–মুহম্মদ সাদী
রউফুর রহীম, রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সঙ্গে একই বিষয়ে একই সময়ে পিতা-পুত্রের সাক্ষাৎ ও নিয়ামত লাভ
পুত্রের কামিয়াবী ও অবাধ অগ্রযাত্রায় কোন পিতারই আনন্দ রাখার স্থান সংকুলান হয়না। মহান আল্লাহ পাক-এর উদ্দিষ্ট পন্থা এবং খাজিনার্তু রহমত, রউফুম্ বিল মু’মিনীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদয় ইহ্সানে প্রিয়তম আওলাদ মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর লব্ধ নিয়ামত-সমৃদ্ধতায় বুযূর্গ পিতার ইত্মিনান আজ অপরিসীম। মন ও মননে ঠাঁই পাওয়া অতলান্ত ইত্মিনানে কামিয়াবীর নবতর অগ্রযাত্রায় শুধু নিজেকে আবিস্কারের অনাবিল প্রত্যাশায় পুত্রের কাছে জানতে চাওয়াঃ “গত রাতে আপনি কী কোন স্বপ্ন দেখেছেন?”
ওলীয়ে মাদারজাদ পিতার এমন প্রশ্নের জাওয়াবে ওলীয়ে মাদারজাদ পুত্রের পিতার চেহারা মুবারকের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধতায় ক্ষণকাল নির্বাক হয়ে থাকা। ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, হাদিয়ে মিল্লাত, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী জানেন যে, তাঁর সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত গত রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
প্রচ্ছন্ন জাওয়াব- সংশ্লিষ্ট এমন প্রশ্নে প্রিয়তম পুত্রের কেবল মনে হয়, আল্লাহ পাক-এর অপার রহমত এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদয় ইহ্সানে পরিপূর্ণরূপে কামিয়াব ওলীআল্লাহগণের কেউ কেউ কখনো কখনো অনেক বুযূর্গকে এবং কখনো কখনো সকলকে ছাড়িয়ে যান। ক্রমবর্ধিষ্ণুরূপে তাঁদের কামিয়াবীর উত্তরণ ঘটতে থাকে। এমন কামিয়াব পুত্র তাঁর বুযূর্গ পিতাকেও কী ছাড়িয়ে যান?
প্রশ্ন-ভাবনায় বিহ্বল পুত্রের মনে হয়ঃ ‘না’, পুত্র কখনো তাঁর পিতাকে ছাড়িয়ে যান্না। পুত্রের মাঝে কেবল বিপুল আয়োজনে পিতার নবতর সংস্করন ঘটে। অর্থাৎ, পুত্রের মাঝে পিতার পূর্ণতালাভ হয়। মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
প্রেক্ষিত ভাবনায় আবিষ্ট মুবারক পুত্র সাইয়্যিদু উলিল আর্ম, মাখ্যানুল মা’রিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন মুদ্দা জিল্লুহুল আলী পরম শ্রদ্ধা ও আদবে অবনত মস্তকে তাঁর সম্মানিত পিতার প্রশ্নের জাওয়াব দেনঃ “আব্বা হুযূর! গত রাতে স্বপ্নে আপনি যা’ দেখেছেন, আমিও তাই দেখেছি। যুগপৎ আমরা দু’জনেই তো ছাহিবুল ওয়াসীলাহ, ছাহিবুল ফাদ্বীলাহ, সরওয়ায়ে কাওনাইন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিগূঢ় নৈকট্য সংযোগে নিয়ামত লাভ করেছি।” পিতা-পুত্র উভয়েই একই সময়ে একই স্থানে একই বিষয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং নিয়ামতলাভে ধন্য। স্বপ্ন বিবরণের বিশদ ব্যাখ্যা এবং ভাব বিনিময়ের দুর্লভ মুহূর্তে ওলীয়ে মাদারজাদ পুত্র এবং ওলীয়ে মাদারজাদ পিতার অন্তর মুবারকে উন্মেষিত অনুপম ইত্মিনানের হিল্লোল সম্প্রসারিত হয় দলীলে কা’বায়ে মাক্বছুদ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত ও মা’রিফাতের অতলান্ত দরিয়ার অথৈ নাগাল পর্যন্ত।
(অসমাপ্ত)