ইহুদী খ্রিস্টানরা কুরআন-সুন্নাহ থেকে তত্ত্ব নিয়েই মুসলমানদের প্রথমে আল্লাহ পাক থেকে সম্পর্কহীন করেছে, রহমত শুন্য করেছে। অতঃপর পৈশাচিক কায়দায় বীভৎস নির্যাতন করে মুসলমানকে চরম হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছে

সংখ্যা: ১৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

 আলীমুল হাকিম আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “তোমরা চিন্তিত হয়োনা, পেরেশানীগ্রস্থ হয়োনা, তোমরাই কামিয়াব হবে যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।  মুমিন হওয়ার পেছনে মূল কারণ হল খোদায়ী রহমত অর্জন করা।  আল্লাহ পাক অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এর রহমত যারা মুহসিনীন তথা খাছ মু’মিন তাদের নিকটবর্তী। উল্লেখ্য খোদায়ী রহমতের কারণেই যুগে যুগে কম সংখ্যক হক্ব পন্থী তথা মুসলামানগণ বিশাল ও শক্তিশালী কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “অধিকাংশ সময় অল্পসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোকের উপর কামিয়াবী হাছিল করেছে আল্লাহ পাক-এর হুকুমে তথা রহমতে।” মূলতঃ খোদায়ী রহমত ব্যতিত শুধু দুনিয়াতেই নয় পরকালেও কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। যদিও সে আসমান জমীন পরিমান নেক কাজ করে থাকুক না কেন? অথবা সারা জীবনে বিন্দু পরিমাণ গুনাহর আঁচরও তার গায়ে না লেগে থাকুক না কেন?  আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্টভাবেই বলেন, “খোদার রহমত ব্যতিত কেউই জান্নাতে যেতে পারবে না। হযরত আয়িশা সিদ্দিক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনিও কি নন? জবাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমিও না। হে হযরত আয়িশা সিদ্দিক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। যতক্ষন না খোদায়ী রহমত আমাকে বেষ্টন না করবে। এই বলে তিনি স্বীয় আঙ্গুল মুবারক মাথা মুবারকের চারপাশে ঘুরিয়ে দেখালেন। (সুবহানাল্লাহ)

মুলত: আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই রহমাতুল্লিল আলামীন। তারপরেও বিষয়টি উম্মতকে খুব ভালভাবে বুঝানোর জন্য তিনি এরূপ নজীর দেখালেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, খোদায়ী রহমত সম্পর্কে মুসলমান এখন গাফিল থাকলেও ইসলামের শত্রু ইহুদী খ্রিষ্টানরা কিন্তু খুবই ওয়াকিবহাল। এবং তারা এ ক্ষেত্রে ভীষণ সক্রিয় ও অত্যন্ত কুটকৌশলী। তাদের সব অপতৎপরতার মূল লক্ষ্য হল প্রথমত: মুসলমানদেরকে খোদায়ী রহমতের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করা অতঃপর তাদের উপর চড়াও হওয়া। এ ক্ষেত্রে কি করলে তারা মুসলমানদেরকে খোদায়ী রহমত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে কুরআন-সুন্নাহ থেকে সে জ্ঞানও তারা লুফে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন “ঞরসব” এর ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০০৫ ঈসায়ী সংখ্যায় এর জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়। এই রিপোর্টের অংশ বিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো- “ভেবে নেয়া হয়, (কিউবার) গুয়ানতানামোতে আমেরিকার নৌ বাহিনীর ঘাটিতে এই জেলবন্দী নাইন-ইলেভেনের আগে অন্যান্য হামলাকারীর মতোই প্লেন চালানোর জন্য ফ্লাইং লেসন নিয়েছিল। আমেরিকান আর্মির এক নারী ইন্টারোগেটর তাকে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।  