অনুসন্ধান
আর্কাইভ
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৩
সংখ্যা: ১৭২তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/
অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কী এমন বিশেষ হাদিয়া (নিয়ামত) দেয়া হবে, তা জান্তে ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, আশিকে ইলাহী, আশিকে রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সবিনয় জিজ্ঞাসাঃ “হে নায়িবে রসূল ফিল্ হিন্দ, মুঈনুল মিল্লাত, সুল্তানুল আরিফীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি! “যে হাদিয়া (নিয়ামত)-এর জন্য আমাকে আসতে বলেছেন, দয়াকরে তা জানাবেন কী?” জানানো হলোঃ “হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনাকে দেয়ার জন্য যে নিয়ামত-সমৃদ্ধ হাদিয়া আমার কাছে গচ্ছিত রয়েছে, তা একখানা “মুবারক পাগড়ী।”
বলা হলো: “এ মুবারক হাদিয়া আপনার মুজাদ্দিদে আ’যম (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) পুত্রের জন্য। আমি আদিষ্ট হয়ে এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার হাত মুবারকে অর্পণ করছি। আপনি সময়মতোই এসেছেন।”
এ কথা শুনে আশিকে ইলাহী, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুবারক দু’চোখ বেয়ে অশ্রু নামে। এ অশ্রু অনাবিল প্রশান্তির, অনির্বচনীয় ইত্মিনানের। প্রত্যেক পিতাই তার সন্তানের যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত। বিশেষ ব্যতিক্রম না ঘটলে সন্তান পিতার গুণ-বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল বুযূর্গ পিতা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পাঁচ পুত্র সন্তানের যোগ্যতা ও অবস্থান সম্পর্কে সম্যক অবহিত। কোন্ সন্তানের জন্য এ “মুবারক পাগড়ী” তা’ তিনি জেনে ফেলেছেন। তবুও সবিনয়ে জান্তে চাইলেন: “হে আল্লাহ পাক-এর খাছ্ লক্ষ্যস্থল, সুল্তানুল হিন্দ, দলীলুল আরিফীন, ছাহিবে কুন্ ফাইয়াকুন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আমার কোন্ সন্তানের জন্য?”
জানানো হলো: “হে মুজাদ্দিদে আ’যম-এর সম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার তৃতীয় পুত্র সন্তান, আজওয়াদুন্ নাস, খইরুল উম্মাত, খাইরুল বারিয়্যাহ, আতকান্ নাস, মাখ্যানুল মা’রিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন, ফক্বীহুল উম্মাত, মুহাক্বিকে যামান, হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিক্বীন, আফ্যালুল আউলিয়া, হাকিমুল ইসলাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল উলিল আর্ম, আশরাফুল আউলিয়া, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহ, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্তানুল আরিফীন, নূরে মুর্কারম, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুল্তানিন্ নাছীর, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুল আ’যম, কাইয়্যূমুয্ যামান, ইমামুল আইম্মাহ্, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, জামিউল আল্ক্বাব, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, মুর্শিদে মুকাম্মিল, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল্ হুসাইনী ওয়াল্ কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জন্য।”
“আপনার মুবারক সন্তান আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদে আ’যম। অতি শ্রীঘ্রই তাঁর প্রভাব ও সুখ্যাতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। তাঁর অকুতোভয় তাজদিদে বাতিল পর্যুদস্ত হবে। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদী-নাছারাসহ সকল বিধর্মীদের নেপথ্য কূটকৌশলের মূলোৎপাটন হবে এবং তাঁরা পরাভূত হবে। দুনিয়াদার আলিমদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে বিদ্য়াত ও বেশরা এবং অনৈসলামিক সকল নিয়ম-নীতি ও কার্যকলাপ বিদূরিত হবে। অগণিত মানুষ হক্ব মত ও পথে অধিষ্ঠিত হবে। আপন স্বকীয়তা ও মহিমায় ইসলাম ধর্ম আরেকবার যিন্দা হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যাবতীয় সুন্নত অনুসরণে তিনি যমীনে আল্লাহ পাক-এর মনোনীত ইসলাম ধর্মের আবাদ করবেন। কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুশাসনে তাঁর অমিয় বাণী এবং ধারণাতীত তাজদিদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে দুনিয়ার অগণিত জনপদের লক্ষ্যভ্রষ্ট অসংখ্য মানুষ ছহীহ্ ও বিশুদ্ধ ঈমান, আক্বীদা ও আমলে হাক্বীক্বী ইসলাম ধর্ম পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।” (চলবে)
আরও পড়ুন:
