব্ধির জন্য সহায়ক হবে।

১. ঞযবৎব যধাব নববহ সধহু গধযধঃসধং রহ ওহফরধ যিড়ংব ংযড়ষব ড়নলবপঃ ধিং ঃড় ৎবসড়াব টহঃড়ঁপযধ- নরষরঃু ধহফ ঃড় বষবাধঃব ধহফ ধনংড়ৎন ঃযব ফবঢ়ৎবংংবফ পষধংংবং; নঁঃ বাবৎু ড়হব ড়ভ ঃযবস যধং ভধরষফ রহ যরং সরংংরড়হ, গধযধঃসধং যধাব পড়সব, গধযধঃসধং যধাব মড়হব. ইঁঃ যব টহঃড়ঁপযধনষবং যধাব ৎবসধরহবফ ধং ঁহঃড়ঁপযধনষবং.- উৎ.ই.জ. অসনবফশধৎ.

 (ভারতে অনেক মহাত্মাই (পাপাত্মা) ছিলেন; যাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল অস্পৃশ্যতা দূর করা এবং দেশের হতোদ্যম শ্রেণীকে সমাজে গ্রহণ করে তাদের অবস্থার উন্নয়ন করা। কিন্তু তারা প্রত্যেকেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। মহাত্মারা (পাপাত্মারা) এসেছেন এবং গেছেন। কিন্তু অস্পৃশ্যরা অস্পৃশ্যই থেকে গেছে – ড. বি আর আম্বেদকর।)

দ ওহফরধ পড়ঁষফ হড়ঃ ভৎবব রঃংবষভ ড়ভ পঁৎংব ড়ভ পড়সসঁ-হধষরংস বাবহ সড়ৎব ঃযধহ ভরভঃু ুবধৎং ধভঃবৎ রহফব-ঢ়বহফধহপব. ওভ ধহুঃযরহম রঃ যধং নববহ মবঃঃরহম ড়িৎংব ুবধৎ ধভঃবৎ ুবধৎ. ঞযবংব যধং নববহ হড়ঃ ধ ংরহমষব ুবধৎ রহ ঢ়ড়ংঃ-রহফবঢ়বহফবহপব ঢ়বৎরড়ং, যিরপয যধং নববহ ভৎবব ড়ভ পড়সসঁহধষ ারড়ষবহপব ঃযড়ঁময হঁসনবৎ ড়ভ রহপরফবহঃং সধু াধৎু, ধংমযধৎ অষর ঊহমরহহবৎ.

(স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের অধিককাল পরও ভারত সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে বছরের পর বছর অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে একটি বছরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতামুক্ত থাকেনি যদিও এ জাতীয় ঘটনার সংখ্যায় তারতম্য থাকতে পারে। আসগর আলী ইঞ্জিনিয়ার।) উল্লেখ্য,   ‘সেক্যুলারিজম’ বা ধর্মনিরপেক্ষতা বলে থাকি সেই দর্শনটি উনিশ শতকে যুক্তরাজ্য থেকে প্রধানত উদ্ভূত হয়েছে। ১৮৪৬ সালে জর্জ জেকব হোলিওক নামক এক ব্যক্তি সেক্যুলারিজম শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। ধর্মনিরপেক্ষতার মতবাদ প্রধানত মানুষের ইহজাগতিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কিত। ইংলিশ সেক্যুলারিজম এবং প্রিন্সিপলস অব সেক্যুলারিজম অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা নিম্নরূপ- ১. “ঝবপঁষধৎরংস ঃযধঃ যিরপয ংবশং. ঃযব ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়যুংরপধষ, সড়ৎধষ ধহফ রহঃবঃঃবপঃঁধষ হধঃঁৎব ড়ভ সধহ ঃড় ঃযব যরমযবংঃ ঢ়ড়ংংরনষব ঢ়ড়রহঃ, ধং ঃযবরসসবফরধঃব ফঁঃু ড়ভ ষরভব যিরপয রহ পঁষধঃবং ঃযব ঢ়ৎধপঃরপধষ ংঁভভরপরবহপু ড়ভ হধঃঁৎধষ সড়ৎধষরঃু ধঢ়ধৎঃ ভড়ৎস ধঃযবরংস,. ঞযবরংস ড়ৎ ঃযব নরনষব- যিরপয ংবষবপঃং ধং রঃং সবঃযড়ফং ড়ভ ঢ়ৎড়পবফঁৎব ঃযব ঢ়ৎড়সড়ঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ রসঢ়ৎড়াবসবহঃ নু সধঃবৎরধষ সবধহং, ধহফ ঢ়ৎড়ঢ়ড়ংবং ঃযবংব ঢ়ড়ংরঃরাব ধমৎববসবহঃং ধং ঃযব পড়সসড়হ নড়হফ ড়ভ ঁহরড়হ, ঃড় ধষষ যিড় ড়িঁষফ ৎবমঁষধৎ ষরভব নু ৎবধংড়হ ধহফ বহধনষব রভ নু ংবৎারপব.” (চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ঝবপঁষধৎরংস, ১৭)   (ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে মানুষের শারীরিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের উচ্চতম চূড়া। এটি নাস্তিক্যবাদ, আস্তিক্যবাদ এবং বাইবেল থেকে বিভিন্ন এক ধারণা যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায় পরায়ণতা জীবনের প্রধান কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হবে। বস্তুভিত্তিক মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়া, ইতিবাচক চিন্তাচেতনাকে ঐক্যের ভিত্তি বিবেচনা, যুক্তির মাধ্যমে জীবন পরিচালনা এবং সেবার মাধ্যমে জীবনকে মহিমাম্বিত করা- এই হলো ধর্মনিরপেক্ষতার নিয়মাবলী)