শেকলে বাধা এই সউদি বন্দীকে সে প্রশ্ন করেছিলো, কে তোমাকে আরিজোনাতে পাঠিয়েছিল? কিন্তু ২১ বছর বয়স্ক বন্দীটি কোনো উত্তর দিচ্ছিল না।  একজন দোভাষী সেখানে ছিলেন। ইনটারোগেটর ও ট্রান্সলেটর অন্য ঘরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে আসেন। এসময় ইন্টারোগেটর তার যুদ্ধের জন্য বিশেষ ইউনিফর্মটির ওপরাংশ খুলে ফেলেন। মহিলা ইন্টারোগেটরের আট-সাট সংক্ষিপ্ত পোশাক বন্দীর সামনে উম্মোচিত হয়। এতে বন্দী সরে যায়। কিন্তু নারী ইন্টারোগেটর এগিয়ে যায় এবং তার শরীর বন্দীর পিঠে ঘষতে থাকে। এরপর নারী ইন্টারোগেটর ঘুরে দাড়ায় বন্দীর সামনে এবং তাকে শারীরীকভাবে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে। ওই বন্দী থুথু নিক্ষেপ করেন ইন্টারোগেটরের মুখমন্ডলে। আল্লাহ পাক-এর সঙ্গে তায়াল্লুক বন্দীকে যোগাচ্ছিল নিশ্চুপ থাকার শক্তি। আরেক বার বিরতির পর ইন্টারোগেটর স্থির করে ওই সম্পর্কটি ভাঙার জন্য মুসলিম বন্দীকে কলংকিত বা নাপাক করতে হবে। এবার আরেকজন ট্রান্সলেটরের উপদেশ সে নেয়। এই ট্রান্সলেটর ছিলেন মুসলিম এবং তার উপদেশে ইন্টারোগেটর বাথরুমে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় একটি লাল মার্কার কলম। এরপর ইন্টারোগেটর এবং প্রথম ট্রান্সলেটর আবার ইন্টারোগেশন বুথ-এ ফিরে আসে। বন্দীকে এবার ইন্টারোগেটর বলে যে, তার পিরিয়ড চলছে। সে তার নিজের হাত প্যান্টির মধ্যে ঢুকিয়ে বের করে আনে। রেড মার্কারের লাল রঙ বন্দীর কাছে মনে হয় লাল রক্ত। নারী ইন্টারোগেটর আবার জিজ্ঞেস করে, কে তোমাকে আরিজোনাতে পাঠিয়েছিল? নিশ্চুপ বন্দী শুধু স্থির দৃষ্টিতে ইন্টারোগেটরের দিকে তাকিয়ে থাকে। ইন্টারোগেটর এগিয়ে গিয়ে তার হাতের লাল রঙ মেখে দেয় বন্দীর মুখে। বন্দী চিৎকার করে উঠে। সে আবার ইন্টারোগেটরের মুখমন্ডলে থুথু নিক্ষেপ করে এবং তার দিকে এতো জোরে এগিয়ে আসে যে, এক পায়ের গোড়ালি শিকল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে। ওই বন্দী অঝোরে কাঁদতে থাকে। ইন্টারোগেটর তার রুম থেকে বেরিয়ে যাবার আগে তাকে বলে যায় তার সেলের পানি সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তার মানে সে ওজু করতে পারবে না। পাক হতে পারবে না। নামায পড়ে আল্লাহ পাক-এর কাছে সাহায্য চাইতে পারবে না।  নারী ইন্টারোগেটর দ্বারা অশ্লীলতাপূর্ন এ নির্যাতন হচ্ছে বন্দী- অত্যাচারের একটি নগন্য নমুনা। এর চেয়েও বীভৎস নির্যাতনের কাহিনী ঢের রয়েছে। সউদি বন্দী অত্যাচারের এই ঘটনাটি প্রথম জানা যায় গত মাসে যখন একটি খসড়া বইয়ের পাণ্ডুলিপির একাংশ এসোসিয়েটেড প্রেসের হাতে পড়ে।  