পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক এ কারণেই পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল উযমা আলাল আলাম, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, জামিউন নি’মাত, জামিউন নিসবত, জামিউল মাক্বামত, ছাহিবু কুন ফাইয়াকুন, আছ ছমাদ, ছাহিবু সুলত্বনিন নাছীর, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ, ইমামুল উমাম, জাব্বারিউল আউওয়াল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করা সহজ ও সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শান-মান এবং মর্যাদা ও মাক্বাম মুবারক এতো সীমাহীন উচ্চতায়, যা বর্ণনা ও প্রকাশের ভাষা আজ অবধি সৃষ্টি হয়নি। মানুষ রিয়াযত-মাশাক্কাত এবং ইবাদত বন্দেগী করে যতো বড় মাক্বামেই উপনীত হোক, আব-আতেশ-খাক-বাদ এসবের তাছীরে অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েই যায়। মহাপবিত্র-মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত না হলে এসব ভুল-ত্রুটি থেকে পরিত্রাণ লাভ করা আদৌ সম্ভব হয় না।
একমাত্র মহাসম্মানিত পুতঃপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই উনাদের মুবারক সৃষ্টিলগ্ন থেকে আবাদুল আবাদ পর্যন্ত ছমাদিয়ত উনার মহামর্যাদাবান ও মহাসম্মানিত মাক্বামে অধিষ্ঠিত। এ সুমহান কারণে একমাত্র উনারাই কুদরতীভাবে পরিপূর্ণরূপে সর্বোতভাবে ত্রুটিমুক্ত, মহাপবিত্র এবং পবিত্রতাদানকারী। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
إِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অভিপ্রায় যে, তিনি আপনাদেরকে (মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম) পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করবেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে পবিত্রতম এবং পবিত্রতাদানকারী হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন এবং যমীনে পাঠিয়েছেন।” পবিত্র এ আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হলেন প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা, কা’বা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ, আন নি’মাতুল উযমা আলাল আলাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! এখানে উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বলতে নুযূল খাছ হিসেবে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলে পাক আলাইহিমুস সালাম মহাসম্মানিতা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মহাসম্মানিত আবনাউ আলাইহিমুস সালাম, মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত অন্যান্য সকলকেই বুঝানো হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)