২. “ঝবপঁষধৎরংস রং ধ পড়ফব ড়ভ ফঁঃু ঢ়বৎঃধরহরহম ঃড় ঃযরং ষরভব ভড়ঁহফবফ ড়হ পড়হংরফবৎধঃরড়হং ঢ়ঁৎবষু যঁসধহ, ধহফ রহঃবহফবফ সধরহষু ভড়ৎ ঃযড়ংব যিড় ভরহফ ঃযবড়ষড়মু রহফবভরহরঃব ড়ৎ রহধফবঢ়ঁধঃব, ঁহৎবষরধনষব ড়ৎ ঁহনবষরবাধনষব. ওঃং বংংবহঃরধষ ঢ়ৎরহপরঢ়ষবং ধৎব ঃযৎবব. ঞযব রসঢ়ৎড়াবসবহঃ ড়ভ ঃযরং ষরভব নু সধঃবৎরধষ সবধহং. ঃযধঃ ংপরবহপব রং ঃযব ধাধরষধনষব ঢ়ৎড়ারফবহপব ড়ভ সধহ.

          ঞযধঃ রঃ রং মড়ড়ফ ঃড় ফড় মড়ড়ফ. ডযবঃযবৎ ঃযবৎব রং ড়ঃযবৎ মড়ড়ফ. ডযবঃযবৎ ঃযবৎব রং ড়ঃযবৎ মড়ড়ফ ড়ৎ হড়ঃ, ঃযব মড়ড়ফ ড়ভ ঢ়ৎবংবহঃ ষরভব রং মড়ড়ফ, ধহফ রঃ রং মড়ড়ফ ঃড় ংবশ ঃযধঃ মড়ড়ফ.” (ঊহমষরংয ঝবপঁষধৎরংস,৩৫)

 (ধর্মনিরপেক্ষতা কেবল মানুষের ইহলৌকিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং যারা ধর্মতত্ত্বকে অপূর্ণ, অস্পষ্ট, আস্থা স্থাপনের অযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য মনে করে এই আদর্শ তাদের জন্য। এর মূল উপাদান তিনটিঃ এক. ইহলৌকিক জীবনের উন্নয়ন কেবল বস্তুর মাধ্যমেই হওয়া সম্ভব। দুই. বিজ্ঞানই মানুষের  জন্য একটি প্রাপ্তিসাধ্য ঈশ্বর। তিন. যেকোন ভালো কাজই ভালো। অন্য কোন ভালো থাকুক বা না থাকুক বর্তমান জীবনের জন্য যা ভালো তার সন্ধানই শ্রেয়।) মুসলমান দাবী করবেন, কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে প্রচলিত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে পারবেন এমন কোন মুসলমানের অস্তিত্ব হতে পারে না। এ বিষয়ে ইনশাআল্লাহ এ কলামে সামনে বিস্তর আলোচনা করা হবে। তারপরেও প্রসঙ্গতঃ ২/১টি আয়াত শরীফ উল্লেখ করা গেলো- মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বাকারার ২৮নম্বর আয়াতে বলেছেন, “কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিঁনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তাঁরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।” “হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং মারা যেওনা মুসলমান না হয়ে।” “ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম যে তালাশ করে তার থেকে তা গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কুরআন-সুন্নাহর এতসব নির্দেশ থাকার পরও শতকরা নব্বইভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযুক্ত হলো কিভাবে তা এক গভীর রহস্যময় দিক। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অনুপ্রবেশ ঘটল কী করে- এ প্রশ্নের জবাব পেতে হলে একটু পিছনে যাওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই যে দলিলটি আমরা বিবেচনা করব তা হলো, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ইংরেজিতে চৎড়পষধসধঃরড়হ ড়ভ ওহফবঢ়বহফবহপব নামে ঘোষিত ও জারিকৃত হয় এবং ২৩ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে উপরোক্ত ঘোষণাপত্রে তিনটি স্থানে নিম্নরূপ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছেঃ

