ইসলামের নামে রাজনীতি করিলেও বড় দুইটি দলের অনুসরণে অন্ধ এবং তাহাদের ডামাডোলে মুখ বন্ধ করিবার কারণে উহাদের শুধু মহিলা নয় বরং নপুংসকের অধম তথা বালহুম আদল বলিতে হয়

সংখ্যা: ১৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

খোদার ত্রিশ দিন মহিলারা নামায পড়িতে পারেনা। রোযাও রাখিতে পারেনা। সাধারণত তাহার মাসে কমপক্ষে একবার অসুস্থ হন। অসুস্থ অবস্থায় তাহাদের নামায-রোযা নিষিদ্ধ হইয়া যায়্ সাধারণ মহিলাদের ইহা এক প্রকার অপরাগতা বটে।

আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিবিদদের অবস্থাটা হইয়াছে যেন তেমন্ বর্তমানে উহাদের অসুস্থতা চলিতেছে। উহারা বর্তমানে একেবারেই চুপচাপ।

এককালে তুং্গে উঠা এদেশীয় সমাজতান্ত্রিক বা কমুনিষ্ট দলগুলো জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হইয়া অতঃপর লেজুরবৃত্তি সর্বস্ব দলে পর্যবসিত হইয়াছে বহু পূর্বেই। স্বাধীনতা উত্তর উহাদের খণ্ডিত প্রক্রিয়া যেমন বাড়িয়াছে তেমনি উহাদের লেজুরবৃত্তি প্রবণতাও ততোধিক হইয়াছে। এক্ষণে নামধারী ইসলামিক দলগুলোও একই হালে পর্যবসিত হইয়াছে।

ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে শামিল হইয়া উহাদের দশা হইয়াছে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব, নির্বাচনের তারিখ বদলানো তথ্য, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, অবরোধ, জরুরী অবস্থা গণতান্ত্রিক রাজনীতির এইসব ধারাবহিকতায় উহারা আলাদাভাবে কিছুই দেখাইতে পারে নাই। বলিতে পারে নাই। করিতে পারে নাই।

অথচ আট দশটা সাধারণ রাজনৈতিক দলের মত তাহাদের দাবী নয়। তাহারা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-ইসলামের ব্যানার, লেবাস, খোলস ও ছদ্মবরণে তাহাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করিতেছে।

সেই হিসেবে এই সঙ্কট মুহুর্তে ইসলামের লেবাসের আলোকে তাহাদের থেকে ইসলামের আলোকে একটা অনিবার্য সমাধান বাণী উচ্চারিত ও উচ্চকিত হইবে ইহাই ছিল ইসলামীক দল হিসাবে উহাদের কাছে জনগণের, সাধারণ মুসলমানের কাঙ্খিত ও বাঞ্ছিত ও দাবী। কিন্তু সে আশায় উহারা গুড়ে বালি দিয়াছে।

প্রধান দু’টি দলের কর্মকাণ্ডের আড়ালে উহারা চুপ মারিয়া থাকিয়াছে। উহাদের এই চুপ মারিবার উদাহরণ কেবল এইবারেই নতুন নহে। নিকট অতীত হইতে সুদূর অতীতেও উহাদের একই হাল। অথচ ইসলাম তো তা নয়। ইসলামের আওয়াজ তো সব সময়ই বুলন্দ হইবার। তাহা তো কখনও থামিবার নহে।

কিন্তু বড় দুইটি দলের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার তোড়ে উহারা বার বার থামিয়া যায়। চুপ  মারিয়া রয়। উহাদের কর্মকাণ্ড স্থবির হইয়া পড়ে।

সং্গতকারণেই তাই প্রশ্ন জোরদার হইয়া উঠে উহারা কি তাহা হইলে তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির অঙ্গনে পুরুষ নয় বরং মহিলা? এখন কি তাহাদের অসুস্থতা চলিতেছে? অসুস্থতাকালে মহিলাদের নামায রোযা বিরত থাকার মতই উহারা এখন উহাদের কথিত ইসলামী রাজনীতি হইতেও নিস্ক্রিয় হইয়াছে। তাহাদের অসুস্থ অবস্থা কাটাইতেছে। কিন্তু বাহ্যত উহাদের মুখে পুরুষ সুলভ দাড়ি দেখা যাইতেছে। তাহা হইলে যদি উহারা মহিলাও না হয়, পুরুষও না হয় তবে অনবার্যভাবে উহাদের নপুঙসকই বলিতে হয়।

মূলতঃ উহারা নিজেরাও নিজেদেরকে নপুংসক ভাবে। এই কারণেই উহারা মহিলা নেত্রীর সাথে দিব্যি দেখা সাক্ষাত করে এমনকি তাহার কাছে গিয়া বসিয়া পড়ে। তাকাইয়া তাকাইয়া ঘন্টার পরে ঘন্টা আলাপচারিতা করে। উহারা ফতোয়া দিয়াছে, উহারা নাকি বিবাহের নিয়তে তাকায়। তাহাদের সেই কথা সত্য হইলে আবারো প্রমাণিত হয় নপুংসক বলিয়াই উহাদের আসলে বিবাহ করিবার মুরাদ নাই। শুধু তাকাইয়া তাহারা সময় কাটায়। (

নপুংসক বলিয়াই উহারা আরো নির্ণয় করিতে পারেনা যে, আসলে উহারা প্রধান দুই দলের সাথে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মতই দুধ না খাইয়াই লাফাইতেছেনা।

বরং প্রধান দুই দল নেপথ্যে যে ইসলাম বিরোধী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তথা বিউটেনিস গং ইশারায় চলিতেছে সেই ধারাবাহিকতায় উহারা তাহাদেরই আজ্ঞাবহ হইতেছে মাত্র। কুরআন শরীফের ভাষায় এই কারণে তাহারা বালহুম আদল তথা ছাগলেরও অধম বলিয়া বিবেচিত হয়।

সঙ্গতকারণেই ইসলামের নামে  এইসব নপুংসক তথা বালহুম আদলদের যত তাড়াতাড়ি অবসান বা নির্বাসন হয় ততই ইসলাম ও মুসলমানের জন্য মঙ্গলদায়ক ও কল্যাণকর।

-মুহম্মদ  তারীফুর রহমান, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২