‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘আবূ দাউদ শরীফের’ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

“নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এই উম্মতের মাঝে প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি উম্মাহ্র মাঝে, দ্বীনের মাঝে অনুপ্রবেশকারী সব বেশরা, বিদ্য়াতকে মিটিয়ে সত্যিকার ও শ্বাশত ইসলামকে তুলে ধরবেন, ইসলামকে জিন্দা করবেন।”

এ হাদীছ শরীফের প্রেক্ষিতে বলতে হয় যে, এটা আজ অনিবার্য সত্য যে, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীই বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম। ‘প্রাণীর ছবি আঁকা, রাখা, দেখা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।’ তাঁর অনবদ্য তাজদীদ।’

উল্লেখ্য, বর্তমান যামানায় তার আগমণ না হলে ছবি তোলার বিরূদ্ধে বলার মত অপর কোন ব্যক্তিত্ব ছিলনা। অর্থাৎ তাঁর উছীলায়ই আল্লাহ পাক বর্তমান ফিৎনা-ফাসাদের যামানায় শ্বাশত ইসলামকে অক্ষুন্ন রেখেছেন।

যদিও বিরূদ্ধবাদীরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরা তীব্র ভ্রু-কুটি করে থাকে। তারা বলে থাকে, ‘সব আলিম (?) ছবি তুলছেন আর উনি একাই ছবির বিরূদ্ধে বলছেন।’

কিন্তু প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ছবির বিরুদ্ধে বলেছেন?

মূলতঃ বিষয়টি সে রকম নয়। তিনি নিজের থেকে কিছুই বলেননি। তবে ছবি তোলা সম্পর্কে হাদীছ শরীফে যে শক্ত নির্দেশাবলী রয়েছে তা তিনি পূনঃউচ্চারণ করেছেন মাত্র।

সে কথাগুলো মূলতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরই কথা।  যা কিনা সব মাওলানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শাইখুল হাদীছ, মুফাস্সিরে কুরআন, ইসলামিক চিন্তাবিদ তথা খতীব সবাই অতি জরুরীভাবে এবং ভালভাবে, বার বার, অনেকবার পড়ে আসছেন, শিখে আসছেন এবং জেনে আসছেন।

কেবলমাত্র যখন তারা ধর্ম-ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লেখান তখনই তারা সে আমল থেকে দূরে সরে যান। যার সাক্ষাত প্রমাণও মওজুদ।

        উদাহরণতঃ বলা যায়, ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ তে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় এক সাক্ষাতকারে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ বলেছিল যে- “কেবলমাত্র হজ্ব, চাকুরী ছাড়া অন্য কোন কারণবশতঃ ছবি তোলা নাজায়িয।

কিন্তু তারপরে বর্তমানে অবাক বিস্ময়ে মানুষ লক্ষ্য করছে যে, শাইখুল হদস গং-এর শুধু একটি দু’টি নয়; অসংখ্য হাজার হাজার ছবি এবং কেবল পত্র-পত্রিকায় নয় এমনকি পোস্টারেও মহিলা নেত্রীর বুকের মাঝে সাদা রুমাল দিয়ে পাগড়ী বাধা তথাকথিত শাইখুল হাদীছের ছবি। পাশাপাশি পর্দা সম্পর্কে, নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে তথাকথিত এই শাইখুল হাদীছ ১৯৯৯ সালে তার রচিত “আল কুরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” নামক বইয়ে কি শক্ত কঠিন বক্তব্য দিয়েছে, কিতাব লিখেছে বর্তমানে তা থেকে সরে গিয়ে কতদূর পথভ্রষ্ট, গোমরাহ ও শক্ত উলামায়ে ‘ছূ’তে পরিণত হয়েছে সে সম্পর্কে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাতে’ বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে।

