ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-২৭

সংখ্যা: ১২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

আহ্কাম- হাদীছ শরীফে এসেছে,

عن ابن عمر رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان المراة عورة فاذا خرجت من بيتها استشرفها الشيطان وانها لاتكون اقرب الى الله منها فى قعر بيتها.

“হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রিওয়ায়েত রয়েছে যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে, যারা মহিলা রয়েছে, মেয়ে রয়েছে তারা পর্দা অবস্থায় থাকবে, المراة عورة তারা আবৃত থাকবে, পর্দা অবস্থায় থাকবে।”

فاذا خرجت من بيتها استشرفها الشيطان.

‘যখন কোন মেয়ে বা মহিলা ঘর থেকে বের হয়, শয়তান উঁকি ঝু্ঁিক দিতে থাকে’ কি করে তার মাধ্যমে পাপ কাজ করানো যায়, সে জন্যেই বলা হয়েছে,

وانها لاتكون اقرب الى الله منها فى قعر بيتها.

‘একজন মহিলা বা একজন মেয়ে তার ঘরে থেকে যতটুকু আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে, ঘর থেকে সে বিনা প্রয়োজনে ঘুরে বেড়ালে বা এদিক সেদিক চলাচল করলে তার পক্ষে ততটুকু আল্লাহ্ পাক-এর নৈকট্য বা সন্তুষ্টি বা আল্লাহ্ পাক-এর মুহব্বত, মা’রিফত হাছিল করা সম্ভব নয়।’ কাজেই কোন মহিলার জন্য বিনা জরুরতে, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়াও এক প্রকার বেপর্দারই শামিল।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়,

عن على رضى الله تعالى عنه انه كان عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اى شيئ خير للمرأة او خير للنساء فسكتوا قال فلما رجعت قلت لفاطمة اى شئ خير للمراة قالت لا يرين الرجال ولايرونهن فذكرت ذالك للنبى صلى الله عليه وسلم قال فاطمة بضعة منى.

“হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একদিন যারা বিশিষ্ট ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তাঁরা সকলেই বসেছিলেন, হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও বসা ছিলেন,

عند رسول الله صلى الله عليه وسلم

‘আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটে।’ তখন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন,

اى شيئ خير للمرأة او خير للنساء.

‘হে আমার ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! মেয়েদের বাঞ্জমহিলাদের জন্য কোন কাজটা সব চাইতে উত্তম, কোন আমলটা সবচাইতে উত্তম?’ فسكتوا ‘সকলেই চুপ করে বসে রইলেন।’ কেউ কোন জবাব দিলেন না। قال فلما رجعت ‘হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি সেখান থেকে ফিরে আসলাম আমার বাড়িতে।’ قلت لفاطمة ‘হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম’, اى شيئ خير للمرأة ‘হে হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা! মেয়েদের জন্য কোন জিনিসটা উত্তম?’ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করেছেন, মেয়েদের জন্য কোন জিনিসটা সবচাইতে উত্তম? তিনি বললেন, মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে,

لايرين الرجال ولايرونهن.

‘কোন পুরুষ মহিলাকে দেখবে না এবং কোন পুরুষকে সে মহিলাও দেখবেনা।’ (সুবহানাল্লাহ্)

فذكرت ذالك لنبى صلى الله عليه وسلم

‘হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আমি বিষয়টা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে পেশ করলাম, আলোচনা করলাম যে, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেছেন, মেয়েদের জন্য ঐ আমলটাই সবচাইতে উত্তম যে, কোন পুরুষ তাকে দেখবে না এবং কোন পুরুষকেও সে দেখবে না।’

অন্য এক রিওয়ায়েতে এসেছে,

لاترى رجلا ولايرها رجل.

কোন পুরুষ তাকে দেখবে না এবং কোন পুরুষকেও সে মহিলা দেখবেনা।’

قال النبى صلى الله عليه وسلم.

‘সেটা শুনে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন,’ فاطمة بضعة منى. ‘হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা আমার কলিজার টুকরা।’ কাজেই আমার যে জবাব উনি সেটাই দিয়েছেন।’ (সুবহানাল্লাহ)

কারণ মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম আমল হচ্ছে, কোন পুরুষকে সে দেখবেনা, কোন পুরুষও তাকে দেখবেনা।

এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাওয়ানে’ উমরীতে উল্লেখ রয়েছে, উনার পিতা হযরত আবূ ছালেহ মুসা জঙ্গি দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার মাতা হযরত উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা। উনাদের সাওয়ানে’ উমরীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উনারা কতটুকু আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ-নির্দেশ পালন করেছেন। পুরুষের জন্য

طلب كسب الحلال فريضة بعد الفريضة

 ‘অন্যান্য ফরযের পর পুরুষের জন্য হালাল কামাই করা ফরয।’ আর মেয়েদের জন্য

وللنساء الحجاب فريضة مع الفريضة.

 ‘মেয়েদের জন্য হচ্ছে, অন্যান্য ফরযের সাথে পর্দা করা ফরয।’

এ দু’টি আমল বাস্তবায়িত হয়েছে গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পিতা এবং মাতা উভয়ের মাধ্যম দিয়ে। আল্লাহ্ পাক একটা নিদর্শন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উনাদের মাধ্যম দিয়ে। গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পিতা যিনি জঙ্গি দোস্ত ছিলেন অর্থাৎ যুদ্ধ প্রিয়, যুদ্ধ করতে করতে এক এলাকায় চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করতে ছিলেন, হাতে কোন টাকা-পয়সা ছিলনা। দজলা নদীর তীর দিয়ে হেঁটে আসতে ছিলেন। তিন দিন ধরে না খাওয়া। হাতে টাকা-পয়সা নেই, হোটেল রেস্তোরা নেই, খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী কারও কোন দেখা-সাক্ষাত নেই। ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির, হঠাৎ লক্ষ্য করলেন, দজলা নদী দিয়ে একটা আপেল ফল ভেসে যাচ্ছে, সেটা দেখে ক্ষুধার তাড়নায় ফলটি পানি থেকে তুলে খেয়ে ফেললেন, খাওয়ার পর উনি কোন রকমেই, কোন প্রকারেই ইতমিনান লাভ করতে পারছিলেন না। অস্থিরতায় ভুগছিলেন। সেভাবেই রাত্র কাটালেন। (অসমাপ্ত)

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুযযামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়িজীন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, ছাহিবে সুলতানিন্ নাছীর, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম- ২৮

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (৩০)

ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-২৯

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যূমুযযামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, ছহিবু সুলতানিন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ,  হাবীবুল্লাহ্, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর  ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৩০

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যূমুয ্যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, ছহিবু সুলতানিন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ,  হাবীবুল্লাহ্, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর  ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৩১