সাধারণতঃ যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় অপরের ধর্মমতে কোনও রূপ বাধা সৃষ্টির বদলে প্রত্যেক নাগরিক ধর্ম নির্বিশেষে নিজ নিজ ধর্ম পালন করিবার অধিকার পায় তাকেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বা সেকুলারিজম বলা হয়। অনুরূপ রাষ্ট্রের সমাজ-ব্যবস্থা বা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে কোন বিশেষ ধর্মের সম্পর্ক থাকে না, এবং যে কোন ধর্মাবলম্বী নাগরিক অন্যান্য নাগরিকগণের মতই সমভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করিতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের মতে সমাজ-ব্যবস্থা এমন নীতির উপর নির্ভর করিবে যাহাতে মানুষের নৈতিক আচরণ ও আচরণের মান ইহকালীয় ব্যাপার ও সামাজিক মঙ্গলের উদ্দেশ্যেই নিয়োজিত ও নির্ধারিত হয় এবং তজ্জন্য ধর্মের অনুশাসনের দিকে নজর দিবার প্রয়োজন নাই।
উল্লেখ্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের স্বর্গরাজ্য হল ফ্রান্স। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স উদযাপন করে চার্চ থেকে রাষ্ট্রের পৃথকীকরণের শতবার্ষিকী। অর্থাৎ ফ্রান্স ধর্মনিরপেক্ষতার বয়স একশ’ বছর পার করেছে। এ লক্ষ্যে একাডেমি অফ মিরাল অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সে’স’ (Academy of Moral and Political Sciences) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ২০০৫ সালের পুরোটা জুড়ে ১৯০৫ সালে প্রবর্তিত এই আইনটির শতবার্ষিকী উদযাপন করার। এই উদযাপনকে সামনে রেখে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন ধর্ম ও মতের বিশেষজ্ঞ এবং সদস্যদের অংশগ্রহণে সিম্পোজিয়ামের আয়োজন, ওয়েবসাইট চালু, সাধারণ মানুষের জন্য এ বিষয়ের উপর একটি বই প্রকাশ এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শক্তিগুলোর মধ্যে সুদীর্ঘকাল ধরে যে ধরনের সম্পর্ক চলে আসছে তার উপর ফ্রেঞ্চ ইতিহাসবিদদের রচনায় একটি গবেষণাপত্র।
১৯০৫ সালের ৯ ডিসেম্বর সোশালিস্ট ডেপুটি (ফ্রেঞ্চ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের সদস্য) অ্যারিসটাইড ব্রাইয়ান্ড, চার্চকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থেকে আলাদা করার জন্য একটি বিল আনেন। এসেম্বলির সদস্যরা এই বিলের পক্ষে রায় দেয়ার মাধ্যমে ফ্রান্সের ক্যাথলিক চার্চ এর ক্ষমতা শেষ হয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৭৮৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে বিশ শতকের আগে পর্যন্ত ক্যাথলিক চার্চ ছিল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠিন প্রতিপক্ষ। রাইটস অফ ম্যান ম্যান্ড অফ দি সিটিজেন অফ ১৭৮৯ বা (Rights of man and of the citizen of 1789) ১৭৮৯ সালের জনগণ এবং নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কিত ঘোষণার আর্টিকেল ১০-এ এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তিকেই তার মতামত প্রকাশে বাধা দেয়া যাবে না, এমনকি সেটা যদি ধর্মীয় কোনো বিষয়ও হয়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের এই মতপ্রকাশ যেন আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত মানুষের জীবনযাত্রায় কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলে।’ তবে ১৯০৫ সালের পর থেকেই কথিত সেকুলারিজম ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালোভাবে শিকড় গেড়ে বসতে শুরু করে।
১৯০৫ সালে আইনের মাধ্যমে সেকুলারিজমকে প্রজাতন্ত্রের একটি মূলনীতি ঘোষণা করার আগেই জুল ফেরি লস (Jules Ferry Laws) এবং ১৮৮১ সালের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবর্তন সংক্রান্ত আইন এ ক্ষেত্রে ক্যাথলিক চার্চের ক্ষমতাকে খর্ব করে এবং ফ্রান্স ও এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে শুরু করে।
১৮৮৩ সালে জুল ফেরি (Jules Ferry) স্কুল টিচারদের কাছে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘ধর্মীয় অনুশাসন চার্চ এবং বাড়ির জন্য প্রযোজ্য। নৈতিকতার শিক্ষা দেবে স্কুলগুলো। এ আইনের প্রথম লক্ষ্য হলো স্কুলগুলোকে চার্চ থেকে আলাদা করা এবং ছাত্র ও শিক্ষক উভয়ের ফ্রিডম অফ কনশেন্স (Freedom of Conscience) বা বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বিশ্বাস হলো একটি ব্যক্তিগত বিষয়। আর বিদ্যা অর্জন হলো একটি মুক্ত ও পরিবর্তনশীল বিষয় যা সবার জন্য প্রযোজ্য এবং প্রয়োজনীয়। এ বিষয়টি সুদীর্ঘ সময় ধরে মানুষের মনে একটি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে আসছে। এই দুইয়ের সঠিক পার্থক্যটি সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।’