পাশাপাশি আরো উল্লেখ করতে হয় যে, কোন ধর্ম-ব্যবসায়ীও যদি ধর্মের কথা পালন করতে চায়, শরীয়তের তথা ইসলামের আমল করতে চায়। বা অন্তত যে সময়টুকুর জন্য তারা সত্যিকার ইসলাম পালন করতে চায় কমপক্ষে সে সময়টার জন্য হলেও তাদেরকে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ফতওয়ার দিকেই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করতে হয়।

(প্রমাণ- ১)

হাটহাজারীর তথাকথিত অখ্যাত পত্রিকার সেপ্টেম্বর ’০৩ ঈসায়ী সংখ্যায় প্রকাশিত জামিয়া সমাচার শীর্ষক খবরে বলা হয়,    “১লা আগস্ট/২০০৩ ঈসায়ী শুক্রবার হাটহাজারী’র পরিচালক আহমদ শফি ঢাকা সফরের এক পর্যায়ে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুর্কারমে … জুমা শেষে আয়োজিত ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মুফতী ইজাহারের দ্বিতীয় পুত্র মাওলানা মুহম্মদ মূসার সাথে মুহম্মদুল্লাহ্ হাফেজ্জী-এর নাতনী ও হাফেজ আতাউল্লাহ্র একমাত্র কন্যার বিবাহ্ অনুষ্ঠানের মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে আক্দ পড়িয়ে খুত্বা প্রদান ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, বিবাহের খুত্বা প্রদানকালে ফটো সাংবাদিকরা আহমদ শফির ছবি তোলার চেষ্টা করলে আহমদ শফি অত্যন্ত জোরালোভাবে ছবি তুলতে নিষেধ করে সাংবাদিকদেরকে মসজিদের ভিতরে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের জন্য তিরস্কার করেন এবং কুরআন-হাদীছের আলোকে ছবির নিষিদ্ধতা সম্পর্কে এক নাতিদীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন। তার এই সাহসী ও জোরালো ভাষণে উপস্থিত মুসল্লীগণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন।

অথচ পাঠক!  আপনারা অবগত আছেন যে, এই আহমক শফি অন্যক্ষেত্রে ঠিকই হরদম ছবি তুলছেন। কিন্তু ঐদিন, ঐসময় যেহেতু তিনি সত্যিকার ইসলাম পালন করতে চেয়েছিলেন সেহেতু তাকে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ফতওয়ার উপরই আমল করতে হয়েছিলো।

(প্রমাণ- ২)

সাপ্তাহিক এখন, রবিবার, ২১-২৭ মার্চ, বর্ষ ১ সংখ্যা ৩৫, পৃষ্ঠা ১৬-এ প্রকাশিত হয়েছে, “ …. যেমন সম্প্রতি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে সংসদে মহিলাদের আসন বৃদ্ধির সংবিধান-সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। একই সঙ্গে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের ছবি টানানোর খসড়া আইনও অনুমোদিত হয়। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদী উল্লেখ করেন, স্কুলে মহিলা সরকার প্রধানের ছবি থাকতে পারে কিন্তু মাদ্রাসায় সে ছবি ঝুলানো ঠিক হবে না। কেনো? প্রশ্ন তুললেন এক সিনিয়র মন্ত্রী। মাদ্রাসাগুলো তো সরকারি অনুদান পায়, তারা মহিলা প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গাবে না কেনো? জামায়াতে ইসলামীর মন্ত্রীরা কি তাদের অফিস কক্ষে মহিলা প্রধামন্ত্রীর ছবি লাগান না? মজার ব্যাপার হলো, অন্য কোনো বিএনপি’র মন্ত্রী ওই সিনিয়র মন্ত্রীকে সমর্থন দেননি। বরং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিতর্কের অবসান ঘটান। .”

