ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৩

সংখ্যা: ১৭৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সেটাই হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন

من عظم ليلة مولده بما امكنه من التعظيم والاكرام كان من الفئزين بدار السلام.

কেউ যদি তার সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করে আল্লাহ পাক-এর হাবীবের বিলাদত শরীফ উপলক্ষ্যে তাহলে তার জন্য একমাত্র জায়ে ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত। সুবহানাল্লাহ।

কারণ, এখানে খুব ফিকির করতে হবে। আল্লাহ পাকতো বলে দিয়েছেন

فليفرحوا

ইসলাম দিলাম, তোমাদেরকে কুরআন শরীফ দিলাম, আমার হাবীবকে তোমাদের কাছে দিয়েছি এই কারণে তোমরা খুশি প্রকাশ কর। এখন সেই খুশিটাকে বলা হয় ঈদ। সেটাই আমরা বলেছি ঈদে আ’যম, ঈদে আকবার, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সমস্ত ঈদের ঈদ হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

কারণ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব যদি না আসতেন তাহলে অন্য কোন খুশি প্রকাশ করার সুযোগ মানুষ পেত না। কোন সুযোগ মানুষ পেত না। কাজেই, সেজন্যই সবাইকে সেদিন খুশি প্রকাশ করতে হবে।

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ দিয়েছেন ইবরত-নছীহত হাছিলের জন্য

ادع الى سبيل ربك بالحكمة والموعظة الحسنة.

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে, মানুষকে ডাক আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় হিকমতের সহিত, উত্তম নছীহতের দ্বারা।

হিকমত হচ্ছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর যে তর্জ-তরীক্বা এবং কুরআন শরীফে যে আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে মাওয়িযাতিল হাসানাহ।

কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফের মাধ্যম দিয়ে, আল্লাহ পাক-এর হাবীবের তর্জ-তরীক্বার মাধ্যম দিয়ে মানুষকে ডাক আল্লাহ পাক-এর রাস্তায়। আল্লাহ পাক স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।

প্রতি ক্ষেত্রেই আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীবের তর্জ-তরীক্বা রয়েছে, আদেশ নির্দেশ রয়েছে সে অনুযায়ী মানুষকে আল্লাহ পাক-এর দিকে ডাক।

قل هوا للذين امنوا هدى وشفاء.

আপনি বলুন তিনি হচ্ছেন খাছ করে ঈমানদারদের জন্য আর আমভাবে সকলের জন্য

هدى وشفاء.

হিদায়েত এবং শিফার কারণ। এখন এই হিদায়েত এবং শিফার কারণ এর অনেক অর্থ রয়েছে। কুরআন শরীফ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, ইসলাম অর্থাৎ আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব প্রত্যেকটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। যদি কুরআন শরীফ দিয়ে যদি কেউ হিদায়েত পেতে চায় সে কখনও পারবে না। অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব ব্যতীত অর্থাৎ হাদীছ শরীফ ব্যতীত।

কুরআন শরীফ বুঝিয়েছেন আল্লাহ পাক-এর হাবীব। আল্লাহ পাক-এর হাবীব ব্যতীত কুরআন শরীফ থেকে কেউ ইবরত হাছিল করতে পারবে না, নছীহত হাছিল করতে পারবে না। কাজেই কুরআন শরীফ তখন হাদী হবে যখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর সাথে তায়াল্লুক নিসবত হাছিল করবে। অন্যথায় গ্রীস চন্দ্র কুরআন শরীফ অনুবাদ করেছে, সে তো হিদায়েত লাভ করতে পারলো না। অনেক ইহুদী-নাছারা কুরআন শরীফ তরজমা করেছে, তারাতো হিদায়েত লাভ করতে পারেনি। কস্মিনকালেও পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর সাথে তায়াল্লুক এবং নিসবত স্থাপন না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা হিদায়েত লাভ করতে পারবে না।

هدى للناس

মানুষদের জন্য হিদায়েতের কারণ।

هدى للمتقين

কুরআন শরীফ মুত্তাক্বীনদের জন্য হিদায়েতের কারণ। এটা কখন হবে যখন সেটা আল্লাহ পাক-এর হাবীবের সাথে তায়াল্লুক হবে তখনই তার জন্য এটা হিদায়েতের কারণ হবে। অন্যথায় হাজার বছর, কোটি বৎসরও যদি কেউ কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে কোনদিনও কস্মিনকালেও সে হিদায়েত লাভ করতে পারবে না।

কাজেই, আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে ব্যতীত হিদায়েত লাভ করা সম্ভব নয়। ইছলাহ হাছিল করাও সম্ভব নয়। কুরআন শরীফ বুঝা সম্ভব নয়। ইসলাম গ্রহণ করা সম্ভব নয়। মুসলমান হওয়াও সম্ভব নয়।

কাজেই, সেটাই আল্লাহ পাক বলে দিয়েছেন, আল্লাহ পাক যা তোমাদেরকে দিয়েছেন ঈমান, ইসলাম, কুরআন শরীফ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব যা নিয়ে এসেছেন। এ সমস্ত কারণে তোমরা খুশি প্রকাশ কর।