এভাবেই স্কুলগুলোতে বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা আইনের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হয়। এখানে মানুষের মনের মুক্তিকে প্রজাতন্ত্রের অন্যতম মৌলিক একটি দর্শন হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে ১৯৪৬ সালের সংবিধান যা ‘ফোর্থ রিপাবলিক’ (Fourth Republic) নামে পরিচিত এবং ১৯৫৮ সালের ‘ফিফ্থ রিপাবলিক’ (Fifth Republic)-এর ২ নাম্বার আর্টিকেলে সেকুলারিজমের বিষয়টি উঠে এসেছে এভাবে; ‘ফ্রান্স একটি অবিচ্ছেদ্য, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং সোশ্যাল রিপাবলিক। এখানে জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিক আইনের চোখে সমান। এই দেশে সবার বিশ্বাসকে সম্মান করা হয়।’
মানুষের বিবেকের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের সমতা বিধানে যে সব আইন আছে তাদের সব কিছুর উপরে স্থান দেয়া হয়েছে সেকুলারিজমকে। এটা বিশ্বাসী, নিরীশ্বরবাদী কিংবা ‘এগনসটিকস’ (Agnostics) যিনি নাস্তিকও নন, আস্তিকও নন বা অজ্ঞেয়বাদী সবার জন্যই প্রযোজ্য। ১৯০৫ সালের ৯ ডিসেম্বরের প্রবর্তিত সেই আইনটির আর্টিকেল-১-এ ফ্রিডম অফ কনশেন্স বা বিবেকের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করার কথা দাবী করা হয়।
১৯০৫ সালের আইনটির আর্টিকেল-২-এ উল্লেখ রয়েছে প্রজাতন্ত্র কোন ধর্মকে স্বীকৃতি দেয় না আবার কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে উৎসাহিতও করে না।’ এ বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে প্রজাতন্ত্রের চোখে সব ধর্মই সমান। কোন রাষ্ট্রীয় ধর্মের স্বীকৃতি না দেয়ার মানে হলো প্রজাতন্ত্র কোন বিশ্বাস (Faith) নিয়ন্ত্রণ করে না এবং কোন একটিকে বিশেষভাবে সমর্থনও করে না। এখানে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ। ধর্মীয় নেতৃত্ব যদিও দেশের যে কোন আইন সম্পর্কে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু আইন তৈরি বা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাদের কোন ধরনের প্রভাব ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
ফ্রেঞ্চ সেকুলারিজমের উদ্দেশ্য হলো সব বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে ‘দি ইউনিটি অফ দি পিপল’ (The Unity of the People বা জনগণের একতা)-কে স্থান দেয়া। ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি স্বাধীন কর্তৃত্ব গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন এবং বলেন, “সেকুলারিজম হলো প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি মৌলিক রক্ষাকবচ। এখানে মানুষকে যেমন এই নিশ্চয়তা দেয়া হয় যেন অন্য কারো বিশ্বাস তার ওপর চাপিয়ে দেয়া না হয়। পুরুষ এবং মহিলা একই সঙ্গে সমান কিন্তু আলাদা, মুক্ত অথচ একাত্ম, প্রজাতন্ত্রের এটা নিশ্চিত করাই সেকুলারিজমের প্রধান দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স খুব জোরালোভাবে দীর্ঘকাল যাবত এসব কথা প্রচার করে আসছে।
কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার এতসব বড় বড় বুলির আড়ালে ফ্রান্সে মুসলিমরা যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তাতে আবারো প্রতিভাত ও প্রমাণিত হয় যে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মুসলমানদের জন্য নিছক বুলি মাত্র। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে মুসলমান কখনো নিরাপদ নয়। মুসলমান ইসলাম পালনে সমর্থ নয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্সে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। মানুষ ক্রমেই ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য মানুষ সেখানে ইসলাম গ্রহণ করেছে।
দেশটির বর্তমান প্রধান দু’টি ধর্ম হলো ইসলাম ও খ্রিস্টান। এখানে প্রায় ৬০ লাখের মতো মুসলিম রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন মুখ যোগ হচ্ছে ইসলাম ধর্মে। মসজিদ আর প্রার্থনার জায়গাগুলোতে জনগণের ভিড় বাড়ছে। অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের সংখ্যা গত ৪০ বছরে অর্ধেক কমে গেছে। ঝিমিয়ে পড়েছে চার্চগুলো। অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চার্চগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার প্রতি বছর কাঁড়িকাঁড়ি টাকা খরচ করে।
