ইসলামের দোহাই দিয়া ভোট লাইয়া অতঃপর সংবিধানে ছবি সংযোজন করিয়া সারা বিশ্বে একমাত্র তাহারাই ইসলামের নামে ব্যতিক্রমধর্মী অনৈসলামী কাজ করিয়া বসিলেন

সংখ্যা: ১৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাঁহারা দোহাইটা দিয়াছিলেন ইসলামের। বলিয়াছিলেন, ‘তাহাদেরকে ভোট দিলে তাহারা পর্যায়ক্রমে ইসলামী আইন প্রণয়ন করিবেন।’ কিন্তু গণতান্ত্রিক রীতিতে, সংসদে গিয়া সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে কোনদিনই ইসলামী আইন প্রণয়ণ করা যাইবেনা ইহা তাহাদেরকে ঢের বুঝাইলেও তাহারা সে বুঝ মানেন নাই। অতঃপর বাস্তবে তাহারা সংখ্যালঘুই প্রমানিত হইলেন।  ইহাতে আরেকজনের কাধে চাপিয়া ইসলামী আইন প্রণয়ন করিবেন বলিয়া তাহারা অবশেষে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করিলেন। সাঁফাই গাহিলেন যে, ‘নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করিলেও ইহার দ্বারাই ইসলামের কাজ ইহবে। ইহা সময়ের হেকমত মাত্র।’ এমনকি তখন তাহারা এমন ভাব প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, দুই দিন পরে নারী নেতৃত্বই বোরকার অন্তরালে ঢুকিয়া যাইবে। দেশে অবলীলাক্রমে সব ইসলামী আইন-কানুন চালু হইবে। মানুষ প্রমাণ পাইবে তাহারা যে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন ইহা ছিল সাময়িক কৌশল মাত্র।’ কিন্তু উহা যে কৌশল নয় বরং ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বাগাইবার আঁতাত বা স্বার্থবাদী কৌশল তাহা গত আড়াইবছরে মানুষ যথেষ্ট প্রমাণ পাইয়াছে। দেশের প্রবাহমান একটা অনৈসলামী আইনও বন্ধ হয় নাই। এমনকি কোন প্রতিবাদও উঠে নাই, সিনেমা হল, মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি অনৈসলামী আচরণ কিছুই বন্ধ হয় নাই বরং মদের দাম কমিয়াছে, মদের কারখানার লাইসেন্স দেওয়া হইয়াছে, জায়নামাযের দাম বাড়িয়াছে ইত্যাদি।  তাহারা বলিয়াছিলেন, তাহারা সরকারকে ইসলাম কায়েম করিতে বাধ্য করিবেন কিন্তু এখন দেখা যাইতেছে তাহারাই সরকারকে অনৈসলামী হইতে স্বতস্ফূর্তভাবে সাহায্য করিতেছেন। সম্প্রতি তাহারা সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী  করিয়াছেন। কি রহিয়াছে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে? পত্রিকায় খবর আসিয়াছে, “… জাতীয় সংসদে গতকাল রোববার চতুর্দশ সংশোধনী বিল ২০০৪ পাস হয়েছে। … বিলের পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর ১৭ জন, … ইসলামী ঐক্যজোটের ৩ জন … ভোট দেয়। (দিনকাল ১৭ মে) সংশোধনীতে রহিয়াছে, “…. প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সংরক্ষণঃ ৪ (ক) অনুচ্ছেদের সাথে একটি নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সংরক্ষণকে সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এ সংশোধনী অনুযায়ী কেবল প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারের কার্যালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মিশনসমূহে প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতির প্রদর্শণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি বা প্রতিকৃতি প্রদর্শণ করতে হবে দেশের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে। ৪৫ নারী আসনঃ ৬৫ অনুচ্ছেদের ৩ দফা সংশোধন করে পরবর্তী সংসদ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত নারীদের জন্য ৪৫টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী দলের আসন সংখ্যার অনুপাতে মহিলা আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। সরকারি দল ছাড়াও বিরোধী দলও আসন সংখ্যা অনুযায়ী মহিলা আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে। (দৈনিক মানবজমিন ১৭ই মে’ ২০০৪) পাঠক! এইখানে অত্যন্ত গুরুতর বিষয় হইতেছে, বাংলাদেশই  বিশ্বের একমাত্র দেশ যেইখানে সংবিধান সংশোধন করিয়া প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতি বা ছবি টানানোর নির্দেশ করা হইলো। বিশ্বের আর কোন দেশে এইরূপ সংবিধান সংশোধন করিয়া অথবা সাংবিধানিক আইন করিয়া ছবি টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় নাই।  অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামিক দেশ। আর ছবি টানানোকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে ইসলামেরই নামধারী জামায়াত এবং সাথে আরো অনেকগুলো ইসলামী দল তথা ইসলামী ঐক্যজোট।  এইসব ইসলামের নামধারীরা বর্তমানে এই সুবিধা নিতে চায় যে, ‘আল বাইয়্যিনাত সরকারের বিরুদ্ধে লেখে।’ না, সরকারের বিরুদ্ধে লেখা আল বাইয়্যিনাত-এর পেশাও নয়, নেশাও নয়। আল বাইয়্যিনাত-এর মূল কাজ হইতেছে ইসলামের কথা বলা তথা সরকারকে যেইসব আলেম নামধারীরা অনৈসলামের পথে চালায় বা চলিতে সাহায্য করে অথবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোবা শয়তানের ভূমিকা পালন করে সেসব উলামায়ে ‘ছূ’দের গোমরাহী ও মুনাফিকী তথা ধর্মব্যবসার হাক্বীক্বত জাহির করিয়া দেওয়া। যাদের সম্পর্কে কুরআন শরীফে ইরশাদ হইয়াছে, ‘তোমরা অল্প মূল্যে আল্লাহ পাক-এর আয়াত শরীফ বিক্রি করিও না।’ আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হইয়াছে, “যাহারা নামধারী আলিম, যাহারা দ্বীন বিক্রি করিয়া দুনিয়া কামাই করে তাহারা সর্ব নিকৃষ্ট।’ (মিশকাত) মূলতঃ আল বাইয়্যিনাত-এ নামধারী, ধর্মব্যবাসায়ীদের বিরুদ্ধেই লেখা হয়। ইহারাই এতদিন যাবত বলিয়াছে, নারী নেতৃত্ব হারাম। আর ইহারাই এখন সংসদে নারী আসন বৃদ্ধির জন্য ভোট দিয়াছে। সুতরাং ইহারা দু’দেল, দু’জবান ও দু’মুখো জীব। কাজেই এরা দেশ, জাতি, ধর্ম, দল, মত, নির্বিশেষে সবার শত্রু। ইহারা ক্ষমতার জন্য যে কোন দলের সাথে যোগ দিতে পারে আবার যে কোন সময় ক্ষমতাসীন জোট হইতে ভাগিতেও পারে। যেহেতু এরা খাছলতগত ভাবে মুনাফিক। অতএব, আসুন আমরা! মুনাফিক হইতে সাবধান হই।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ্ বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