আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক ও তার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কাজের ফয়সালা আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সেই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও তার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ অমান্যকরে সে প্রকাশ্য পথ ভ্রষ্টতায় পতিত হয়। (সূরা বাকারা:৩৬)
আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “আপনার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ন্যায় বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা প্রকাশ পাবে না এবং হৃষ্ট চিত্তে তা কবুল করে নিবে। (সূরা নিসা-৬৫)
মূলতঃ কুরআন-সুন্নাহ্র এরূপ স্পষ্ট অমোঘ নির্দেশ বহু। কিন্তু তারপরে সে অলংঘনীয় নির্দেশাবলীকেই অবলীলাক্রমে অমান্য করে চলছে আজকের ধর্মব্যবসায়ীরা। কুরআন-সুন্নাহ্য় কি বলা আছে তা ভেবে দেখার পরিবর্তে বর্তমান যুগে কিভাবে চললে তাদের নফসের সুবিধা হবে সেটাই তাদের কাছে বিচার্য বিষয়।
অবমাননাকর উক্তি করার দুঃসাহস যুগিয়েছে অর্থাৎ উলামায়ে‘ছুরাই রুশদীর সহযোগী ও ভিত্তি এবং মুল চালিকাশকি। যে কারণে ছবি তেলা, বেপর্দা হওয়া, নারী নেতৃত্ব মানা, পদপ্রার্থী হওয়া, ইসলামের নাম দিয়ে নির্বাচন করা, মৌলবাদ দাবী করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া তথা বিজাতীয় বিধর্মীয় অনুসরণ-অনুকরণ শরীয়তে স্পষ্ট নিষেধ থাকলেও তারা তাদের নফছের প্রবৃত্তির কারণে, তাদের রাজনৈতিক ফায়দার লোভে আল্লাহ পাক ও তার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সেসব আদেশ-নিষেধ আদৌ মান্য করছে না।
তাদের ভাবখানা এই যে, বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে ঐসব আদেশ-নিষেধ এখন আর মানা যাবে না- এদিক থেকে জঘন্য মুরতাদ রুশদীর সাথে তাদের আদৌ পার্থক্য নেই।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে সেন্টার ফর এনকোয়ারি আয়োজিত এক সভায় রুশদী মন্তব্য ঝাড়ে “কুরআনকে দেখা দরকার ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে। আল্লাহ পাক-এর অভ্রান্ত বাণী বলে ভয় না করে অবিলম্বে কুরআনের নতুন ব্যাখ্যা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, রুশদী সম্প্রতি যা বলেছে ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা অনেক আগে থেকেই তা শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য ও আমলে প্রমাণিত হয় যে কুরআন শরীফকে তারা ওহী বা সর্বকালের জন্য মানে না। যুগের প্রেক্ষাপটে কুরআন-সুন্নাহ্ অস্বীকার করে।
নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা ও হারাম কাজ হালাল করে তারা কুরআন শরীফকে রুশদীর কথিত ঐতিহাসিক গ্রন্থেরই মর্যাদা দিয়েছে। অন্য কথায় মাওলানা নামধারীদের যুগের দোহাইয়ে হারামকে হালাল করার সাহসিকতাই রুশদীকে কুরআন শরীফ সম্পর্কে এরূপ অবমাননাকর উক্তি করার দুঃসাহস যুগিয়েছে অর্থাৎ উলামায়ে‘ছু’রাই রুশদীর সহযোগী ও ভিত্তি এবং মূল চালিকাশক্তি।
-মুহম্মদ সোহেলুর রহমান, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