অন্যদিকে মুসলিমদের বিশাল জনগোষ্ঠী এবং এদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। তাই অনেকের মতে, দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ আইনের প্রয়োগ রহস্যজনক। ইসলাম ধর্মের জন্য কোনো সরকারি অর্থ ব্যয় না হলেও বিনা প্রয়োজনে অন্য প্রধান ধর্মের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করা হয়।
১০০ বছর আগে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন করা হলেও সেখানে চার্চ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিধান রাখা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে সাড়া জাগায় ইসলাম ধর্ম। কিন্তু মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ বরাদ্দের বিষয় অন্তর্ভূক্ত হয়নি। তাই ১৯০৫ সালে প্রণীত এই সংবিধান সংশোধনের জরুরী প্রয়োজন বলে অনেকে মত প্রকাশ করছেন।
সমাজবাদী দলের এমপি ম্যানুয়েল ভালস বলেন, ‘মসজিদ এবং প্যাগোডার নির্মাণ এবং সংস্কারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য সংবিধান সংস্কার করা উচিত।’ তিনি এ বিষয়ে লিখিত একটি বইয়ে সংবিধান পরিবর্তনের পরামর্শও প্রদান করেন। সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিলে দেশের বাইরে থেকে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কারণ একটি মসজিদ যদি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পায় তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য আসার পথ রুদ্ধ হয়। শুধু সমাজবাদী সদস্যরা নয় বরং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জোরালো হচ্ছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি স্বয়ং এ বিষয়টি সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন।
মূলতঃ দেশটিতে ধর্মনিরপেক্ষতার শিকড় গভীরে প্রোথিত। ১৭৮৯ সালের অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত। ধর্মবিষয়ক কোনো রকমের পরিবর্তন ও সংস্কারের বিষয় প্রবল বাধার মুখে পড়বে। পার্লামেন্টের স্পিকার জ্যাঁ লুইস ডেবর এর কট্টর বিরোধী। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদপত্রে বলেন, ‘আমরা নতুন করে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চাই না।’ এদের সংখ্যাটা ফ্রান্সের রাজনীতিতে বেশ ভারী। বিশাল একটি অংশ মুসলিমদের মাথায় স্কার্ফ বিরোধী আইন প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী প্রত্যেকটি দলই এই আইনের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু বিগত ১০০ বছরের ইতিহাস বলে মাথায় স্কার্ফ দিয়েও মুসলমানরা ঠিকই ফ্রান্সের সমাজে কোন বিপত্তি সৃষ্টি করেনি। হঠাৎ করে কেন যেন সবাই মাথায় স্কার্ফ পরার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। বিষয়টি দেশের মুসলমানদের আহত করে। তারা ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করলেও সরকার এই বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষা করে যায়।
ফ্রান্সের ইউনিয়ন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট এলহাজ থামি বেরেজ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ইসলাম ফ্রান্সের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে কিন্তু ফ্রান্স ইসলামের সঙ্গে খাপ খায়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার ফ্রান্সের রাজনীতিতে মুসলামানরা একটি শক্তি।
ভালস বলেন, ফ্রান্সের সংবিধান নমনীয় এবং অনেকবার সংশোধিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সেখানে যে একপেশে মনোভাব তা পরিবর্তন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ ২০০৪ সালে স্কুলে যে কোন ধরনের ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে যে আইনটি পাস করা হয় ফ্রেঞ্চ মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরা বন্ধ করার জন্যই সে আইনটি করা হয়েছে। তাই ফ্রেঞ্চ মুসলিমদের অনেকেই এই আইনটিকে ভালো চোখে দেখেনি। আইনটিকে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের সব স্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল এবং হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যেসব প্রতীক বা পোশাক ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বিবেচিত এবং যা ব্যতিক্রমের জন্ম দেয় সেসব ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো।
কাজেই সব কথার শেষ কথা হল আসলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ইসলাম ও মুসলমানের বিষয়ে কখনো নিরপেক্ষ নয়। হাদীছ শরীফে তাই বলা হয়েছে, ‘সব কাফিরের ধর্ম এক।’
-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২