কপিরাইট © ১৪৩৬ হিজরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আর্কাইভ
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৩
সংখ্যা: ১৭২তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/
অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কী এমন বিশেষ হাদিয়া (নিয়ামত) দেয়া হবে, তা জান্তে ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, আশিকে ইলাহী, আশিকে রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সবিনয় জিজ্ঞাসাঃ “হে নায়িবে রসূল ফিল্ হিন্দ, মুঈনুল মিল্লাত, সুল্তানুল আরিফীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি! “যে হাদিয়া (নিয়ামত)-এর জন্য আমাকে আসতে বলেছেন, দয়াকরে তা জানাবেন কী?” জানানো হলোঃ “হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনাকে দেয়ার জন্য যে নিয়ামত-সমৃদ্ধ হাদিয়া আমার কাছে গচ্ছিত রয়েছে, তা একখানা “মুবারক পাগড়ী।”
বলা হলো: “এ মুবারক হাদিয়া আপনার মুজাদ্দিদে আ’যম (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) পুত্রের জন্য। আমি আদিষ্ট হয়ে এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার হাত মুবারকে অর্পণ করছি। আপনি সময়মতোই এসেছেন।”
এ কথা শুনে আশিকে ইলাহী, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুবারক দু’চোখ বেয়ে অশ্রু নামে। এ অশ্রু অনাবিল প্রশান্তির, অনির্বচনীয় ইত্মিনানের। প্রত্যেক পিতাই তার সন্তানের যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত। বিশেষ ব্যতিক্রম না ঘটলে সন্তান পিতার গুণ-বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল বুযূর্গ পিতা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পাঁচ পুত্র সন্তানের যোগ্যতা ও অবস্থান সম্পর্কে সম্যক অবহিত। কোন্ সন্তানের জন্য এ “মুবারক পাগড়ী” তা’ তিনি জেনে ফেলেছেন। তবুও সবিনয়ে জান্তে চাইলেন: “হে আল্লাহ পাক-এর খাছ্ লক্ষ্যস্থল, সুল্তানুল হিন্দ, দলীলুল আরিফীন, ছাহিবে কুন্ ফাইয়াকুন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আমার কোন্ সন্তানের জন্য?”
জানানো হলো: “হে মুজাদ্দিদে আ’যম-এর সম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার তৃতীয় পুত্র সন্তান, আজওয়াদুন্ নাস, খইরুল উম্মাত, খাইরুল বারিয়্যাহ, আতকান্ নাস, মাখ্যানুল মা’রিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন, ফক্বীহুল উম্মাত, মুহাক্বিকে যামান, হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিক্বীন, আফ্যালুল আউলিয়া, হাকিমুল ইসলাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল উলিল আর্ম, আশরাফুল আউলিয়া, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহ, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্তানুল আরিফীন, নূরে মুর্কারম, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুল্তানিন্ নাছীর, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুল আ’যম, কাইয়্যূমুয্ যামান, ইমামুল আইম্মাহ্, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, জামিউল আল্ক্বাব, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, মুর্শিদে মুকাম্মিল, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল্ হুসাইনী ওয়াল্ কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জন্য।”
“আপনার মুবারক সন্তান আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদে আ’যম। অতি শ্রীঘ্রই তাঁর প্রভাব ও সুখ্যাতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। তাঁর অকুতোভয় তাজদিদে বাতিল পর্যুদস্ত হবে। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদী-নাছারাসহ সকল বিধর্মীদের নেপথ্য কূটকৌশলের মূলোৎপাটন হবে এবং তাঁরা পরাভূত হবে। দুনিয়াদার আলিমদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে বিদ্য়াত ও বেশরা এবং অনৈসলামিক সকল নিয়ম-নীতি ও কার্যকলাপ বিদূরিত হবে। অগণিত মানুষ হক্ব মত ও পথে অধিষ্ঠিত হবে। আপন স্বকীয়তা ও মহিমায় ইসলাম ধর্ম আরেকবার যিন্দা হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যাবতীয় সুন্নত অনুসরণে তিনি যমীনে আল্লাহ পাক-এর মনোনীত ইসলাম ধর্মের আবাদ করবেন। কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুশাসনে তাঁর অমিয় বাণী এবং ধারণাতীত তাজদিদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে দুনিয়ার অগণিত জনপদের লক্ষ্যভ্রষ্ট অসংখ্য মানুষ ছহীহ্ ও বিশুদ্ধ ঈমান, আক্বীদা ও আমলে হাক্বীক্বী ইসলাম ধর্ম পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।” (চলবে)