কাজেই, মুল হচ্ছেন আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ। আল্লাহ পাক-এর হাবীব ব্যতীত মানুষ কুরআন শরীফ বুঝবে না, ঈমান বুঝবে না, আল্লাহ পাককেও বুঝবে না। কাজেই, আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে বুঝলে সে সব বুঝতে পারবে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্য তোমরা খুশি প্রকাশ কর, তা’যীম-তাকরীম কর, ইজ্জত-সম্মান কর তাহলে তোমাদের জন্য কামিয়াবী রয়েছে।

আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্য তোমরা খুশি প্রকাশ কর, তা’যীম-তাকরীম কর, ইজ্জত-সম্মান কর তাহলে তোমাদের জন্য কামিয়াবী রয়েছে। আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একদিক থেকে রহমত বলেছেন যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হচ্ছেন রহমত,

وما ارسلنك الا رحمة للعلمين.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব সকলের জন্যই রহমত স্বরূপ, সমস্ত কায়িনাতের জন্য একমাত্র আল্লাহ পাক ব্যতীত। সমস্ত কায়িনাতের জন্য আল্লাহ পাক-এর হাবীব হচ্ছেন রহমত স্বরূপ। (সুবহানাল্লাহ)

আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর এই রহমতের কারণে যদি কেউ সন্তুষ্টি প্রকাশ না করতে পারে তাহলে সে কি করে ঈমানদার দাবি করতে পারে? এটা যে কোন আক্বলমন্দের জন্য ইশরাই যথেষ্ট।

কারণ যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর এই ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা জায়িয নেই। (নাউযুবিল্লাহ)। তারা কাট্টা কাফির হবে, মুশরিক হবে। তারা কখনও ঈমানদার দাবী করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর আগমন উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করা যেহেতু এটা ফরয করে দেয়া হয়েছে। আদেশ করা হয়েছে সরাসরি। কাজেই, তাকে সেটা যথাযথ তামীল করতে হবে। এখন সেই আদেশ তামীল করে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্য খুশি প্রকাশ করলে ফযীলত পাওয়া যায়। এখন কতটুকু ফযীলত পাওয়া যাবে? আমাদের দেশে-বিদেশে কিছু লোক রয়েছে যারা আশাদ্দুদ দরজার জাহিল এবং যাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও তারা পূর্বে ঈমানদার থেকেও থাকে এখন তারা ঈমান থেকে খারিজ হয়ে গেছে। এরা কিছু কিছু এলোমেলো কথা বলে থাকে। একে তো তারা বলে থাকে, শরীয়তে দু’ঈদ ছাড়া কোন ঈদ নেই। যেটা আমরা প্রমাণ করেছি শরীয়তে অনেক ঈদ রয়েছে। এরপরও তারা বলে থাকে। আমরা যেটা মেছাল দিয়ে থাকি। যে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমন উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলে ফযীলত পাওয়া যাবে। কতটুকু ফযীলত রয়েছে, যা সে লাভ করবে।? এ প্রসঙ্গে আমরা বর্ণনা করে থাকি। যেটা বুখারী শরীফে রয়েছে, ফতহুল বারীতে রয়েছে, উমদাতুল ক্বারীতে রয়েছে, বিশ্বখ্যাত কিতাব হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি মা ছাবাতা বিস্ সুন্নাহতে রয়েছে, আবূ লাহাবের ওয়াকিয়া। আবু লাহাবের যে ঘটনা সেটা বর্ণিত রয়েছে। যে, আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে কি বললেন

فاصدع بما تؤمر.

হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে সেটা আপনি জানিয়ে দিন। কোথায় জানাবেন? কাদেরকে জানাবেন? প্রথম

انذر عشير تك الاقربين.

প্রথম আপনার যারা আত্মীয়-স্বজন রয়েছে, জ্ঞাতী-গোষ্ঠী, কুরাইশবাসী তাদেরকে বলুন। এখন তাদের বলার জন্য আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি করলেন?  সমস্ত কুরাইশবাসীকে সাফা পাহাড়ের কাছে জমা করলেন। জমা করে বললেন, হে কুরাইশাবাসী! তোমরা কি আমাকে বিশ্বাস কর? সকলেই বললো আমরা তো বিশ্বাস করি। আপনিতো আল-আমীন। জীবনে কখনও মিথ্যা বলেননি। চরম সত্যবাদী। এতো সত্যবাদী এরকম হওয়া সম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই আপনাকে বিশ্বাস করি। তখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন, আমি যদি বলি এই পাহাড়ের অপর দিকে তোমাদের শত্রু সৈন্য রয়েছে তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবে তোমরা কি বিশ্বাস কর? সকলেই বললো যে, আমরা বিশ্বাস করি। যেহেতু আপনিতো মিথ্যা বলেন না। তখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন, তাহলে এক কাজ কর, তোমরা আল্লাহ পাককে মেনে নাও এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হিসেবে নবী এবং রসূল হিসেবে আল্লাহ পাক-এর হাবীব মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মেনে নাও। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৯

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১০

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আ’লম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১২

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৩