-মুহম্মদ সাদী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান
উনার সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, নূরে মুকাররাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম নিখুঁতভাবে যিন্দা ও বাস্তবায়ন হবে, তা উনাকে পূর্বেই অবহিত করা হয়েছে। মুবারক সমগ্র জীবনব্যাপী সে কাজের হাক্বীক্বী আঞ্জাম দিতে পারায়, অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশানুযায়ী সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত সুন্নত অনুসরণে মুবারক পিতৃ মমতায় যোগ্য করে তুলতে পারায় তিনি (সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম) পরম ইতমিনান। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে যখন তিনি লক্ষ্য করেন উনার সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার দূর্বার তাজদীদ, অমিয় হিদায়েত, নছীহত, বিস্ময়কর রো’ব ও অতুলনীয় রূহানী কুওওয়াতে সমগ্র বিশ্ব পরিসরে সম্মানিত ইসলাম উনার হাক্বীক্বী আবাদের অনুকূল ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে, মুসলমান উনাদের ঈমান, আক্বীদা ও আমল বিশুদ্ধ হচ্ছে, মানুষ সম্মানিত সুন্নত পালনে অভ্যস্ত হচ্ছে, বিদয়াত-বেশরা ক্রমান্বয়ে অপসারিত হচ্ছে, মুসলমান উনাদের হীনম্মন্যতা দূরীভূত হচ্ছে, আত্মজাগরণ ঘটছে এবং জগৎব্যাপী কাফির-মুশরিকরা নিপাত হচ্ছে, তখন অপার আনন্দ-ইতমিনানে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দু’চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। সুবহানাল্লাহ!
আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও উনার পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে পবিত্রতম মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশকালে পবিত্রতম ওহী মুবারক উনার পূর্ণতম তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে বিদয়াত-বেশরা ও কুফরীর অবসানে যমীনে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার হাক্বীক্বী বাস্তবায়ন দেখে যে পরম পরিতৃপ্তি ও অতুলনীয় ইতমিনান লাভ করেছেন, তার গুরুত্ব ও গভীরতার পরিমাণ ও পরিধি কুল কায়িনাতবাসীর অজানা। সুবহানাল্লাহ!
প্রকৃত যা বিষয় তা হলো, যে সূক্ষ্মদর্শী মাহবুব ওলীআল্লাহ খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য, ওলীত্ব ও বন্ধুত্ব হাছিল করেছেন, তিনি ইহকালে, পরকালে এবং সর্বাবস্থায় পরম ইতমিনানে থাকেন। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি কুল-কায়িনাতবাসীকে সতর্ক ও সাবধান করে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন:
الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولاهم يحزنون
অর্থ: “সাবধান! নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী, উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা ও পেরেশানী নেই” (পবিত্র সূরা- ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৬২)
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব হিসেবে ইহকালে পরিপূর্ণ কামিয়াবীর সাথে চিন্তা ও পেরেশানী বিমুক্ত নির্ভয় জীবন মুবারক নির্বাহ করেছেন। পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি তিনি পরম ইতমিনান ও সীমাহীন কল্যাণময় মুবারক জীবন অতিবাহিত করেছেন। অর্থাৎ কোনো প্রকার অকল্যাণই উনাকে স্পর্শ করতে পারেনি। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৬ -মুহম্মদ সাদী