সম্প্রতি হবিগঞ্জ জিলার মাধবপূর শাখা ছাত্র আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যোগে “সকল ঈদের সেরা ঈদ” সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪২৬ হিজরী উপলক্ষে বাতিল ফিরক্বা ও বাতিল আক্বীদায় বিশ্বাসী ওহাবীদের উত্থাপিত বিভিন্ন জিহালতপূর্ণ প্রশ্নের দলীল ভিত্তিক দাতভাঙ্গা জবাব সম্বলিত একখানা পোস্টার প্রকাশ করা হয়। উক্ত পোস্টারখানা যেমনিভাবে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী আশেকে রসূল মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ঠিক অনুরূপভাবেই নবীজির দুশমন, ইসলামের দুশমন বাতিলপন্থী ও বাতিল আক্বীদায় বিশ্বাসী ওহাবীদের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাই তারা শুরু করে উক্ত পোস্টারের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা। পোস্টারে দেয়া প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ তারা গ্রহণ করেছে কিন্তু আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর লোকজন নাকি ভয়ে পালিয়েছে এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারও তারা এলাকায় করতে থাকে এবং আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর লোকজনকে নানা রকম হুমকি দিতে থাকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর লোকজন ভয় পায় এবং বাহাছে না আসে। তারা একথাও প্রচার করতে থাকে যে, তাদের তথাকথিত মৌলভী ওলীপূরী ওরফে পলায়নপূরী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের লোকজনের সাথে বাহাছ করবে। ১৮ই এপ্রিল সোমবার পলায়নপূরীকে প্রধান বক্তা করে একটি প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করলো। যাতে দু’তিনশর মত লোক হয়েছিল, তাও আবার তাদের খারেজী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক মিলে। সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল নেহায়েতই কম। যাই হোক উক্ত প্রতিবাদ সভার সময়ই স্থানীয় আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের লোকজন যেমন, মুহম্মদ তোফাজ্জল হুসাইন, মুহম্মদ বায়েজীদ কবীর, মুহম্মদ আব্দুস সামাদ, মুহম্মদ দুলাল, মুহম্মদ হুমায়ন কবীর, মুহম্মদ আব্দুস্ সালাম, মুহম্মদ মামুনসহ ইটা খোলা আলিয়া মাদ্রাসা ও মাধবপূর সৈয়দ সাঈদ উদ্দীন কলেজের ছাত্রবৃন্দ, নারায়ণপূরের জনপ্রিয় ও রসূল প্রেমিক সুন্নী মতাদর্শে বিশ্বাসী মেম্বর জনাব আদম খা সাহেব ও আরো কতিপয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে বাহাছের চুক্তি নামার কাগজ-পত্রসহ ওহাবীদের নিকট যান। এ সময় পলায়নপূরী তথকাথিত প্রতিবাদ সভায় মিথ্যা প্রলাপ বকছিল। আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের পক্ষ থেকে যখন পলায়নপূরীকে বাহাছের চুক্তি নামায় আবদ্ধ হওয়ার কথা বলা হলো, তখন তারা বললো প্রতিবাদ সভা শেষে তারা চুক্তি নামায় আবদ্ধ হবে। আমাদের লোকজনকে অপেক্ষা করতে বলা হলো। এদিকে কোন মতে সভা সমাপ্ত করে তথাকথিত ওলীপূরী ওরফে পলায়নপূরী মঞ্চ ছেড়ে উধাও হয়ে গেল। আঞ্জুমানের লোকজন বলল, পলায়নপুরী কোথায়? তাঁকে বাহাছের চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করতে বলুন। ওহাবীরা বললো, “তার জরুরী কাজ রয়েছে তাই তাড়াতাড়ি চলে গেছে।” আশেকে রসূল জনগণের বুঝতে বাকি রইলনা যে, তথাকথিত ওলীপূরী ওরফে পলায়নপূরী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর সাথে বাহাছ করার ভয়েই পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে “তার বাহাছের ভয়ে পলায়ন ও প্রতিবাদ সভায় ঈদে মীলাদুন্ নবী ও সুন্নী ওলামায়ে কিরাম-এর বিরুদ্ধে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কুটুক্তি ও বেয়াদবীমূলক বক্তব্য” প্রদান করার প্রতিবাদে ৩০শে এপ্রিল স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যাতে রাজারবাগ শরীফের প্রখ্যাত উলামায়ে কিরাম তাশরীফ আনেন ও বক্তব্য রাখেন। উক্ত মাহফিলে বক্তাগণ অসংখ্য দলীলের মাধ্যমে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফাযায়িল-ফযীলত ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। সাথে সাথে তথাকথিত ওলীপূরী ওরফে পলায়নপূরীকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিবাদ সভায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল। -মুহম্মদ আব্দুল্লাহ, হবিগঞ্জ।
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১