শুধু রাজধানী বা অন্য মহানগরীগুলি নয়। সুদূদ্র নওগাঁ হইতেও একই খবর আসিয়াছে। গত ২৩ শে জানুয়ারি দৈনিক সংবাদ ৫নং পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে:
তাবলিগে যাওয়ার ধুম
প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁয় সেনা অভিযান আতঙ্কে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ক্যাডার ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিশ্ব এস্তেমা ও তাবলিগ জামাতে যাওয়ার ধুম পড়েছে। গ্রেফতার এড়াতে শহরসহ গ্রামাঞ্চলের মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেকেই। অনেকে তাবলিগ জামাতের ৪০ দিনের চিল্লায় নাম লিখিয়াছে। আবার অনেকে বিশ্ব এস্তেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকে মন্তব্য করেন, জরুরি অবস্থা জারির পর নওগাঁর রাজনৈতিক নেতা, ক্যাডার ও চিহ্নিত অপরাধীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।”
শুধু নওগাই নহে। মুলতঃ সারাদেশেই একই দশা পরিলক্ষিত হইতেছে। সন্ত্রাসী, ক্যাডার এমনকি গডফাদাররা পর্যন্ত এখন সুরত পাল্টাইয়া দলে দলে ছয় উছুলী তাবলীগে ঢুকিতেছে। চিল্লায় নাম লেখাইয়া উহারা এখন ইজতেমা মুখী হইতেছে।
এদিকে এই ইজতিমা নিয়া উহাদের বড়ই গর্ব আর মিথ্যা প্রচারণা। ইতজিমায় লাখ লাখ লোক হয় বলিয়া উহাদের বড়ই আত্মঅহংকার।
আসলে উহাদের সবকিছুই মূলতঃ। মিথ্যানির্ভর। মিথ্যা ফযীলতের কথা বলিয়া, ইজতেমায় গেলে গরীবের হজ্ব হইবে বলিয়া উহারা ইজতেমার লোক বাড়ায়। কিন্তু তাহার পরেও লোক যতনা হয় প্রচার করে তাহার চেয়ে চের বেশি। যাহা সাধারণ জ্ঞানেই বুঝা যায়।
উল্লেখ্য, সরেজমিনে যাইয়া দেখা গিয়াছে যে, ময়দানে ইজতেমার লোক ছাড়াও থাকে- তাহাদের হাড়ি-পাতিল, খালা-বাসন, লাকড়ী, চুলা, যাতায়াতের পথ, শত শত ইস্তিঞ্জাখানা, দোকানপাট ইত্যাদি। এছাড়াও
পত্রিকার খবর;
বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক আয়োজন। সেনা র্যাব বিডিআর পুলিশ মোতায়েন হবে ২০ হাজার
দেব দুলার মিত্র: আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব
ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসারসহ প্রায় ২০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হবে। এদের পাশাপাশি থাকবে বিপুলসংখ্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। (দৈনিক ভোরের কাগজ ২৪শে জানুয়ারী ০৭)
অর্থাৎ গোয়েন্দা সংস্থার লোক ধরলে তা হবে ২০ হাজারের চেয়েও বেশী। তাহা হইলে ইজতিমার মূল ময়দানে কত লোক হইতে পারে তা চিন্তার বিষয়। কিন্তু ইহাতেই তাহারা প্রচার করিয়াছে লাখ লাখ লোক। আসলে নবী-রাসূল আলাইহিসমুস্ সালাম, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সম্পর্কে মিথ্যা বর্ণনা করিতে করিতে তাহাদের গোটা জবানই এখন মিথ্যা প্রণোদিত হইয়া পড়িয়াছে। যে কারণে তাহারা প্রচার করিয়া বেড়ায়, ‘তিন চিল্লা না দিলে ঈমান পূর্ণ হইবে না।’
(নাউযুবিল্লাহ) অথচ তাহাদের চিল্লায় গেলে, ইজতেমায় গেলে শুধু যে বদআক্বীদার দ্বারা ঈমান বিপর্যন্ত হয় তাহা নয় সাথে আমলও নষ্ট হয়; সেইদিকে খেয়াল
কোথায় তাহাদের? পত্রিকায় ছাপা হইয়াছে: “এজতেমাস্থল প্রবেশের সবগুলো পথে স্থাপন করা হবে অর্ধ-শতাধিক ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ও ভিডিও ক্যামেরা।” (দৈনিক ভোরের কাগজ, জানুয়ারী-০৭)
অর্থাৎ প্রতিদিন প্রতিটি লোকের সেখানে প্রতিমুহূর্তে ছবি তোলা হইবে। আর প্রতিটি ছবি তোলা একটি করে কবীরাহ গুনাহ। তাহা হইলে যাহা প্রতীয়মান হইতেছে এজতেমায় গেলে একদিকে বদ-আক্বীদার দ্বারা – ঈমান হয় নষ্ট; অপরদিকে প্রতি মুহূর্তে ছবি তোলার মত হারাম আমল দ্বারা আমলনামা হয় মহাগুনাহযুক্ত। পাশাপাশি সন্ত্রাসী, ক্যাডার মাদকসেবী ও বিক্রিকারীদের বদ তাছিরে দিল হইয়া পড়ে বদী।
আরো উল্লেখ্য উহাদের এজতেমা অনুষ্ঠিত হইবার ১৫দ্দিন পূর্বেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক সি.সি.টিভি স্থাপনের কথা ঘোষণা করা হইয়াছে। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে উহারা হারাম ও বদ আমলে কত দৃঢ় বা মজবুত। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২