এখানে একটা জিনিস খুব পরিস্কারভাবে প্রকাশ পায় যে, ইসলামী শরীয়তে ছবি সম্পর্কে এত শক্ত নিষেধবাণী ও কঠিন নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেছে যে, তা সম্পর্কে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী সবাই আসলে অবগত। এবং ছবি তুললে যে আসলে ইসলাম বিরোধী, হারাম কাজ করা হচ্ছে তা দিব্যি ছবি তুলনেওয়ালা জামায়াতের দু’মন্ত্রীও বুঝেন।

তাই তাদের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে, ‘স্কুলে মহিলা সরকার প্রধানের ছবি থাকতে পারে কিন্তু মাদ্রাসায় সে ছবি ঝুলানো ঠিক হবে না।’ অর্থাৎ জামায়াতী মন্ত্রীরা বুঝতে পেরেছেন যে, যে মাদ্রাসায় কুরআন-সুন্নাহ্ পড়ানো হয়, যেখানে বার বার ছবি তোলার বিরুদ্ধে ধর্মীয় নির্দেশ শোনানো হয় ঠিক সেখানেই মহিলা সরকার প্রধানের ছবি ঝুলানো হলে তা হবে জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালার মত। আর বিষয়টি মুসলমানদের কাছে এতই প্রচারিত ও গৃহীত যে সে কারণে বি.এন.পির বাকি সব মন্ত্রীরা একযোগে চুপ মেরেছিলেন। পক্ষান্তরে প্রশ্নকারী সিনিয়র মন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কিন্তু জামায়াতী মন্ত্রীরা দিতে পারেননি। জামায়াতী মন্ত্রীরা মাদ্রাসায় ছবি ঝুলাতে নিষেধ করছেন কিন্তু  নিজেরা শুধু ঝুলাচ্ছেনই না বরং নিজেরাও হরদম ছবি তুলছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ঐ কথা বল কেন? যা তোমরা নিজেরা করনা।’

অতএব, একথা অনিবার্য সত্য যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সিরে কুরআন, ইসলামিক চিন্তাবিদ, খতীব চুপি চুপি হলেও ঈমানের নূর, ইসলামের নূর তাদের অন্তরে নিভু নিভু করে দীপ্যমান হলেও তারা স্বীকার করবেন যে, ‘ছবি তোলা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়িয।’ বুকে হাত দিয়ে তারা বলতে পারবে না, ‘ছবি তুলে শরীয়তের দৃষ্টিতে তারা হারাম কাজ করছে না।’

শরীয়তের বল নিয়ে তারা উচ্চারণ করতে পারবে না যে, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী, প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা হারাম ফতওয়া দিয়ে শরীয়তের খেলাফ বা মনগড়া কোন কথা বলেছেন। বরং বিবেক যদি নষ্ট না হয়ে থাকে, অন্তর যদি তাদের মরে গিয়ে না থাকে তাহলে একথা তারা একা একা হলেও অনুভব করতে পারেন যে, বর্তমান ফিৎনা-ফাসাদের যামানায় কিছু নামধাম, প্রতিপত্তি, হালুয়া-রুটির ভাগ অর্জনের জন্যই তারা ছবি তুলছেন। যা তাদের ধর্ম-ব্যবসার প্রচার-প্রসারের জন্য আবশ্যক।

পক্ষান্তরে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যেহেতু ধর্ম-ব্যবসা করেন না, দুনিয়াবী নামধাম চাননা, অর্থকড়ি কামাতে চাননা সেহেতু তাঁর ছবি তোলা জায়িয করার প্রয়োজন হয়না। বরং বেমেছাল তাওয়াল্লুক মা’আল্লা থাকার কারণে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা, উলামায়ে ‘ছু’দের ধোকা, সরকার তথা বিশ্বের শক্তিকে উপেক্ষা করে, বেপরোওয়াভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ উল্লেখ করে তিনি বলে দিতে পারেন, “ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, দেখা হারাম ও নাজায়িয।”  য

-মুহম্মদ জাকির হুসাইন, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ

তথাকথিত জাতীয় খতীবের নববর্ষ পালন জিহালতি আর গোমরাহীর চরম মিশ্রণ