এ বইটি লিখেছে, ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের একজন সংবাদদাতা এরিক সার। যে একজন সাবেক আর্মি সার্জেন্ট ও আরবি ট্রান্সলেটর। প্রাকাশিতব্য এই বইয়ের পাণ্ডুলিপিতে আরো জানা যায়, জনৈক সিভিলিয়ান ইন্টারোগেটর একটা মিনি স্কার্ট ও প্যান্টি তার অফিসে ঝুলিয়ে রাখতেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সেসব পরে নিতেন। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের এ রিপোর্টের পাশাপাশি একই ঘটনা ২৮ জানুয়ারি ২০০৫ এ লন্ডনের দি টাইমস দৈনিক পত্রিকার একটি সুদীর্ঘ রিপোর্ট পত্রস্থ হয়। ওয়াশিংটন থেকে এই রিপোর্ট লিখেছেন ইলেইন মনাহান। তিনি জানিয়েছেন, গভীর রাতে মুসলিম বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জনৈক নারী ইন্টারোগেটর মিনিস্কার্ট, প্যান্টি ও ব্রা পরে নিতো। তার ধারণা ছিল এভাবে মুসলিম বন্দীদের সঙ্গে কথা বললে মুসলিম বন্দীরা তার বেআব্রু অবস্থার দিকে তাকালে রহমত শূন্য হয়ে যাবে। ফলে তারা আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে কোন শক্তি পাবে না। আল্লাহ পাক থেকে সম্পর্কচ্যুত হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য এই প্রক্রিয়ায় ইহুদী খ্রিস্টানরা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে দুটো বিষয় ছড়িয়ে দিয়েছে। এক ছবি, দুই বেপর্দা। আর এই দুটো জিনিষকে ব্যাপকভাবে এস্তেমা’ল করার জন্য তারা চারনভূমি হিসেবে ব্যবহার করছে গণতন্ত্র।  ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ঐ ঘরে রহমতের ফিরিশতা থাকে না যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে।” বেপর্দা সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ পাক লানত বর্ষণ করেন অর্থাৎ রহমতের পরিবর্তে গযব বর্ষণ করেন (ইচ্ছাকৃত) দৃষ্টিকারী পুরুষ এবং যে (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃষ্টিতে পতিত হয় তার প্রতি। ” (বায়হাক্বী ও শোয়াবুল ঈমান) আর গণতন্ত্র সম্পর্কে বলতে হয় গণতন্ত্র এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা জনগণকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক বানানো হয়। সব ক্ষমতার উৎস হিসেবে ধরা হয়। আর সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ বললে সাথে সাথেই জনগণ খোদা তায়ালার প্রতি ঈমান হারায় তথা খোদায়ী রহমত থেকে বিচু্যুৎ হয়।  তাছাড়া গণতন্ত্রে মানুষ নিজেদের ইচ্ছেমত আইন রচনা করে। অথচ নিজেদের ইচ্ছেমত আইন রচনা করলে মানুষ ঈমানদার হতে পারে না। আল্লাহ পাক কঠিনভাবে ইরশাদ ফরমান, “অতএব তোমাদের পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষন না তাদের মধ্যে সৃস্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ন্যায় বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর আপনার ব্যাপারে নিজের মনে কোনরূপ ভিন্নতা পোষণ না করে এবং হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেয়।” (সূরা নিসা- ৬৫) আল্লাহ পাক অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, “আল্লাহ পাক এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন মত প্রকাশের ক্ষমতা নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও তার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য গোমরাহ হবে।” (সূরা আহযাব-৩৬)

