ওআইসি কী মুসলিম স্বার্থেও নামে মুসলিম বিশ্বেও বিরুদ্ধেই এক বড় সংগঠন! ‘ইহুদীসংঘ’ ‘জাতিসংঘকে’ নিয়ন্ত্রণের মত ওআইসিকেও ইহুদীরাই নিয়ন্ত্রণ করছে

সংখ্যা: ১৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাসে অগ্নিসংযোগ করলে তা মুসলমানদের অন্তরে দারুণভাবে আঘাত করে। চেতনা জাগরিত হয় যে, ক্রমবর্ধমান মুসলমান বিদ্বেষী শক্তিকে রুখে দাঁড়াতে এবং অমুসলিমদের  হাত থেকে মুসলমানদের দেশ ও সম্পদ হিফাজতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মরক্কোর রাজধানী রাবাতে শীর্ষস্থানীয় মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা ওআইসি। যার পুরা নাম ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়হভধৎবহপব তথা ইসলামী সম্মেলন সংস্থা। ২৫টি দেশের সমন্বয়ে তার যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে তার সদস্য সংখ্যা ৫৭টি মুসলিম দেশ। মুসলিম দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা, পারস্পরিক ঐক্য, বহিঃশক্তির সম্মিলিত প্রতিরোধ, ফিলিস্তিনবাসীদের দাবী আদায় প্রভৃতি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সংস্থাটির। ওআইসির সূচনালগ্ন থেকেই এ সংস্থাটির প্রতি ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী মুসলিম জাতি। মুসলিম উম্মাহর ওপর কেউ আর অন্যায় হস্তক্ষেপ, অবৈধ দখলদারিত্ব ও অনৈতিক আগ্রাসনের সাহস দেখাবেনা। কেউ এমন দুঃসাহস দেখালে তাদের দম্ভকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়া হবে। এমনই ছিলো ওআইসির জন্মলগ্ন প্রত্যয়। কিন্তু ওআইসি’র কর্মতৎপরতা ও ভূমিকা উম্মাহর প্রত্যাশা পূরণে এযাবত কোনই কার্যকরী উদাহরণ দেখাতে পারেনি। সার্ব খ্রিস্টানদের বিষাক্ত ছোবলে বসনিয়া-হারজেগোভিনার মুসলমানরা ক্ষতবিক্ষত হল। নাইন ইলেভেনের ট্রাজেডি কেন্দ্র মার্কিন শক্তি আফগানিস্তান ইসলামী সরকারকে উৎখাত ও দেশটিকে বোমার আঘাতে জর্জরিত করল। তথা দেশটি কবল দখল করে নিলো। দখল করে নিলো শত শত বছরের মুসলিম ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ দেশ ইরাক। এখন চলছে  পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দখলের পাঁয়তারা। ধ্বংসাত্মক মারণাস্ত্র রাখার ভূয়া অজুহাতে আমেরিকা ইরাকে অবৈধভাবে হামলা চালিয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইতিহাসে তার নজীর নেই। অথচ এক্ষেত্রে ও আইসি নির্বিকার। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ইসরাইলী আগ্রাসন মুসলমানদের হৃদয়ে নিরন্তর রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে চলেছে। অথচ এক্ষেত্রেও ওআইসি কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। পারেনি কোন স্থায়ী সমাধান দিতে। কিছুদিন পূর্বে লেবাননে ইসরাইলী ধ্বংসযজ্ঞ মুসিলম বিবেককে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে, তাদের মর্মাহত করেছে গভীরভাবে। এ ঘটনার মধ্যে ওআইসি’র ভূমিকা কেবল কিছু প্রতিবাদ, নিন্দা প্রস্তাব ও আহ্বানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সর্বোপরি আজ পথহারা, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মুসলমানের মর্যাদা পুনঃরুদ্ধারে ওআইসি নিষ্ক্রিয় পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয়। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ওআইসি একটি বিষয়ে সফল। তাহলো বিভিন্ন মুসলিম দেশ প্রধানদের এক টেবিলে বসাতে সমর্থ হওয়া। তাতে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতি বছর বৈঠকে আলোচনা-পর্যালোচনায় রাষ্ট্রপ্রধানরা সুললিত কণ্ঠে, আবেগময়ী ভাষায়, সুন্দর সুন্দর শব্দে, আকর্ষণীয় চমকপ্রদ বক্তব্য প্রদান করেন। কিছু সিদ্ধান্তও তাতে গৃহীত হয়। প্রতি বৈঠকের পর সিদ্ধান্তসমূহ ঘোষণা আকারে প্রকাশ পায়। কিন্তু তা রাবার স্ট্যাম্পের মত ঐ পর্যন্তই।  ওআইসি সম্পর্কে যাদের উপরোক্ত দৃষ্টিভঙ্গিও রয়েছে তারাও যে ওআইসি’র হাক্বীক্বত ফাঁস করে খুব সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে তাও কিন্তু নয়। বরং এটাকে গরু মেরে জুতা দান বললেও ভুল হবে। বরং সত্য কথা বলতে গেলে, ওআইসিই বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব নিগৃহের কারণ। এর খুব স্পষ্ট কারণ এই যে, আজকের ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দারের মত ওআইসি না থাকলে কার্যত: মুসলিম বিশ্বে তার একটা অভাব বোধ থাকতো। সে শূন্যতা থেকে চেতনার নতুন জোয়ার ও জাগরন তৈরী হতে পারতো। হতে পারতো আজকের পুতুল সদৃশ ওআইসির তুলনায় কার্যকর একটি ওআইসি অথবা শক্তিশালী অন্য কিছু। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়ে আছে আজকের পুতুল সদৃশ ওআইসি। এর অবস্থানের ফলে নতুন উদ্দীপ্ত চেতনা সংগঠিত হওয়ার উৎসাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে আছে। উল্লেখ্য, ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তি বা দেশও এই ওআইসি’র সাথে নানাভাবে সম্পৃক্ত এবং পরামর্শক ও পর্যবেক্ষণের পদ দখল করে আছে। মূলত: ‘ইহুদীসংঘ’ ‘জাতিসংঘের’ মতই ওআইসিকেও ইহুদীরাই নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা মুসলিম বিশ্বকে এই জানান দিতে চাচ্ছে যে, মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ কাঠামোর শূন্যতা নেই। আছে ওআইসি। সুতরাং এ বিষয়ে কারোর কিছু করার দরকার নেই। পাশাপাশি ওআইসিই যেহেতু বিশ্ব স্বার্থ রক্ষায় কিছু করতে পারছেনা সুতরাং বিষয়টা ততবেশি জটিল ও দুষ্কর। এক্ষেত্রে বাস্তবতা হলো, চুপ থাকা মুসলিম বিশ্ব নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, ঝিমিয়ে পড়া ও ঘুমিয়ে থাকা। মূলত: এ ওআইসি দ্বারাই ইহুদীরা সক্রিয় সমন্বিত মুসলিম বিশ্ব ঐক্যকাঠামোকে একেবারেই নিষ্ক্রিয় ও নিস্তেজ করে রেখেছে। এটা ওদের বড় ধরনের সফল ষড়যন্ত্র। এ বিষয়টি বিশ্ব মুসলিম যত আগে ও যত বেশী বুঝবেন ততই তাদের জন্য ভালই ও কামিয়াবী।  মহান আল্লাহ পাক কবুল করুন ও গায়েবী মদদ করুন। (আমীন) -মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ,  ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