-মুহম্মদ সাদী
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে রয়েছেন আফদ্বালুন্ নাস্ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং মাশহুর চার তরীক্বার চার জন ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম। কদমবুছী শেষে অবনত মস্তকে এক পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। খাজিনার্তু রহমত, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একান্ত সান্নিধ্যে আনত দৃষ্টি এবং বিনম্র আদবে নির্বাক দাঁড়িয়ে গেলেন এবং রসূলু রব্বিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কদমবুছী করলেন, তাঁর প্রিয়তম আওলাদ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।
আফদ্বালুন্ নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং চার তরীক্বার ইমামগণ (রহমতুল্লাহি আলাইহিম) সমভিব্যাহারে ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক আগমনে মাদারজাদ ওলী, মুজাদ্দিদুল আ’যম, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আলয় আলোকিত হয়েছে অপরূপ আভায়। অতুলনীয় সুবাস ছড়িয়েছে ঘরময়। এমন মনমুগ্ধকর পরিবেশে অজান্তেই পিতা-পুত্রের মুখের কথার মৃত্যু ঘটেছে। আপন অস্তিত্ব বিলীনের মাধ্যমে পিতা-পুত্র উভয়ে ছাহিবুল ইহসান, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কদম মুবারকে নিজেদেরকে সোপর্দ করে ইত্মিনান লাভ করলেন। অবশ্য হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে পৃথকভাবে এমন মুবারক ঘটনার অবতারণা পূর্বেও হয়েছে।
মুহাক্কিকে যামান, হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিকীন, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে লক্ষ্য করে রউফুর রহীম, ছাহিবে খুলুক্বিন আযীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত সবাইকে জানালেনঃ “এইতো আমার প্রিয়তম আওলাদ, তার সময়কালের ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম। সে আমার অবলুপ্ত সুন্নত যিন্দা করবে এবং বিদ্য়াত দূরীভূত করবে। পুঞ্জীভূত নিয়ামত সম্ভারে আজ আমি তাকে সমৃদ্ধ করে দিলাম। আমার সঙ্গে অটুট বন্ধনে তাকে আবদ্ধ করে নিলাম।” তিনি আপন হাত মুবারকে পিতা-পুত্র উভয় আওলাদকে বাইয়াত করালেন। অতঃপর মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্রের প্রতি সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখতে তিনি বুযুর্গ পিতা ওলীদে মাদারজাদ, ফখরুল আওলিয়া, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা শাহ ছূফী, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দেশ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। একই সঙ্গে অন্তর্হিত হলেন আফদ্বালুন্ নাস্ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং অন্যান্য সবাই।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং মুবারক পুত্রের সঙ্গে একই ধারায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট থেকে নিয়ামত লাভকারী কুতুবুয্ যামান, আফদ্বালুল ইবাদ, মুস্তাজাবুদ দাওয়াত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাই মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র এবং নিজের সঙ্গে নূরে মুজাস্সাম, ছাহিবুল মাক্বামিল মাহমুদ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে গত রাতে পুত্রের নিগূঢ় সংযোগের বাস্তবতা যাচাইয়ের প্রশ্ন অবান্তর।
(চলবে)