–মুহম্মদ সাদী
রউফুর রহীম, রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর সঙ্গে একই বিষয়ে একই সময়ে পিতা-পুত্রের সাক্ষাৎ ও নিয়ামত লাভ
মহান আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লক্ষ্যস্থল ওলীয়ে মাদারজাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুবারক ওসীলায় তাঁর ওলীয়ে মাদারজাদ পিতা এবং তাঁর সুল্ত্বানুল আরিফীন মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অন্তর মুবারক আজ অভিন্ন নিয়ামতে ভরপুর। যে পরম নিয়ামত হাছিলের লক্ষ্যে অনুক্ষণের আগ্রহ ও অপেক্ষা, সে নিয়ামত আজ রফিকু ছাহিবিল কুদরত, নবীয়ে আক্বদাস, ছাহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইহ্সানে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মাধ্যমে বন্টিত হলো।
তাইতো তাঁর প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর মুবারক জীবদ্দশায় অনেকবার উচ্চারণ করেছেনঃ “আমার কলিজার টুকরা, নয়নের মণি, আল্লাহ পাক এবং হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লক্ষ্যস্থল, রাজারবাগ শরীফের ‘শাহ্ ছাহিব’ আমাকে ছাড়িয়ে অনেক উপরের মাক্বামে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আমার ইন্তিকালের পর মহান আল্লাহ পাক যদি জানতে চান, “আপনাকে তো নিয়ামত সমৃদ্ধ করেছিলাম অপরিমেয় বুযূর্গী, কামিয়াবী এবং আমার সন্তুষ্টি দান করেছিলাম, বিনিময়ে আমার জন্য কী নিয়ে এসেছেন?” জবাবে আমি যা জানাবো তা হলোঃ “আয় আল্লাহ পাক! আপনার এবং আপনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লক্ষ্যস্থল, আমার প্রধান খলীফা, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে নিয়ে এসেছি। আল্লাহ পাক আপনি খুশী হননি?” (সুবহানাল্লাহ)
কে বলে নিজ অবস্থান ও অধিষ্ঠান জানা যায় না? আর কে বলে আপন কামিয়াবীর সোপান এবং তা’ উত্তরণের অগ্রগামিতা কেবলই অজ্ঞাত থাকে? ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, মুত্তালা আলাল গইব, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাঁর প্রিয়তম কাউকে এসবের সংবাদ দান করেন, তখন আর কোন কিছুই অজানা ও অজ্ঞাত থাকেনা। এমন মুবারক সংবাদই তিনি জানিয়েছেন ওলীয়ে মাদারজাদ, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে। অনুভবের অতল গভীরে ঠাঁই পাওয়া এই ইত্মিনান (প্রশান্তি) যেমন বুযূর্গ পিতা-পুত্রের জন্য স্থায়ী নিয়ামত হিসেবে ধার্য, তেমনি যাত্রাবাড়ীর মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জন্যও। অনেক আলাপন এবং অনেক নীরবতা পালন শেষে দুপুরের খাবার সময় হলো। এক সঙ্গে খেয়ে হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি সেদিন যাত্রাবাড়ী ফিরে গেলেন।
হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মুফাস্সিরে কুরআন ছিলেন। তিনি ছিলেন বাহরুল উলূম, শাইখুল আসাতিযা। কামিয়াবীর শীর্ষ সোপানে এবং নিগূঢ় নৈকট্য ধাপে তিনি ছিলেন আল্লাহ পাক এবং আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লক্ষ্যস্থল। আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় দুনিয়ায় ইসলাম ধর্মের আবাদে, সুন্নত পালনে মানুষকে অভ্যস্ত করে তোলায় এবং মানুষের মন ও মননে ইল্মে তাছাউফের আলো প্রজ্বলনে তাঁর অবদান অসামান্য।
মুবারক জীবনের মূল্যবান সময়গুলো তিনি অবিরাম ব্যয় করেছেন মানুষের হিদায়েতে এবং ইসলাম ধর্মের অনুশাসনে পল্কিলতামুক্ত সমাজ বিনির্মাণে। তাঁর মুবারক ছোহ্বত ও ফয়েজের অথৈ দরিয়া সাধ্যমতো অবগাহনে অনেক মানুষ ওলীত্বে বরণীয় হয়েছেন। এই কালজয়ী মহান ওলী আল্লাহ ইল্মে জাহির ও ইলমে বাতিনের (ইল্মে তাছাউফ)-এর উজ্জ্বল নক্ষত্র, ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুল আলম, সুলত্বানুল আরিফীন, শাইখুত্ তরীক্বত, গাউছে যামান, হযরতুল আল্লামা, শাহ, ছূফী আবু নজম মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বাইয়াত এবং তাঁর প্রধান খলীফা ছিলেন।
(অসমাপ্ত)