আল্লাহ পাক অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, “যারা আল্লাহ পাক-এর আইন ব্যতিত অন্য আইন রচনা করে তারা ফাসিক, যালিম, কাফির।” মূলতঃ ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া তথা গণতন্ত্র করনের দ্বারা মুসলমানদের কোন তবকায় পৌছানো যায় সে জ্ঞান ইহুদীরা কুরাআন সুন্নাহ থেকেই হাসিল করেছে। লক্ষনীয় একটি বিষয় হচ্ছে যে, ইউরোপ আমেরিকায় পন্য দ্রব্যাদির প্যাকেটে তেমন ছবির ব্যবহার নেই। অথচ বাংলাদেশে একটা সুই, ম্যাচ এমনকি শিশুদের আচারের প্যাকেটেও থাকে অশ্লীল ছবি। এছাড়া থার্টি ফাস্ট নাইট কালচার, ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা বৈশাখের নামে চরম পরম বেপর্দার উম্মাদনা তৈরির পাশাপাশি এখন শিশুদের কার্টুন ছবিতেও ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে শেষ স্তরের বেহায়াপনা। অর্থাৎ মুসলিম শিশুদেরকেও শিশু অবস্থা থেকেই অবাধ অশ্লীলতায় আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। ওদিকে বুশ ছাহেব এখন প্রকাশ্য হুমকি ধামকি দিয়ে মিশরে, সৌদি আরব ইত্যাদি একের পর এক মুসলিম দেশে গণতন্ত্র চালু করতে বাধ্য করছেন। ফলত উপরোল্লিখিত কুরআন শরীফ এর আয়াত আর হাদীছ শরীফ-এর পাশাপাশি আরো অনেক অনেক আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর প্রেক্ষিতে মুসলমাগণ খোদায়ী রহমত থেকে, ছিড়ে যাওয়া তাসবীহর দানার মত ঝুর ঝুর করে ছিটকে পড়ছে।  বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক খুৎবায় আখেরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বিষয়ে উম্মাহকে সতর্ক করেছিলেন, “আমি তোমাদের জন্য দুটো জিনিষ রেখে যাচ্ছি। কুরআন ও সুন্নাহ। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তা আকড়ে রাখবে ততক্ষন তোমরা গোমরাহ হবে না। যখনই তোমরা তা থেকে বিচ্যুত হবে তখনই পদদলিত হবে, লাঞ্ছিত হবে।”

শুধু আফগানিস্তান, আর ইরাকে নয় আজকে মুসলমান নিগৃহীত হচ্ছে গোটা বিশ্বে। প্রতিটি মুসলিম দেশকেই আমেরিকা তার লাঞ্ছনাদায়ক অবমাননাকর শর্ত দিয়ে অধীনস্থ করে রাখছে। গোটা মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আমেরিকার মনগড়া সার্টিফিকেটের উপর পুঁজি করে চলতে হচ্ছে। করতে হচ্ছে রীতিমত তোয়াজ, বাদ দিতে হচ্ছে স্বাধীনতা। একগালে থাপ্পড় দিলেও প্রতিবাদ না করে হাসিমুখে আরেক গাল পেতে দিয়ে বলতে হচ্ছে, “আপনি ঠিকই করেছেন আমাদেরই ভুল হয়েছে।”  এবং এ নির্যাতনটা যে শুধু সাম্রাজ্যবাদী নির্যাতন নয় বরং এ যে সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন বিশেষতঃ ইসলাম ও মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্নকরন তাও তারা খোলামেলাভাবেই প্রকাশ করেছে।  ইরাকের নিক্ষিপ্ত বোমার গায়ে লেখা ছিল ‘আল্লাহকে হাই বলো‘ রোজায় নিক্ষিপ্ত বোমায় লেখা থাকত ‘এবার ইফতার করো‘। ইরাকের আবু গারীব কারাগারে বন্দীর উপর নির্যাতন চালানোকালে বলা হত ‘আল্লাহ পাককে ডাকো।’ বন্দী ডাকলে নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দিত।