 এক)… রহ ড়ৎফবৎ ঃড় বহংঁৎব ঋড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ড়ভ ইধহমষধফবংয বয়ঁধষরঃু, যঁসধহ ফরমহরঃু ধহফ ংড়পরধষ লঁংঃরপব, ফবপষধৎব ধহফ পড়হংঃরঃঁঃব ইধহমষধফবংয ঃড় নব ধ ংড়াবৎবরমহ ঢ়বড়ঢ়ষব’ং জবঢ়ঁনষরপ…  (বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করিলাম…) (দুই)… ফড় ধষষ ড়ঃযবৎ মযরহমং ঃযধঃ সধু নব হবপবংংধৎু ঃড় মরাব ঃড় ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ড়ভ ইধহমষধফবংয ধহ ড়ৎফবৎষু ধহফ লঁংঃ মড়াবৎহসবহঃ… (বাংলাদেশেল জনগণকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ও ন্যায়ানুগ সরকার প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল কার্য করিতে পারিবেন…) (তিন) বি ভঁৎঃযবৎ ৎবংড়ষাব ঃযধঃ বি ঁহফবৎ ঃধশব ঃড় ড়নংবৎাব ধহফ মরাব বভভবপঃ ঃড় ধষষ ফঁঃরবং ধহফ ড়নষরমধঃরড়হং ঃযধঃ ফবনবষড়ঢ় ঁঢ়ড়হ ঁং ধং ধ সবসনবৎ ড়ভ ঃযব ভধসরষু ড়ভ হধঃরড়হং; ধহফ ঃড় ধনরফব নু ঃযব পযধৎঃবৎ ড়ভ ঃযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং. (আমরা আরো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছি যে, জাতিম-লীর সদস্য হিসাবে আমাদের ওপর যে দায় ও দায়িত্ব বর্তাইবে উহা পালন ও বাস্তবায়ন করার এবং জাতিসঙ্ঘের সনদ মানিয়া চলার প্রতিশ্রুতি আমরা দিতেছি।) অর্থাৎ  স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে গঠিত গণপরিষদের সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশের মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করেননি। যে আদর্শসমূহ ধারণ করে বাংলাদেশের  আপামর জনগোষ্ঠী পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসকশ্রেণী এবং সে দেশের বর্বর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিল তার মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো স্থান ছিল না।  এটি আমাদের সংবিধানে ঢুকেছে মূলতঃ পিছন দরজা দিয়ে। ইতিহাসে তার বর্ণনা রয়েছে। ১৯ মার্চ, ১৯৭২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে বিতর্কিত ২৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ প্রথমবারের মতো নিম্নোক্তভাবে উত্থাপিত হয়: “ওহংঢ়রৎবফ নু পড়সসড়হ রফবধষং ড়ভ ঢ়বধপব, ংবপঁষধৎরংস, ফবসড়পৎধপু, ংড়পরধষরংস ধহফ হধঃরড়হধষরংস.”

(শান্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদের সার্বজনীন আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে।)  বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ভাবাদর্শের এই কথিত মিল সম্পর্কে সংশয় থেকেই গেল। কারণ বাংলাদেশে তখন পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো আদর্শ কোনো রকম রাষ্ট্রীয় দলিলেই গৃহীত হয়নি। তবে, ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার সাথে উপরোক্ত বক্তব্যের বিস্ময়কর সাদৃশ্য সহজেই লক্ষণীয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বরে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা নিম্নরূপ: বি, ঃযব ঢ়বঢ়ড়ঢ়ষব ড়ভ রহফরধ, যধারহম ংড়ষবসসষু ৎবংড়ষাবফ ঃড় পড়হংঃরঃঁঃব ওহফরধ রহঃড় ধ ঝড়নবৎবরমহ, ঝড়পরধষরংঃ, ংবপঁষধৎ, উবসড়পৎধঃরপ জবঢ়ঁনষরপ.” (আমরা, ভারতের জনগণ সশ্রদ্ধচিত্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, ভারত একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত হবে।)  কিন্তু ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের যে কি স্বরূপ তার বহু বর্ণনা মাঝে উপরে দু’টো মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের গুজরাটে আবারো মোদি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। কিন্তু এই মোদির আমলেই যে হিন্দুরা মুসলমানদের উপর কি নির্মম, জঘন্য পৈশাচিক আক্রমণ চালিয়েছে ইতিহাসে তার নজির নেই। আর মূলত: মোদি সরকার মুসলমান নিধনে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করে বলেই ধর্মনিরপেক্ষতা লেবাছধারী হিন্দুরা মোদিকেই তৃতীয়বারের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী করেছে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা একটা সুবিধাবাদী শব্দ কথিত গণতন্ত্রের পোশাকী অবস্থান। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২