আরও পড়ুন:
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৩
সংখ্যা: ১৭২তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/
অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কী এমন বিশেষ হাদিয়া (নিয়ামত) দেয়া হবে, তা জান্তে ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, আশিকে ইলাহী, আশিকে রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সবিনয় জিজ্ঞাসাঃ “হে নায়িবে রসূল ফিল্ হিন্দ, মুঈনুল মিল্লাত, সুল্তানুল আরিফীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি! “যে হাদিয়া (নিয়ামত)-এর জন্য আমাকে আসতে বলেছেন, দয়াকরে তা জানাবেন কী?” জানানো হলোঃ “হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনাকে দেয়ার জন্য যে নিয়ামত-সমৃদ্ধ হাদিয়া আমার কাছে গচ্ছিত রয়েছে, তা একখানা “মুবারক পাগড়ী।”
বলা হলো: “এ মুবারক হাদিয়া আপনার মুজাদ্দিদে আ’যম (মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) পুত্রের জন্য। আমি আদিষ্ট হয়ে এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার হাত মুবারকে অর্পণ করছি। আপনি সময়মতোই এসেছেন।”
এ কথা শুনে আশিকে ইলাহী, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুবারক দু’চোখ বেয়ে অশ্রু নামে। এ অশ্রু অনাবিল প্রশান্তির, অনির্বচনীয় ইত্মিনানের। প্রত্যেক পিতাই তার সন্তানের যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত। বিশেষ ব্যতিক্রম না ঘটলে সন্তান পিতার গুণ-বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল বুযূর্গ পিতা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পাঁচ পুত্র সন্তানের যোগ্যতা ও অবস্থান সম্পর্কে সম্যক অবহিত। কোন্ সন্তানের জন্য এ “মুবারক পাগড়ী” তা’ তিনি জেনে ফেলেছেন। তবুও সবিনয়ে জান্তে চাইলেন: “হে আল্লাহ পাক-এর খাছ্ লক্ষ্যস্থল, সুল্তানুল হিন্দ, দলীলুল আরিফীন, ছাহিবে কুন্ ফাইয়াকুন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আমার কোন্ সন্তানের জন্য?”
জানানো হলো: “হে মুজাদ্দিদে আ’যম-এর সম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ “পাগড়ী মুবারক” আপনার তৃতীয় পুত্র সন্তান, আজওয়াদুন্ নাস, খইরুল উম্মাত, খাইরুল বারিয়্যাহ, আতকান্ নাস, মাখ্যানুল মা’রিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন, ফক্বীহুল উম্মাত, মুহাক্বিকে যামান, হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিক্বীন, আফ্যালুল আউলিয়া, হাকিমুল ইসলাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল উলিল আর্ম, আশরাফুল আউলিয়া, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহ, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্তানুল আরিফীন, নূরে মুর্কারম, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুল্তানিন্ নাছীর, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুল আ’যম, কাইয়্যূমুয্ যামান, ইমামুল আইম্মাহ্, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, জামিউল আল্ক্বাব, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, মুর্শিদে মুকাম্মিল, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল্ হুসাইনী ওয়াল্ কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জন্য।”
“আপনার মুবারক সন্তান আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদে আ’যম। অতি শ্রীঘ্রই তাঁর প্রভাব ও সুখ্যাতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। তাঁর অকুতোভয় তাজদিদে বাতিল পর্যুদস্ত হবে। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদী-নাছারাসহ সকল বিধর্মীদের নেপথ্য কূটকৌশলের মূলোৎপাটন হবে এবং তাঁরা পরাভূত হবে। দুনিয়াদার আলিমদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে বিদ্য়াত ও বেশরা এবং অনৈসলামিক সকল নিয়ম-নীতি ও কার্যকলাপ বিদূরিত হবে। অগণিত মানুষ হক্ব মত ও পথে অধিষ্ঠিত হবে। আপন স্বকীয়তা ও মহিমায় ইসলাম ধর্ম আরেকবার যিন্দা হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যাবতীয় সুন্নত অনুসরণে তিনি যমীনে আল্লাহ পাক-এর মনোনীত ইসলাম ধর্মের আবাদ করবেন। কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুশাসনে তাঁর অমিয় বাণী এবং ধারণাতীত তাজদিদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে দুনিয়ার অগণিত জনপদের লক্ষ্যভ্রষ্ট অসংখ্য মানুষ ছহীহ্ ও বিশুদ্ধ ঈমান, আক্বীদা ও আমলে হাক্বীক্বী ইসলাম ধর্ম পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।” (চলবে)