অবশেষে যীশুকে ডাকতে বাধ্য করা হত এবং যীশুকে ডাকলে নির্যাতন বন্ধ করে দেয়া হত। এখানে একটি বিষয় অনুভব করা অপরিহার্য যে, মার্কিনী ছোট অফিসাররা স্বপ্রনোদিত হয়ে মুসলিম বন্দীর উপর পৈশাচিক নির্যাতন করেছে এবং তারা রাখঢাক করে রাখতে চাইলেও হঠাৎ বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়েছে, আসলে কিন্তু তা নয়। বরং নির্যাতনকারী অফিসারদের যদিও লোকদেখানো শাস্তি কিছু হয়েছে কিন্তু আসলে তা শুধু ঐ ছোট অফিসারদের বড় কর্মকর্তা নয়, এমনকি পেন্টাগনও নয় বরং এটি ইসলাম বিদ্বেষী গোটা ইহুদী খ্রিস্টানদের সম্মিলিত তৎপরতার হাই কমান্ডেরই কূট চাল। সাপ হয়ে কামড়ে ওঝা হয়ে ঝাড়ার মত উদাহরণ এখানে সমার্থক নয়। মূলত এই বন্দী নির্যাতনের দ্বারা বর্তমান ইহুদী-খ্রিস্টান শক্তি, ইসলাম ও মুসলমানের উপর তাদের শত সহস্র বছরের কঠিন বিদ্বেষের সবটুকু গরল ঢেলে প্রতিহিংসাকাতর মনের চরম ঝাল মিটিয়েছে। ঘটনার পর হাইকামান্ড ভদ্রতার মুখোশ পড়ে সরি বললেও নির্যাতন তারা ঠিকই করিয়েছে। এই নির্যাতনে তারা আত্ম প্রসাদ লাভ করেছে। কারণ এই নির্যাতনকে তারা বিচ্ছিন্নভাবে দেখে নাই। শুধু একক ইরাককে কল্পনা করে নাই। বরং এই নির্যাতনকে তারা দেখেছে গোটা মুসলিম বিশ্বের উপর নির্যাতনের প্রতীক হিসেবে। দৃশ্যত মার্কিনীরা ইরাকের উপর আক্রমনে বুশের প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করলেও কার্যত ঠিকই আবার তাকেই নির্বাচিত করেছে। এ ব্যাপারে গোটা কলকাঠি নেড়েছে ইহুদী লবিং। কুরআন শরীফে এই ইহুদীদের বড় শত্রু ও প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই ইহুদীরাই খ্রিস্টানদের মুসলমানদের মুল শক্তি খোদায়ী রহমত থেকে বিচ্যুত করলে তাদেরকে সহজেই অধীনস্থ ও অপদস্থ করা যাবে এই বুদ্ধি যুগিয়েছে। পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ায় ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া আর গনণন্ত্র করার দ্বারা যে চরম সফলতা অর্জন করা যাবে তাও তারা সমঝিয়েছে। সে প্রেক্ষিতেই তারা এখন মুসলমানদের ঈমান হারা তথা খোদায়ী রহমত হারা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ছবি তোলা, বেপর্দা আর গণতন্ত্রের নামে কুফরীর পর কুফরীতে সম্পৃক্ত করছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন ‘আহলে কিতাবের (ইহুদী-খ্রিষ্টানদের) অধিকাংশ চায় তোমাদেরকে ঈমানের পর কুফরীর দিকে ধাবিত করতে।’ আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ ফরমান, ‘ইহুদী খ্রিস্টানরা ততক্ষন পর্যন্ত আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাদের নিয়মনীতি গ্রহণ না করবেন।’ বলাবাহুল্য, মুসলমানদেরকে খোদায়ী রহমতচ্যুত করার পরিকল্পনায় ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ও গণতন্ত্র তথা নির্বাচন করনের কর্মসূচীতে আজ ইহুদী-খ্রিষ্টানদের সক্রিয় এজেন্ট হচ্ছে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ী নামধারী আলেমরা। হাদীছ শরীফে যাদের নিকৃষ্ট বলা হয়েছে।

 -মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন