ঋণের শর্ত দিন দিন আরো কঠিন করছে বিশ্বব্যাংক। তারপরেও বিশ্বব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ গ্রহণ করা সরকারের জন্য চরম ব্যর্থতা এবং দেশ ও জনগণের জন্য আত্মঘাতী।

সংখ্যা: ২৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। ‘স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির আওতায় বিশ্বব্যাংক বাড়তি সুদের প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ ধরনের ঋণ গ্রহণে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করলেও পরে রহস্যজনক কারণে সম্মতি দিয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ সংস্থা ‘আইডিএ’ হতে শূন্য দশমিক ৭৫ ভাগ সুদে ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আর স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিলে এর সুদ হার হবে প্রায় ৪ শতাংশ। এর বাইরে সুদ ও অন্যান্য শর্তের কারণে এ ধরনের ঋণ না নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

প্রসঙ্গত, দেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ৪ শতাংশ সুদসহ তুলনামূলক কঠিন শর্তে ঋণ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখতে হবে। কারণ দু-একটি দেশ বিশ্বব্যাংকের ওই তহবিল থেকে কিছু ঋণ নিলেও অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ও দেশ হতে বাংলাদেশ সরকার ৬ বিলিয়ন ডলারের উপর ঋণের প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে। বিশ্বব্যাংকের স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটি হতে ঋণ গ্রহণ করা হলে পরে কম সুদের অন্যান্য ঋণ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও তারা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক তার ঋণনীতি পরিবর্তন করে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পাত্র হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন করেছে বিশ্বব্যাংক। নিজেদের প্রকল্পের স্বার্থে নতুন কিছু নীতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তিত নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে, যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা হচ্ছে। জানা গেছে, ঋণ নীতিমালা পরিবর্তনের মাধ্যমে দরিদ্র দেশের নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে এক কথায় প্রতারণা করেছে বিশ্বব্যাংক।

ঋণদাতা সংস্থার শর্ত মানতে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে শর্তের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হতে হয়। সংস্কারসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানামুখী শর্ত মেনে নিতে হয়। এই শর্তের চাপ গিয়ে পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে, সাধারণ মানুষের উপর। এখন ভর্তুকি প্রত্যাহারের চাপ সইতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকসহ কথিত ঋণদাতাদের তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে বরাবরই বিভিন্ন কঠিন শর্ত মেনে নিতে হয়। এ সংস্থাগুলোর চাপে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দারিদ্র্যবিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। কথিত ঋণদাতাদের পরামর্শে দুই মেয়াদে পিআরএসপি প্রণয়ন হলেও তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ দেয়নি তারা। প্রায় সব ঋণদাতা দেশ ও সংস্থা ঋণের অর্থ ছাড়ে নানা রকমের কঠিন কঠিন শর্ত দিয়ে থাকে। এসব শর্ত মেনে বিদেশী ঋণ নিলে আমাদের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা লোপ পায়।

আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংককে যতই আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বলা হোক না কেন, আসলে দুটি সংস্থাই নিজেদের তহবিল বৃদ্ধির জন্য সুদের ব্যবসা করে। এই সুদী ব্যবসা করতে গিয়ে দরিদ্রতর দেশগুলোকে উন্নয়নের ফাঁদে ফেলা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের এই ফাঁদ পাতা আছে। তাদের ‘ইকোনমিক হিটম্যান’ ছড়ানো আছে বিশ্বজুড়ে। যে কোনো দেশে কেমন করে ঋণ দেয়া হবে বা সেই দেশকে কেমন করে ঋণের ফাঁদে ফেলা হবে, তার ছক আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। দেশভেদে ছক বদলে দেয়া হয়। এক গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকেরই সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ নোবেলপ্রাপ্ত জোসেফ ইস্টিগলিজের উদ্ধৃতি। সে বলেছে, আইএমএফের অর্থনীতিবিদদের সব কিছুই গোপন। তারা চায় না বহিরাগতরা তাদের কাজ নিয়ে কিছু বলুক। বাইরে তারা খোলামেলা নীতির কথা বললেও নিজেরা দরকষাকষি করে গোপনে। কোনো একটি দেশে গিয়ে পাঁচতারা হোটেলে থেকে কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই সে দেশের জন্য তারা একটি কর্মসূচি তৈরি করে ফেলে, যা ওই দেশের মৌলিক চাহিদা বা আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো দেশভিত্তিক আইএমএফ টিম আগে থেকেই কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে রেখেছে কিংবা এক দেশের প্রোগ্রাম হুবহু অন্য দেশের জন্য চালিয়ে দিয়েছে- এমন নজিরও আছে।

বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের ঋণের জালে জড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার উদাহরণ যেমন আছে, তেমনি এ দুই সংস্থার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার উদাহরণও আছে।

মূলত, ইহুদী লবিং নিয়ন্ত্রিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক কখনোই মুসলমানদের জন্য কল্যাণকামী নয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী।”

ইহুদীদের প্রটোকলে রয়েছে, “তারা অর্থ এবং প্রচারমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিম দেশগুলোকে হাতের মুঠোয় রাখবে।” সমস্যার বেড়াজালের মূলেও তারা। আবার পরামর্শক রূপেও তারা। সাপ হয়ে কামড়ানো আর ওঝা হয়ে ঝাড়ার কায়দায় মুসলিম দেশগুলোকে শোষণ ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ায় তারা খুব পারদর্শী।

উল্লেখ্য, ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আজকের নামধারী আলিম সমাজ এ জাতিকে কোনোই সচেতনতা ও সমঝ দিতে পারেনি।

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবূবুল্লাহ, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।