এনজিওগুলোর ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদে প্রান্তিক ও গ্রামীণ এলাকার কোটি কোটি মানুষ সর্বস্বান্ত। ঋণের কিস্তির চাপে একের পর এক ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। ‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র বিমোচন নয়, বরং দারিদ্রতা লালন করছে।’ এনজিগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ চায় দেশের ৩০ কোটি মানুষ।

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

দীর্ঘদিন ধরেই প্রান্তিক জনগণকে ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করে আসছে এনজিওগুলো। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ২৫-৪২ শতাংশ সুদ আদায় করছে। সরকারের উপযুক্ত নজরদারীর অভাবে এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাচ্ছেনা। ফলস্বরূপ; ঋণের চাপে আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। গত কয়েক মাসে এনজিওর ঋণের বোঝার চাপে আত্মহত্যা করেছে অনেক লোক। এর মধ্যে- ১ লা সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে এনজিওর ঋণের বোঝার চাপে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুল শিক্ষক।

গত ৯ জুন নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে এনজিওর ঋণের চাপে ৩ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। গত ২৭ আগষ্ট জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্ত এলাকায় এনজিওর ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছে এক ব্যক্তি। প্রতিদিনই এনজিওগুলোর ঋণের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটছে।

মূলত, দেশে প্রাচীন কাবুলিওয়ালাদের নয়া সংস্করণ ‘এনজিও’র ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসার বেড়াজালে আটকে গেছে গ্রামগঞ্জের নারী-পুরুষ। ‘গরিবী হটাও’ আর ‘স্বাবলম্বী’র নামে বিদেশী টাকায় শত শত এনজিও মাকড়সার জালের মতো সারাদেশে ক্ষুদ্রঋণের জাল ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ঋণের জালে আটকে গেছে লাখ লাখ অসহায় নারী-পুরুষ। নারী স্বাবলম্বী এবং আত্মকর্মসংস্থানের নামে এনজিওগুলো গ্রামের মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেছে। চড়া সূদে সে ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তির যোগান দিতে গিয়ে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়ছে ঋণ গ্রহীতারা। স্বাবলম্বী হওয়া তো দূরের কথা ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে ভিটা-মাটি, ঘটি-বাটি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী বিক্রি করতে হচ্ছে। ঋণের কিস্তির যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কিডনী বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি বংশ পরম্পরায় ক্ষুদ্রঋণের সূদের ঘানি টানতে হচ্ছে। ঋণের কিস্তি নিয়ে বিরোধে পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক অবক্ষয় এবং ঘর-সংসার ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও অহরহ ঘটছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরিবী হটানোর নামে বিদেশ থেকে টাকা এনে কোন কোন এনজিও শতকরা ৮৫ ভাগ পর্যন্ত সুদ আদায় করে থাকে। উত্তরাঞ্চলের গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে এমন এনজিওর সন্ধানও পাওয়া গেছে যারা শতভাগও সুদ আদায় করছে।

প্রসঙ্গত, এই এনজিওগুলোর ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু হওয়ার ৩৫ বছর পরও এমন কোন প্রমাণ নেই, যাতে মনে হতে পারে ক্ষুদ্রঋণ গরীব মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে এটা প্রমাণিত সত্য যে, ব্যাপক সমারোহে যারা এ দেশের গরীব মানুষের দারিদ্র্য দূর করতে মাঠে নেমেছে, তারা নিজেরাই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

ক্ষুদ্রঋণ যদি সফল হতো তা হলে আজো কেন ৭ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে? গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ঋণ গ্রহীতা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামের সুফিয়া খাতুন বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। চিকিৎসার টাকা যোগাতে তার পরিবারের সদস্যরা দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করেছে।

বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ৬৭ শতাংশই ব্যয় করে অনুৎপাদনশীল খাতে, যা দারিদ্র্য বিমোচনে কোন ভূমিকাই রাখে না। তাই ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। সম্প্রতি দেশের দুর্যোগপ্রবণ রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় এ জরিপ চালানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ জরিপ প্রতিবেদন ‘দারিদ্র্য বিমোচনে দরিদ্র ব্যক্তিদের সম্পদ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হতদরিদ্র ব্যক্তিদের ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশই ঋণগ্রস্ত। এদের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ দেনাগ্রস্ত শুধু স্থানীয় মুদি দোকানগুলোর কাছে। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ২৯ শতাংশ হতদরিদ্র চিকিৎসা বাবদ খরচ করে ও ১৭ শতাংশ দৈনন্দিন খাবার কেনে।

এছাড়া ক্ষুদ্রঋণের ১৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় মৃতের দাফন-কাফন, দোয়া অনুষ্ঠান, বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদের মতো পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং জরুরি সংকট উত্তরণে। হতদরিদ্রের ঋণের উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ শতাংশ মানুষ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ঋণ নেয়। দাদনের ঋণ নেয় ১০ শতাংশ। এছাড়া ১৪ শতাংশ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে, ৭ শতাংশ ব্রাক থেকে, ১২ শতাংশ বিভিন্ন এনজিও থেকে ও মাত্র ১ শতাংশ সাধারণ ব্যাংক থেকে।

মূলতঃ এনজিওদের অর্থের যোগানদাতা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। পৃথিবীর সর্বত্র তাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয়। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিকাশ, খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে বিষোদগার, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ, নতুন মুৎসুদ্দী শ্রেণী তৈরী করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পুঁজি পাহারা দেয়া তাদের লক্ষ্য। বিগত ২৫ বছরে ঋণ বা সাহায্যের নামে এদেশে এসেছে ৫০ হাজার কোটি টাকা, তার ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৩৭.৫০ হাজার কোটি টাকা তারাই নিয়ে গেছে, বাকি ১২.৫০ হাজার কোটি টাকা এ দেশে একটি লুম্পেন ধনিক শ্রেণী গঠনে খরচ হয়েছে।

ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচন করে না বরং সামন্তসমাজের ভূমিদাসের মতো এ যুগের মানুষকে এনজিওগুলো এক ধরনের ঋণদাসে পরিণত করছে। দারিদ্র্যবিমোচনের এই পথ অনুসরণ করার ফলে আমাদের উন্নতির কোনো দিশা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার মধ্যেই সংখ্যালঘুর ধনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠের গরিব হওয়ার প্রক্রিয়া নিহিত। এই গরিব করা ও গরিব রাখার ব্যবস্থা বহাল রেখে গরিবদের ঋণ দিয়ে ও উচ্চহারে সুদ নিয়ে কীভাবে গরিবী মোচন হবে?

প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সুদখোর, ঘুষখোর দিয়ে দেশের উন্নতি হয়না। অনেক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রথা দারিদ্র বিমোচনের কোনো উপায় নয়।

সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, এসব বিবৃতি শুধু প্রধানমন্ত্রী বচনেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সরকার ক্ষুদ্রঋণ তথা সুদী অর্থ ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে। দেশবাসীকে সুদমুক্ত অর্থনীতি উপহার দিবে। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী। তাই প্রত্যাশা করে যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ ছাড়া কোন আইন পাশ হবেনা।

-আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।